
বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : দিনাজপুর বিরামপুরে ঠান্ডা জনিত কারনে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় সবচেয়ে বেশী আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা।
হাড় কাঁপানো শীতে উত্তরাঞ্চলের বিশেষ করে দিনাজপুরের বিরামপুর সহ বেশ কিছু জায়গার মানুষ কাবু হয়ে পড়েছে। শীতের প্রকোপ বাড়ার সাথে সাথে বাড়ছে নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা শিশুদের পাশাপাশি বয়স্করাও শীত জনীত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।
বিরামপুর ৫০ শয্যাবিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও ব্যক্তি মালিকাধিন স্বাস্থ্য সেবা ক্লিনিক গুলো ঘুরে এই চিত্র পাওয়া গেছে। অতিরিক্ত শীতের কারনে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ার প্রকোপ বাড়ছে বলে চিকিৎসকেরা বলছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর সিনিয়র ষ্টার্ফ নার্স সুমনা হাসদা ও কামরুন্নাহার জানান, গত এক সপ্তাহ বয়স্কদের মধ্যে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত ৯ জন আর শিশুদের মধ্যে ৩৪ জন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছে। শিশুদের মধ্যে নিউমোনিয়ায় ৯ জন ডায়রিয়ায় ২৫ জন আক্রান্ত হয়।
এছাড়া গত ডিসেম্বর মাসে শিশু ভর্তি হয়েছিল মোট ৩৫২ জন। তাদের মধ্যে ১৫০ জন ডায়রিয়ায় ও নিউমোনিয়ায় ৩৮ জন, জ্বর সর্দি কাশি ১৬৪ জন আক্রান্ত হয়েছে। এদের মধ্যে বয়স্করা ৫/৭ দিন চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরলেও শিশু ওয়ার্ডে এখনো ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা অনেক বেশী।
এছাড়া বিরামপুর উপজেলা ডায়াগনষ্টিক সেন্টার সহ ব্যক্তি মালিকানা ক্লিনিক যেমন রায়হান ক্লিনিক, স্বাস্থ্য সেবা ক্লিনিক, আনাসা ক্লিনিক, মডার্ন ক্লিনিক নিউ মর্ডান ক্লিনিক এবং বিরামপুর ডায়াগনিষ্টক সেন্টারে প্রতিদিন বিভিন্ন জেলা শহর থেকে নামী ও সুনামধন্য ডাক্তার এসে রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন এখানে শিশু ও বয়স্কদের শীত জনিত রোগীর সংখ্যা অনেক বেশী।
বিজুল গ্রামের সুরাইয়া আক্তার তার ছেলেকে বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এসেছে, তার ছেলে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত।
শিশুদের ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ার বিষয়ে বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ডাঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম জানান রোগীদের দ্রুত চিকিৎসা ও সেবা দিতে আমরা চেষ্টা করছি কিন্তু ডাক্তার ও লোকবল এবং কিছু যন্ত্র পাতি না থাকায় সঠিক সময়ে রোগীদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হয়।
ডাক্তার সিরাজুল ইসলাম জানান, শীতজনিত কারণে শিশুদের দ্রুত চিকিৎসা দেওয়ার জন্য নেবুলাইজার মেশিন অনেক দরকার ছিল। আমাদের এখানে একটি থাকলেও তা নষ্ট হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব ঠিক করা হবে। এছাড়া এক্সরে মেশিন ও ইসিজি মেশিন দীর্ঘদিন থেকে নষ্ট রয়েছে। আমরা জরুরী কোন রোগেিক চিকিৎসা দিতে পারিনা। তবে আশা করছি মাননীয় সরকার মহোদয় স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে দ্রুত আমাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দিকে লক্ষ্য রাখবেন।
উত্তরবঙ্গের বিরামপুরে শীতকালে শিশু ও বৃদ্ধরা বেশীর ভাগ সময় ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কাইটিস জাতীয় রোগে আক্রান্ত হয়। শীতের প্রকোপ বেশি হওয়ার এধরণের রোগির সংখ্যা বাড়ছে।