
বিশ্ববিদ্যায়ল পরিক্রমা ডেস্ক : ক্যারিয়ারের নির্দিষ্ট একটা সময় দুজনই খেলেছেন স্প্যানিশ ক্লাবে। বার্সেলোনার হয়ে একজন জিতেছেন দলীয় সব শিরোপা। রিয়াল মাদ্রিদে খেলে অন্যজন পেয়েছেন দলের সঙ্গে ব্যক্তিগত সব সাফল্যও। এখন আবার দুজনই ছেড়েছেন স্প্যানিশ ক্লাব।
নতুনত্ব ও ভিন্ন চ্যালেঞ্জের আশায় একজন উড়াল দিয়েছেন ইতালিতে, অন্যজন ফ্রান্সে। দুজনের জন্মদিনটাও একই দিনে, ৫-ই ফেব্রুয়ারি। বলা হচ্ছে বর্তমান ফুটবল বিশ্বের অন্যতম সেরা দুই তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো এবং নেইমার জুনিয়রের কথা।
১৯৮৫ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করা রোনালদো আজ পা রাখলেন ৩৪ বছরে। অন্যদিকে রোনালদোর সাত বছর পরে আরেক মহাদেশে ১৯৯২ সালে জন্ম নিয়েছেন নেইমার জুনিয়র। আজ পালন করছেন নিজের ২৭তম জন্মদিন।
রোনালদোর জন্ম ১৯৮৫-এ, পর্তুগালের মাদেইরা শহরে। মা-বাবা নাম রেখেছিলেন তত্কালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগানের সঙ্গে মিল রেখে। ছোটবেলায় ছিলেন অত্যন্ত গোবেচারা, নিরীহ প্রকৃতির। শৈশবে সমবয়সী নয়, খেলতে পছন্দ করতেন বড়দের সঙ্গে। বড়দের সঙ্গে খেলার সময় অনেক বেশ লাথি খেতে হতো। তবুও হতোদ্যম হতেন না। ছোটবেলা থেকেই অনুভব করতেন ফুটবলার হতে হবে।
ফুটবলার হওয়ার তীব্র আকাঙ্ক্ষা নিয়েই মাত্র ১২ বছর বয়সে খেলা শুরু করেন স্পোর্টিং দ্য লিসবোনে। একপর্যায়ে মাদেইরা থেকে পরিবার-পরিজন ছেড়ে চলে আসেন। এরপর কেবলই এগিয়ে চলার গল্প। ২০০৩-এ যোগ দেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে। সেখানে ছয় বছর কাটিয়ে ২০০৯-এ গায়ে চাপান রিয়াল মাদ্রিদের জার্সি। ২০১৮ সালে রিয়াল ছেড়ে তিনি নাম লিখিয়েছেন ইতলিয়ান ক্লাব জুভেন্টাসে। এরই মধ্যে পাঁচটি ব্যালন ডি অর শিরোপা নিজের করে নিয়েছেন সময়ের সেরা এই তারকা।
এদিকে ব্রাজিলের সব কিংবদন্তীদের সবকিছুর প্যাকেজ যার মধ্যে, তিনি নেইমার ডস সিলভা সান্তোস জুনিয়র। মাত্র ৯ বছর বয়সে পেলের স্মৃতিবিজড়িত ক্লাব সান্তোসে নাম লেখান। ২০১৩ মৌসুমে সান্তোসের সঙ্গে গাঁটছড়া ছিন্ন করে যোগ দেন স্বপ্নের ক্লাব বার্সেলোনায়। তবে ২০১৭-১৮ মৌসুমের শুরুতেই ট্রান্সফার ফি’র রেকর্ড গড়ে বার্সা থেকে নাম লিখিয়েছেন ফ্রান্সের ক্লাব পিএসজিতে।