
নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক বাবু সুজিত রায় নন্দী বলেছেন, শহীদ শেখ কামাল স্বল্প বয়সের কর্মের মাধ্যমেই যুগ যুগ ধরে তিনি আমাদের মাঝে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
সুজিত রায় নন্দী বলেন, শহীদ শেখ কামাল বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একজন নিবেদিত, সংগ্রামী, আদর্শবাদী কর্মী হিসেবে ’৬৯-র গণঅভ্যুত্থান ও ’৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধে বীরোচিত ভূমিকা পালন করেন। দেশের জনপ্রিয় ক্রীড়া সংগঠন ‘আবাহনী ক্রীড়াচক্র’ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ক্রীড়াঙ্গনে স্মরণীয় হয়ে আছেন শেখ কামাল।
তিনি বলেন, জাতির পিতার সন্তান হওয়া সত্ত্বেও যার মধ্যে ছিল না কোনো অহমিকাবোধ। মাত্র ২৬ বছরের জীবন ছিল তার। অবাধ বিচরণ ছিল প্রতিভার দশদিগন্তে। পড়াশুনার পাশাপাশি সংগীত চর্চা, অভিনয়, বিতর্ক, উপস্থিত বক্তৃতা, খেলাধুলাসহ সকল ক্ষেত্রে পারদর্শী ছিলেন শেখ কামাল।
শুক্রবার (৫ আগস্ট) আওয়ামী লীগ-এর ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক উপ-কমিটির উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক এবং ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে টুঙ্গীপাড়া ও কোটালিপাড়া উপজেলার প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ফলমূল, শাক-সবজী ও সরিষা বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘শহীদ শেখ কামালকে দুষ্কৃতিকারীরা হত্যা করলেও তার স্বল্প বয়সের কর্মের মাধ্যমেই যুগ যুগ ধরে, যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন তিনি আমাদের মাঝে জাগরূক থাকবেন। এই অল্প বয়সের মধ্যেই যে প্রতিভা ও সাংগঠনিক দক্ষতার স্বাক্ষর তিনি রেখেছিলেন, তাতে আমি মনে করি তিনি বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ আরো অনেক উপকৃত হতো।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা গোপালগঞ্জের মাটিতে দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধকে সামনে রেখে নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই বিএনপি এখন ব্যাঙের মতো ডাকছে, পুঁটি মাছের মত লাফাচ্ছে। তারা মূলত: ষড়যন্ত্র করছে। তারা যদি জনগণের জানমাল নিয়ে ছিনিমিনি খেলে, অতীতের মতো পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে, তাহলে আগামী সেপ্টেম্বরে আমরা মাঠে নামবো। তখন বিএনপি পালানোর পথ খুঁজে পাবে না। কারণ আগস্ট মাস শোকের মাস। তাই আমরা শোক পালন করছি।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দলের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেন, শেখ কামাল একজন দক্ষ ছাত্র সংগঠক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের একজন উজ্জ্বল নক্ষত্র ছিলেন। তিনি ছিলেন আধুনিক ফুটবলের জনক। শেখ কামাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্রিকেট টিমের ক্যাপ্টেন ছিলেন এবং সাংস্কৃতিক অঙ্গনে বিভিন্ন নাটকে সুনিপুণভাবে অভিনয়ও করেছেন। শেখ কামাল অতি সাদামাটা জীবন যাপন করতেন। তার চলাফেরা ও আচার আচরণে কেউ মনে করত না যে তিনি বঙ্গবন্ধুর সন্তান।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক এ্যাডভোকেট সায়েম খান।
অনুষ্ঠানে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলী খান,কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ভবেন্দ্র নাথ বিশ্বাস, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. বাবুল শেখ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এসময় ত্রাণ উপকমিটির সকল নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে শেখ কামালের ৭৩তম জন্মদিন উপলক্ষে জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মোনাজাত করেন।