
বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা ডেস্ক : বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ক্যাসিনো বাণিজ্যের টাকার ভাগ দেয়া নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের অভিযোগের তীব্র সমালোচনা করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
সরকারের প্রতি প্রশ্ন রেখে তিনি বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ নেতারা ক্যাসিনোর টাকা যদি তারেক রহমানকে পাঠাতোই তাহলে সরকার তখন কী করতো? সরকার কি বসে বসে আঙুল চুষে?’
গতকাল মঙ্গলবার রাজশাহী সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘জি কে শামীমের কাছ থেকে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রতি মাসে এক কোটি টাকা করে চাঁদা নিতেন। বিএনপির আরও অনেক নেতাকেও টাকা দিতেন জি কে শামীম। বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকা, মির্জা আব্বাস ও মোসাদ্দেক হোসেন ফালুরাই ক্যাসিনো সংস্কৃতি চালু করেছিলেন। কিন্তু ক্ষমতার শীর্ষে থাকায় তাদের বিরুদ্ধে বিএনপি সরকার কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।’
তথ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল আয়োজিত খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নজরুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
বিএনপি-জামায়াত করা লোকদের আওয়ামী লীগের বড় বড় পদে শেখ হাসিনা কেন বসিয়েছেন- এমন প্রশ্ন রেখে নজরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘খন্দকার মোশতাক যে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জড়িত তা সবাই জানে। সেই মোশতাকের রাষ্ট্রপতির শপথ গ্রহণের ব্যবস্থা করেছিলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম। অথচ সেই এইচ টি ইমাম এখন বড় আওয়ামী লীগার হয়ে গেছেন। কারা তাকে এই সুযোগ করে দিলো?’
সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর মতো বর্তমান তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদও জিয়া পরিবারের বিষোদ্গারের দায়িত্ব পেয়েছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্যে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘ঢাকা শহরকে যারা ক্যাসিনোর শহর বানিয়েছে তাদেরকে আপনারা পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন। আপনাদের পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া তারা এগুলো করতে পারতো না।’
সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘যারা ক্যাসিনোর সাথে জড়িত তাদের সবাইকে ধরুন। বাংলাদেশ থেকে ক্যাসিনোর ক্যালচার দূর করুন। লুটপাটের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের সবাইকে আইনের আওতায় নিয়ে আসুন। কিন্তু আপনারা এটা করতে পারবেন না। কারণ এই অনাচার যত বাড়তে থাকবে তত আপনাদের নেতারা লাভবান হবেন।’
তিনি বলেন, ‘এই সংকট থেকে মুক্তির জন্য সরকার পরিবর্তন দরকার। সরকার পরিবর্তন ছাড়া গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে না। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত না হলে জনগণের অধিকারও প্রতিষ্ঠিত হবে না। সেজন্য সবার আগে গণতন্ত্রের জননী দেশনেত্রী বেগম জিয়ার মুক্তি দরকার।’
মানববন্ধনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, কার্যকরী সভাপতি সালাহ উদ্দিন সরকার, ঢাকা মহানগর উত্তর শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম রাজা ও শ্রমিক নেতা গাজী বুরহান প্রমুখ উপস্থিতি ছিলেন।