
বাংলাদেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকড করা হয়েছে কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাটে ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী ৭২ ঘন্টায় আবহাওয়া অল্প কিছু পরিবর্তিত হতে পারে বলে (২০ ডিসেম্বর) জানান রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র রায়।
শৈত্য প্রবাহের কারণে এ অঞ্চলের জনজীবন হয়েছে স্থবির। শীতের কাপর না থাকায় বেশ কষ্ট পাচ্ছেন রাজারহাট উপজেলার তীরবর্তী চরাঞ্চলের অনেক প্রবীন ও শিশুরা।
রাজারহাট উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা সজিবুল ইসলাম বলেন, আমরা ৩২শ কম্বল পেয়েছি এবং সাত ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এর মাঝে বণ্টন করেছি তারা ইতোমধ্যে দুস্থ-অসহায় বয়স্কদের মধ্যে বিতরণ শুরু করেছে।
রাজারহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর কর্তব্যরত ডাঃ মোছা আইভি খাতুন জানান, গত কয়েকদিনের অতিরিক্ত ঠাণ্ডা জনিত কারণে কমপক্ষে বিশ অসুস্থ রোগী ভর্তি হয়েছে। তাদের বেশির ভাগ রোগীই বয়স্ক ও শিশু। অতিরিক্ত শরীরে ঠাণ্ডা লাগায় বয়স্কদের শ্বাসকষ্ট রোগের দেখা দিয়েছে এবং এক থেকে পাচঁবছর বয়সি শিশুরা ডাইরিয়া ও নিমোনিয়া রোগে আক্রান্ত হয়েছে তারা সকলেই মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছ।
তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রী সেলসিয়াস এর নিচে আবহাওয়া থাকায় বইতে শুরু করেছে শৈত্য প্রবাহ। শৈত্য প্রবাহের কারণে এই অঞ্চলের বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ পরছে বিপাকে। শৈত্য প্রবাহে রাজারহাট উপজেলার তিন ইউনিয়নের চরাঞ্চলের মানুষ পরছে বিপাকে। বিশেষ করে তীব্র শীতের শৈত্য প্রবাহে বেশি বিপাকে পড়েছেন তিস্তা নদীর চরাঞ্চলের বিদ্যানন্দ ইউপি ও ঘড়িয়াল ডাঙ্গা ইউপির তীরবর্তী খেটে খাওয়া মানুষজন।
অপরদিকে ধরলা নদীর তীরবর্তী ছিনাই ইউপির নদী ভাঙনের শিকার বসতভিটা হারানো মানুষজন। তীব্র শীত আর কনকনে শৈত্য প্রবাহের কারণে মানুষ একান্ত প্রয়োজন ছারা ঘর থেকে বেরুচ্ছে না, হেডলাইট জালিয়ে দুরপাল্লায় গাড়ীতে অফিস আদালতে যাচ্ছে চাকরিজীবীরা।
এ বিষয়ে রোববার (২০ ডিসেম্বর) রিপোর্ট অনুযায়ী, কুড়িগ্রামের সর্বনি¤œ তাপমাত্রা ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শৈত্য প্রবাহের প্রকোপ বাড়তে শুরু হয়েছে। আগামী ৭২ ঘন্টা এই আবহাওয়া কিছুটা পরিবর্তন হতে পারে বলে জানিয়েছেন রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার।