Home সারা বাংলা একজন সফল কাউন্সিলর হিসেবে নিজেকে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করেছেন : আকাশ কুমার ভৌমিক

একজন সফল কাউন্সিলর হিসেবে নিজেকে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করেছেন : আকাশ কুমার ভৌমিক

86
0
SHARE

আশিক সরকারঃ  : ঢাকা দক্ষিন সিটির ৫৯নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর আকাশ কুমার ভৌমিক বলেছেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের অবিসংবাদিত নেতা বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার নেতৃত্বে এদেশের মানুষ পেল স্বাধীন সোনার বাংলা। পৃথিবীর বুকে মুজিব সেনারা বেঁচে আছে থাকবে চিরকাল। জনগনের চোখের আড়ালেই অকল্পনীয় বিষ্ময়কর উন্নয়ন করে যাচ্ছেন জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯ইং সালে ক্ষমতায় এসে বাংলাদেশকে আমুল পরিবর্তনের যাত্রা শুরু করেন। বাংলাদেশ আজ ঐতিহাসিক ভাবে উন্নয়নের বিস্ময় হয়েছে।

কদমতলী থানা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আকাশ কুমার ভৌমিক। যিনি বর্তমানে রাজধানী ঢাকা দক্ষিনের কদমতলী থানার ৫৯নং ওয়ার্ডের একজন জনসেবক হিসাবে আধুনিক নগরীর অত্যাধুনিক ওয়ার্ড গড়ে তুলতে আসন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে কমিশনার হয়েছেন। ঢাকা দক্ষিনের কদমতলী থানার সাধারণ জনগন ও সর্বশ্রেণীর মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায় আকাশ কুমার ভৌমিক। তিনি তার কর্মগুনে সকলের মন জয় করে নিয়েছে এবং জনগনের অভিভাবক হিসাবে খ্যাতি লাভ করেছেন।

তার সম্পর্কে জানতে চাইলে স্থানীয় রাজনীতিবিদগণ বলেন, আকাশ কুমার ভৌমিক একজন সৎ, একনিষ্ঠ, ত্যাগী, বঙ্গবন্ধুর আদর্শে আদর্শিত ও জননেত্রী শেখ হাসিনার পরিক্ষিত সক্রিয় রাজনীতি কর্মী, যিনি নিজ উদ্যোগে বিভিন্ন ধরনের মানবিক, সামাজিক, সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন এবং শেখ হাসিনার বৈপ্লবিক উন্নয়নের প্রচার প্রচারনা ব্যাপক ভাবে চালিয়ে যাচ্ছেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নের যে মশাল জ্বালিয়েছেন তার সাথে একাত্বতা প্রকাশ করে। তিনি তাঁর ৫৯নং ওয়ার্ডে প্রশংনীয় উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করছেন।

আকাশ কুমার ভৌমিক কদমতলী থানার মানুষের কাছে দেশ মাটি ও মানুষের নেতা। কেননা তিনি গরীব দুঃখীদের জন্য বিশ্বস্ত আশ্রয়স্থল। সে অপরের কল্যাণে নিজেকে সদা সর্বদা নিয়োজিত রেখেছেন। যিনি চান উন্নয়নের মধ্যদিয়ে একটি আধুনিক মডেল ওয়ার্ড হিসাবে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দিতে। তিনি চান দল মত নির্বিশেষে মানুষের কল্যানে ৫৯নং ওয়ার্ডকে গড়ে তুলতে।

নিজ এলাকার বাসিন্দাদের মন জয় করে তাদের ভালোবাসা অর্জনসহ সব নেতৃত্বেই সমানতালে সফলতা অর্জন করেছেন। তার এই সফলতার পেছনে অন্যতম প্রধান কারন তার অতি সাধারন জীবনযাপন ও মানুষের বিপদে আপদে সর্বদায় পাশে থাকার এক অদম্য মানষিকতা যা তাকে তার এলাকার সর্বস্তরের মানুষের জন্য সেবা করাই আমার ধর্ম মধ্যমনি করে রেখেছে । কেউ কোন সমস্যা নিয়ে তার কাছে আসলে ব্যস্ততার ভিড়েও ধৈর্য্য সহকারে তাদের কথা শুনেন,সমস্যা সমাধানের সর্বাত্মক চেস্টা করেন। তার এই মহত কাজটি তিনি ছোট বেলা থেকেই করে আসছে। এলাকার উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে রেখেছেন অসামান্য অবদান। আমরা আজ তেমনি একজন ব্যক্তির সাথে কথা বলব
যিনি চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলার কৃতি সন্তান। তালুকদার পরিবারে জন্ম গ্রহন করেছেন। তিনি ঢাকা দক্ষিন সিটি কর্পোরেশনের ৫৯নং ওয়ার্ডের একজন সফল কাউন্সিলর। আওয়ামীলীগ নেতা সমাজসেবক, ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, আকাশ কুমার ভৌমিক।

পরিচিতি: তিনি চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলার কৃতি সন্তান। কাউন্সিলর ৫৯ নং ওয়ার্ড ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন। সভাপতি- ধনাগোদা স্কুল এন্ড কলেজ, মতলব উত্তর, চাঁদপুর, ঢাকার জাতীয় শ্রী শ্রী শনি মন্দির কমিটি, শ্মসান কমিটি। যুগ্ম সম্পাদক কদমতলী থানা আওয়ামীলীগ ঢাকা ।

এ ছাড়াও তিনি বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত রয়েছেন এবং তিনি একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক। নিজ ওয়ার্ডের উন্নয়ন সম্পর্কে তিনি বলেন জুলুম, অন্যায়, অবিচার করে জোরপুর্বক মানুষের কাছ থেকে কোন কিছু আদায়ের জন্য নয়, মূলত তার
কাউন্সিলর হবার উদ্দেশ্য হল মানুষের সেবা করা আর জনগণের সেবার মাধ্যমেই তিনি বেঁচে থাকতে চান এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৫৯ নং ওয়ার্ডকে একটি মডেল ওয়ার্ড হিসেবে ,গড়ে তোলাই তার লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যে সরকারি বরাদ্দ না থাকলেও ব্যক্তিগত টাকা ব্যয় করে স্কুল- কলেজ,মসজিদ- মাদ্রাসার উন্নয়ন করে যাচ্ছেন। তার ওয়ার্ডে তিন লাখের বেশি লোকের বসবাস। এই বিপুল জনসংখ্যা এলাকা দীর্ঘদিন ধরে যেমন ছিল অবহেলিত, তেমনি জনদুর্ভোগ ছিল চরমে। আকাশ কুমার ভৌমিক, তার নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী ওই চরম ভোগান্তি থেকে রক্ষা করার জন্য নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন এবং সরকারি উন্নয়ন বরাদ্ধের ১৫২ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ করেছেন। এলাকার জরাজীর্ন ও খানাখন্দের দুর্ভোগময় রাস্তাঘাট মেরামত ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়নের মাধ্যমে জনগনের ভোগান্তি কমিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছেন।

আগামী বাজেটে প্রকল্প উন্নয়নের জন্য ১২০ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েছেন তিনি। আকাশ কুমার ভৌমিক নিজস্ব অর্থায়নে ঢাকা ম্যাচ ফ্যাক্টরি কলোনির জলাবদ্ধতা দূরীকরণে পানির পাম্প বসিয়েছেন এ ছাডয়াও মেরাজনগর আদর্শ মাদ্রাসার উন্নয়ন করে অসংখ্য শিক্ষক ও দরিদ্র শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন।

তিনি হাজি শরীয়ত উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য ৬ লাখ টাকা ও মোহাম্মদবাগ আদর্শ স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষকদের বকেয়া বেতন- ভাতা পরিশোধের জন্য ১৮ লাখ টাকা দান করেছেন । নিজের টাকায় এলাকার প্রতিটি স্কুল- কলেজ ও মাদ্রাসায়, মশক নিরবচ্ছিন্ন মশক
নিধনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিপুল সংখ্যক শ্রমিকদের সব সুবিধা-অসবিধায় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন কাউন্সিলর আকাশ কুমার ভৌমিক। তিনি তার ওয়ার্ডের জনগনের জন্য একটি কমিউনিটি সেন্টার,একটি বিনোদন পার্কও নির্মান করা হবে বলে এক সাক্ষাৎকারে বিশিস্ট ব্যবসায়ী,সমাজসেবক ও কাউন্সিলর অকাশ কুমার ভৌমিক এসব কথা বলেন। সরকারের উন্নয়ন: বর্তমান সরকারের উন্নয়ন সম্পর্কেতিনি বলেন- ধন্য পিতার ধন্য মেয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা ৪ বারের নির্বাচিত সরকার বাংলাদেশের সফল রাষ্ট্রনায়ক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে আমাদের বাংলাদেশ দুর্বার গতিতে এক সময় যে সকল দেশ বাংলাদেশকে ক্ষুদা,দারিদ্রযুক্তদেশ হিসেবে জানত আজ তারাই বাহবা দিচ্ছে আমাদের বাংলাদেশকে ।

নিজ ওয়ার্ডের উন্নয়ন- আকাশ কুমার ভৌমিক কাউন্সিলর নির্বাচিত হবার পর এ পর্যন্ত তার ওয়ার্ডে ১৫২ কোটি টাকার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে এবং আরো ১২০ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজের জন্য একনেকে কাগজপত্র জমা দেওয়া হয়েছে । এছাডয়াও তার নিজ অর্থায়নে মশক নিধন অভিযান অব্যাহত আছে। আকাশ কুমার ভৌমিক নিজস্ব অর্থায়নে এলাকার মশা নিধনের জন্য ৭টি ফগ মেশিন ক্রয় করে এলাকাকে মশকমুক্ত করেছেন। সারা দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলেও তার ওয়ার্ডটি ছিল ডেঙ্গুমুক্ত। এডিস মশার প্রজন স্থান ধ্বংসে সিটি কর্পোরেশনের কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে । ডেঙ্গুজ্বরের জীবাণুবাহক এডিস মশার প্রজনন স্থান ধ্বংসের যাবতীয় কার্যক্রম অব্যাহত আছে ।

আইন শৃংখলা: আইন শৃংখলা সম্পর্কে তিনি বলেন- আমার ওয়ার্ডে আইন শৃংখলার অবস্থা খুবই ভালো । আমার সার্ব ক্ষনিক নজরদারি থাকায় এলাকায় আইন শৃংখলা বিঘ্ধসঢ়;নকারী কোন কর্মকান্ড দৃশ্যমান হচ্ছে না। এাকাবাসী পুর্বের যে কোন সময় থেকে বর্তমানে নিরাপদে ও শান্তিতে বসবাস করার কারনে তার প্রতি সকলেই বিশেষভাবে কৃতজ্ঞ ।

মাদক নির্মুল: মাদক নির্মুল সম্পর্কে মাদক নির্মুলে তিনি বলেন-“মাদকের ছোবলে ধ্বংস হচ্ছে দেশ ও জাতি। পরিবারের একজন সদস্য মাদক সেবন করলে তার পুরো পরিবারটি ধ্বংস হয়ে যায়। বর্তমান সমাজে উঠতি বয়সের ছেলে মেয়েরা নেশায় জড়িয়ে পড়ছে। যার ফলে ধ্বংস হচ্ছে পরিবার, সমাজ তথা আগামি প্রজন্ম। কারন আজকের শিশুরা আগামি দিনের ভবিষ্যৎ।
এসকল নেশার হাত থেকে বাঁচতে হলে অভিভাবক তথা সমাজের বিবেকবান লোকদের এগিয়ে আসতে হবে। মাদক নির্মূলে আমি সর্বদা তৎপর রয়েছি। আমি আহব্বান করছি মরণ নেশা ইয়াবার হাত থেকে আমাদের যুব সমাজকে রক্ষা করতে প্রত্যেক অভিভাবককে এগিয়ে আসতে হবে ।
একজন সফল কাউন্সিলর হিসেবে নিজেকে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করেছেন, তা হতে পারে যে কোন রাজনৈতিক জীবনের আদর্শ। তিনি প্রমান করেছেন সততা, ত্যাগ ন্যায়পরায়ণতাই সফলতার মুলমন্ত্র। আগামী দিনেও এলাকার জনগণের মাঝে তার এই অবস্থান থাকবে এবং তার সফল নেতৃত্বে এলাকার উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ড এগিয়ে যাবে এলাকার সর্বসাধারনের এমনটিই প্রত্যাশা।

image_pdfimage_print