
শিবচর হাইওয়ে থানা পুলিশ ও জাজিরা ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, অ্যাম্বুলেন্সের চালক রবিউল খুলনার দিঘলিয়ার চন্দনিমহল এলাকার কাওসার হাওলাদারের ছেলে। তিনি রবিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে ঢাকা থেকে রোগী নিয়ে ভোলায় যান। ভোলা থেকে ঢাকায় ফেরার পথে বরিশাল শহরের বেলভিউ হাসপাতাল থেকে আরেক রোগী নিয়ে গতকাল সোমবার রাতে ঢাকায় রওনা দেন। দীর্ঘ ২৬ ঘণ্টা গাড়ি চালানোর কারণে তার শরীর ক্লান্ত ছিল। গাড়ি চালানোর সময় তিনি হঠাৎ ঘুমিয়ে পড়েন। একপর্যায়ে মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে কুয়াশার মধ্যে পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তে নাওডোবা এলাকায় চলন্ত অবস্থায় ট্রাকের পেছনে সজোরে ধাক্কা দিলে অ্যাম্বুলেন্সটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়।
জাজিরা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন মাস্টার এনামুল হক সুমন কালের কণ্ঠকে বলেন, পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তে ভয়াবহ দুর্ঘটনা হয়েছে। এমন খবরে সেখানে উপস্থিত হয়ে দেখি ঘটনাস্থলেই অ্যাম্বুলেন্সে থাকা ছয়জন নিহত হয়েছেন। পরে সেখান থেকে অ্যাম্বুলেন্স ও ট্রাকটি নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাই। আর লাশগুলো জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসি।
শিবচর হাইওয়ে থানার ওসি আবু নাঈম মোহাম্মদ মোফাজ্জেল হক কালের কণ্ঠকে বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি চালক রবিউল টানা গাড়ি চালানো ও শরীর ক্লান্ত হয়ে যাওয়াতেই এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে। দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ফায়ার সার্ভিস ও দক্ষিণ থানা পুলিশকে নিয়ে নিহতদের লাশ উদ্ধার করে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠিয়ে দেই। দুর্ঘটনা কবলিত অ্যাম্বুলেন্স ও ট্রাক আমাদের হেফাজতে রয়েছে। চালক রবিউলের মরদেহ পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাকিদের মরদেহ নেওয়ার জন্য স্বজনদের খবর দেওয়া হয়েছে। তাদেরও বুঝিয়ে দেওয়া হবে। আর এ বিষয়ে এখনো কোনো মামলা হয়নি।





