
বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা ডেস্ক : পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এমপি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বাংলার ও বাঙালির পরিবর্তনের নায়ক আখ্যা দিয়ে বলেছেন, প্রতিকূল পরিবেশে যারা জীবন যাপন করছেন তাদের উন্নয়নের জন্য আন্তরিক প্রধানমন্ত্রী। তিনি মন্ত্রী পরিষদের সদস্যদের হাওরে, চরে, পাহাড়ে যারা বাস করছেন, তাদের জীবন মান উন্নয়নের জন্য প্রকল্প নেবার জন্য উৎসাহ দেন। তিনি হৃদয়বান। রোহিঙ্গাদের প্রতি ভালবাসা সারা বিশে^ তাঁর উদারতার পরিচয় তুলে ধরেছে। রোববার দুপুরে সুনামগঞ্জ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত জনসমাবেশে বক্তব্য রাখার সময় এসব কথা বলেন পরিকল্পনামন্ত্রী।
সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের খসড়া আইন মন্ত্রী পরিষদের সভায় অনুমোদন পাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে জেলা শহরে রোববার দুপুরে বের হওয়া আনন্দ শোভাযাত্রা শেষে সুনামগঞ্জ স্টেডিয়ামে এই সমাবেশ হয়।
সমাবেশে বক্তৃতা করার সময় পরিকল্পনামন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নের মূলধারায় এখন হাওরের জেলা সুনামগঞ্জ। সারাদেশে উন্নয়নের মহাযজ্ঞ চলছে। কর্ণফুলি’র নীচ দিয়ে ৬ কিলোমিটার পাতাল সড়কের কাজ চলছে। রাজধানী ঢাকা মহানগরের উপরে নীচে সমানভাবে উন্নয়ন কাজ চলছে। মাথার উপরে রয়েছে বঙ্গবন্ধু উপগ্রহ কেন্দ্র।
তিনি বলেন, বাংলার অস্তিত্বকে যারা বিশ^াস করে না, সেই স্বাধীনতা বিরোধীরা ছাড়া দেশের ১৬ কোটি মানুষকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
তিনি বলেন, সুনামগঞ্জে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, টেক্সটাইল কলেজ, রানীগঞ্জে সিলেট বিভাগের দীর্ঘতম সেতু, সুনামগঞ্জ-সিলেট আঞ্চলিক সড়কের কাজ শুরু হয়েছে। এই বছরের মধ্যেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করাতে চাই। এই সরকারের সময়েই ছাতক-সুনামগঞ্জ- মোহনগঞ্জের রেল লাইনের কাজ শুরু হবে। ৮ কিলোমিটার ফ্লাইওভার করে সুনামগঞ্জ- নেত্রকোণা সড়কের কাজ শুরু ও ৫০০ কোটি টাকা ব্যয়ে হাওরের প্রত্যন্ত জনপদে টিউবওয়েল নির্মাণ প্রকল্প আমার টেবিলে আছে। সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র পৌর এলাকার সাধারণ মানুষের জীবন-মান উন্নয়নের জন্য বড় কোনো প্রকল্প নিয়ে আসলে, আমরা সেটি বাস্তবায়নের ব্যবস্থা করার চেষ্টা করবো।
মন্ত্রী সুনামগঞ্জবাসীর বিশাল সমাবেশ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, আগামী ২০ বছর পরের বাংলাদেশ কেমন হবে, সে নিয়ে কাজ করছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী। একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়াও তার লক্ষ।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ।
জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসম্পাদক অ্যাডভোকেট হায়দার চৌধুরী লিটন ও শিল্প বিষয়ক সম্পাদক দেওয়ান ইমদাদ রেজা চৌধুরী’র সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিক, সংসদ সদস্য ড. জয়া সেন গুপ্তা, সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন, সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ্, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট শামীমা শাহ্রিয়ার, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল হুদা মুকুট, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম এনামুল কবির ইমন, ইদ্রিছ আলী বীরপ্রতীক, সংরক্ষিত আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট শামছুন নাহার বেগম শাহানা, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খায়রুল হুদা চপল, সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নাদের বখ্ত প্রমুখ।
এর আগে এই আনন্দ শোভাযাত্রা উপলক্ষে জেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বর্ণাঢ্য মিছিল নিয়ে কালেক্টরেট চত্বরে জড়ো হন নানা শ্রেণি পেশার মানুষ। পরে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নানের নেতৃত্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বের হয় আনন্দ শোভাযাত্রা।
প্রসঙ্গত. সুনামগঞ্জ জেলাবাসীর বহুদিনের দাবী সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের খসড়া আইন গত সোমবার (৩০.১২.১৯) মন্ত্রী পরিষদের সভায় নীতিগতভাবে অনুমোদন পায়