
বিশ্ববিদ্যায়ল পরিক্রমা ডেস্ক : একাদশ জাতীয় সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের আস্থাভাজন হিসেবে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে সরকার গঠনের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন রাষ্ট্রপ্রধান।
এর ঘণ্টাখানেক পরই তিনি বলেন, “সোমবার বিকাল সাড়ে ৩টায় বঙ্গভবনে নতুন মন্ত্রিসভার শপথ অনুষ্ঠান হবে।”
সংবিধান অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দেওয়ার এখতিয়ার রাষ্ট্রপ্রধানের। নতুন সরকারের মন্ত্রিসভার শপথ তিনিই পড়াবেন। আর শপথ অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
মন্ত্রিপরিষত সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ৭ জানুয়ারি বিকাল সাড়ে ৩টায় শপথ অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা।
শেখ হাসিনার বিদায়ী মেয়াদের সরকারে মন্ত্রীর সংখ্যা অর্ধশতের আশপাশেই ঘোরাফেরা করছিল। নতুন সরকারের সদস্য সংখ্যা কত হবে, সে বিষয়ে কোনো আভাস পাওয়া যায়নি।
২০০৯ সালে সরকার গঠনের সময় নতুনদের প্রাধান্য দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা, পরের মেয়াদে তিনি মন্ত্রিসভায় ফিরিয়ে এনেছিলেন প্রবীণ নেতাদের অনেককে।
এবার কী করবেন- সে বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের একদিন আগেও সাংবাদিকদের বলেন, এটা পুরোপুরি শেখ হাসিনার এখতিয়ার।
বৃহস্পতিবার বঙ্গভবনে শেখ হাসিনা যাওয়ার সময় কাদেরও তার সঙ্গে ছিলেন। প্রবীণ দুই নেতা আমির হোসেন আমু ও তোফায়েল আহমেদকেও সঙ্গে নেন তিনি।
গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ের পর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে শেখ হাসিনার এটাই প্রথম সাক্ষাৎ। এর আগে গত ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সর্বশেষ বঙ্গভবনে গিয়েছিলেন তিনি।
এবার নির্বাচনে অভাবনীয় ফল পেয়েছে আওয়ামী লীগ। ৩০০ আসনের সংসদে আওয়ামী লীগের আসন বেড়ে ২৫৭টিতে দাঁড়িয়েছে। জোটগতভাবে তারা পেয়েছে ২৮৮ আসন। অন্যদিকে তাদের প্রধান প্রতিপক্ষ বিএনপি ও তাদের জোটসঙ্গীরা সব মিলিয়ে মাত্র সাতটি আসন পেয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে জাতীয় সংসদে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথের পর আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের বৈঠকে শেখ হাসিনাকে বরাবরের মতোই সংসদ নেতা নির্বাচিত করা হয়।