Home ক্যাম্পাস খবর স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর এতো অনিহা কেন!!!

স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর এতো অনিহা কেন!!!

108
0
SHARE

ক্যাম্পাস প্রতিবেদক : বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইনানুযায়ী প্রতিষ্ঠার ৭ বছরের মধ্যে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়-কে স্থায়ী ক্যাম্পাসে সিফট করে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। নিয়মের প্রতিপালন না-হলে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধসহ সাময়িক অনুমোদন বাতিল করার ক্ষমতা বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের রয়েছে।

চলতি বছরের শুরুর দিকে আশা ইউনিভার্সিটি এবং স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ স্থায়ী ক্যাম্পাসে সিফট করার ক্ষেত্রে ১ থেকে দেড় বছরের সময় চেয়ে ইউজিসি বরাবর আবেদন করে। সেমোতাবেক স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে বিশ্ববিদ্যালয় ২টির হাতে আছে আর মাত্র ৪০ দিন। সর্বশেষ পরিস্থিতি হলো, আশা ইউনিভার্সিটি আংশিক ভাবে স্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করেছে। আর স্ট্যামফোর্ডের ক্ষেতে পরিস্থিতির কোন উন্নতি নাই। বিশ্ববিদ্যালয়টি এখনো অস্থায়ী ক্যাম্পাসেই শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। আশা ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ বলছে তারা আগামী বছরের শুরুর দিকে পুরোপুরি ভাবে স্থায়ী ক্যাম্পাসে চলে যেতে পারবে। এতদবিষয়ে স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষের কোন বক্তব্য নাই। এদিকে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি মেরুল বাড্ডাস্থ দৃষ্টিনন্দন স্থায়ী ক্যাম্পাসে সিফট করার তোড়জোড় চলছে বলে শুনা যাচ্ছে। বেশ কিছুদিন আগে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা খরচ করে বিশ্ববিদ্যালয়টির স্থায়ী নির্মাণ করা হলেও অজ্ঞাত কারণে সেখানে শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা সম্ভব হয় নাই। কারণ প্রশাসনে ঘাপটি মেরে বসে থাকা স্বার্থান্বেষী গ্রুপ বিশ্ববিদ্যালয়টিকে স্থায়ী ক্যাম্পাসে সিফট করায় বাঁধা দিয়ে আসছে দীর্ঘদিন যাবৎ। শুনা যাচ্ছে তারা এখনো সক্রিয়। ৬.২৯ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত ক্যাম্পাসটিতে শিক্ষা কার্যক্রম চালুর কথা ছিল ২০২০ সালের শুরুর দিকে। অথচ এখন ২০২৪ সাল শুরু হলো বলে। মজার বিষয় হলো, শিক্ষা বান্ধব নয় এমন অপরিসর অস্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করেও বিশ্ববিদ্যালয়টি যুক্তরাজ্য ভিত্তিক শিক্ষা সাময়িকী টাইমস হায়ার এডুকেশনের ২০২৪ সালের জন্য নির্মিত শ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। কি জাদুর বলে এটা সম্ভব হলো তার উত্তর পাওয়া যায় নাই। শ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোনো তালিকায় “স্থায়ী ক্যাম্পাস”-এ শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা একটি অত্যাবশ্যক শর্ত হিসেবে বিবেচনায় নেওয়া জরুরী।

ইউজিসি’র সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মতে বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে কোন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থায়ী ক্যাম্পাসে সিফট করতে ব্যর্থ হলে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি বন্ধ করা ছাড়াই সাময়িক অনুমোদনও বাতিল করা হতে পারে।

image_pdfimage_print