Home ব্রেকিং হোলি আর্টিজানে হামলার ‘অর্থ–অস্ত্র সরবরাহকারী’ গ্রেপ্তার

হোলি আর্টিজানে হামলার ‘অর্থ–অস্ত্র সরবরাহকারী’ গ্রেপ্তার

46
0
SHARE

বিশ্ববিদ্যায়ল পরিক্রমা ডেস্ক : রাজধানীর গুলশানের হোলি আর্টিজানে হামলা মামলার এজাহারভুক্ত এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে গাজীপুর মহানগরীর বোর্ডবাজার এলাকা থেকে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আজ রোববার সকালে র‌্যাবের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো মোবাইল ফোনের খুদে বার্তায় এই তথ্য জানিয়ে বলা হয়, গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তির নাম মো. মামুনুর রশিদ ওরফে রিপন ওরফে রেজাউল করিম ওরফে রেজা।

র‌্যাব বলছে, হোলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার অর্থ, অস্ত্র ও বিস্ফোরক সরবরাহকারী এই মামুনুর রশিদ।

র‌্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক মুফতি মাহমুদ জানান, শনিবার মধ্যরাতে ঢাকামুখী একটি বাসে অভিযান চালিয়ে মামুনুর রশিদকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি জেএমবির একজন অন্যতম সুরা সদস্য। গ্রেপ্তারের সময় তাঁর কাছ থেকে দেড় লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়।

বিস্তারিত তথ্য জানাতে আজ বেলা ১১টায় রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়েছে।

হোলি আর্টিজানে হামলা মামলার বিচারকাজ চলছে। ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে এই মামলায় সাক্ষ্য নেওয়া হচ্ছে।

গত বছরের ২৬ নভেম্বর এই মামলায় আট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। ৩ ডিসেম্বর সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়।

যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে, তাঁরা হলেন—রাজীব গান্ধী, মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান, রাকিবুল হাসান রিগ্যান, হাতকাটা সোহেল মাহফুজ, হাদিসুর রহমান সাগর, রাশেদ ইসলাম ওরফে আবু জাররা, শরিফুল ইসলাম ওরফে খালেদ ও মামুনুর রশীদ ওরফে রিপন।

মামুনুর রশীদ ওরফে রিপন গতকাল গ্রেপ্তার হওয়ার পর এখন এই মামলার এজাহারভুক্ত এক আসামি পলাতক রয়েছেন। তাঁর নাম শরিফুল ইসলাম ওরফে খালেদ।

হোলি আর্টিজান হামলার ঘটনায় ২১ জনের সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়। তাঁদের মধ্যে পাঁচজন ঘটনাস্থলে নিহত হন। পরবর্তী সময়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন অভিযানে আটজন নিহত হন।

২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে হোলি আর্টিজানে জঙ্গিরা হামলা চালায়। তারা অস্ত্রের মুখে দেশি-বিদেশি অতিথিদের জিম্মি করে। ওই রাতে অভিযান চালাতে গিয়ে পুলিশের দুই কর্মকর্তা নিহত হন। পরদিন সকালে সেনা কমান্ডোদের অভিযানে পাঁচ জঙ্গিসহ ছয়জন নিহত হয়। পরে পুলিশ ১৮ বিদেশিসহ ২০ জনের মরদেহ উদ্ধার করে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান একজন রেস্তোরাঁকর্মী।

image_pdfimage_print