
পানি সম্পদ উপ-মন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম এমপি বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশ ও দেশের মানুষের প্রতি যে ভালোবাসা তা অনন্য। দেশের এমন কোনো ক্ষেত্র নেই যেখানে তার উন্নয়ন ছোয়া লাগেনি। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। তার মতো দূরদর্শী নেত্রী আছে বলেই বাংলাদেশ আজ সঠিক পথে এগিয়ে চলেছে। একমাত্র জননেত্রী শেখ হাসিনাই বাংলাদেশের জন্য অপরিহার্য, তাঁর কোনো বিকল্প নেই।
শনিবার (৫ আগস্ট) রাজধানীতে দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন কার্যালয়ে বাংলাদেশ প্রতিদিন আয়োজিত “ফুটবল বিশ্বকাপ কুইজ ২০২২”-এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী শহীদ শেখ কামাল ছিলেন ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সংগঠক। বঙ্গবন্ধুর চিন্তা-চেতনা ও আদর্শে বড় হয়েছেন তিনি। শহীদ শেখ কামাল এদেশের আধুনিক ফুটবলের পথিকৃৎ। আবাহনী ক্রীড়া চক্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ক্রীড়া জগতে স্মরণীয় হয়ে আছেন শেখ কামাল। তিনি ছিলেন অভিজ্ঞ সম্ভাবনাময় তারণ্যের প্রতীক। খেলাধুলা, সংগীত, অভিনয়সহ প্রতিটি ক্ষেত্রে তাঁর অবদান ছিলো অনস্বীকার্য।
উপ-মন্ত্রী বলেন, শেখ কামাল ছাত্র সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন এবং তিনি একজন দক্ষ ছাত্র সংগঠক ছিলেন। তেমনিভাবে স্বাধীনতার পর তাঁর কর্মের মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া অঙ্গণে শেখ কামাল ছিলো বাংলাদেশের এক উজ্জল নক্ষত্র। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিকেট টিমের সদস্য ছিলেন। সৎ, সাহসী ও দক্ষ শেখ কামালকে হত্যা করেও ঘাতকরা তাঁর স্মৃতিকে হত্যা করতে পারেনি। তাঁর অল্প সময়ের কর্মকাণ্ডের ফলে যুগ যুগ ধরে এদেশের মানুষ তাকে মনে রাখবে।
শামীম বলেন, একসময় উত্তরবঙ্গ মঙ্গা হিসেবে পরিচিত ছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টানা তিনবার সরকার গঠন করে এই সাড়ে ১৪ বছর ধরে দেশে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। তাঁর কারণেই উত্তরবঙ্গের মানুষের জীবনমান পাল্টে গেছে। উত্তরাঞ্চলে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী উত্তরবঙ্গের মঙ্গাকে জাদুঘরে পাঠিয়েছেন। আজ থেকে সাড়ে ১৪ বছর আগে এই অঞ্চলের চিত্র এমন ছিলো না। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বদৌলতে এই অঞ্চলের যোগাযোগ, কৃষি ও অর্থনীতিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। উত্তরাঞ্চল দেশের কৃষিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। এই অঞ্চলে বাম্পার ফলন হচ্ছে। এর পরিমাণ আরও বেড়ে যাবে। গঙ্গা চুক্তির ন্যায় তিস্তা চুক্তিও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই করবেন। তাঁর কারণেই দূর্গম চরেও সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ পৌছে যায়।
তিনি বলেন, বিএনপি এবং তার সহযোগীরা ষড়যন্ত্র করে ২০০৭ সালে ব্যর্থ হয়েছে। ২০০৮ এর নির্বাচনে নিরঙ্কুশ ভাবে পরাজিত হয়েছে। তারা ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচন, গণতন্ত্র ও সংবিধানকে প্রতিহত করার লক্ষ্যে অগ্নি সন্ত্রাসের মাধ্যমে সর্বশক্তি নিয়োগ করেও পরাস্ত হয়েছে। ২০১৮ সালের নির্বাচনেও দেশি-বিদেশি নানা ষড়যন্ত্র সত্বেও নিরঙ্কুশভাবে পরাজিত হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাই আগামী নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় লাভ করে ক্ষমতায় থাকবেন। বিএনপি এবং তার দোসররা দেশে-বিদেশে যতই ষড়যন্ত্র করুক না কেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাই পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়বেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম, কালের কণ্ঠের প্রধান সম্পাদক কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলনসহ দেশবরেণ্য ব্যক্তিবর্গ।