Home জাতীয় কেমন হবে নতুন মন্ত্রিসভা

কেমন হবে নতুন মন্ত্রিসভা


বিশ্ববিদ্যায়ল পরিক্রমা প্রতিবেদক : টানা তৃতীয়বারের মতো জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয় পেয়ে খোশ মেজাজে ফিরেছে আওয়ামী লীগ। রেকর্ড সংখ্যক আসন ও ভোটের বড় ব্যবধানে জয় পেয়ে স্বস্তি ফিরেছে দলটির নেতাকর্মীদের মধ্যে। বড় ব্যবধানের এ জয়ের পর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ জনসাধারণের মধ্যে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে এখন নতুন মন্ত্রিসভা। এদিকে সদ্য সমাপ্ত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ীদের ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গতকাল মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম সচিব এস এম আসাদুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বিকেলেই বিজি প্রেসে আজকের তারিখে গেজেট প্রকাশের জন্য পাঠানো হয়েছে। আশা করছি কালকের (আজ) মধ্যে হাতে পৌঁছাবে। এর আগে নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেছিলেন, নাম, ঠিকানাসহ নির্বাচিতদের গেজেট প্রকাশের প্রস্তুতি চলছে। রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি সংগ্রহ করা হচ্ছে। মঙ্গলবারের মধ্যে সম্ভব না হলে বুধবার গেজেট প্রকাশ করা হবে। গেজেট প্রকাশের পর শপথের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে স্পিকারের কাছে তা পাঠাবে ইসি সচিবালয়।অপরদিকে সংসদ সচিবালয় জানিয়েছে, নতুন এমপিদের শপথ পড়ানোর প্রস্তুতি ইতোমধ্যে তারা নিয়েছেন। বুধবারের (আজ) মধ্যে হাতে পেলে একাদশ সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের (এমপি) শপথ পাঠ আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৩ জানুয়ারি) দুই দফায় অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম দফা শুরু হবে ঐদিন সকাল ১০টায়। জাতীয় সংসদ ভবনের শপথ কক্ষে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী তাদের শপথবাক্য পাঠ করাবেন। এর আগে গেজেট প্রকাশ হয়ে গেলে আগামী বৃহস্পতিবারই নতুন জনপ্রতিনিধিরা শপথ নেবেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। গতকাল সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। এদিকে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা নতুন সরকারে আবারো প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন এটা নিশ্চিত হলেও মন্ত্রিসভায় কারা আসছেন- তা নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। তবে আওয়ামী লীগ ও সরকারের কোনো পর্যায়ে এখনো মন্ত্রিসভার আকার বা গঠন প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হয়নি বলে দাবি করেছেন দলটির একাধিক নেতা। একাধিক সূত্র মতে, গত দুই মেয়াদের মতোই এবারো অংশগ্রহণমূলক মন্ত্রিসভা গঠন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মন্ত্রিসভায় আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের শরিক দল, সংসদীয় বিরোধী দল জাতীয় পার্টিসহ টেকনোক্র্যাট কোটায় সদস্য রাখা হচ্ছে। তবে তা কত সদস্য হবে, এখনো নিশ্চিত নয়। প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের একটি সূত্র মতে, এবারো মন্ত্রিসভায় প্রবীণ-নবীনের সমন্বয় ঘটবে। বর্তমান মন্ত্রিসভার বেশকিছু সদস্যের মন্ত্রণালয়ে পরিবর্তন আনা হবে। অপেক্ষাকৃত তরুণ কিন্তু কর্মে ইতোমধ্যে সফলতার ছাপ রেখেছেন এমন কয়েক সাংসদকে মন্ত্রিসভায় আনা হবে। বিগত দুই মেয়াদে মন্ত্রি পায়নি, এমন জেলাকে বিবেচনায় আনা হচ্ছে। তবে দলে গুরুত্বপূর্ণ পদে আছেন, তারা সাংসদ হলেও মন্ত্রিসভায় নেয়া হবে না, প্রধানমন্ত্রীর এমন নীতিগত সিদ্ধান্ত এবারো মন্ত্রিসভায় প্রতিফলিত হবে বলে জানা গেছে। গতকাল মন্ত্রিসভা গঠন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টাম-লীর সদস্য, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ জানান, মন্ত্রিসভার গঠন একমাত্র প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার। এ বিষয়ে কোনো পর্যায়ে আলোচনা হয়নি। তথ্য মতে, আগামীকাল নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের শপথ অনুষ্ঠিত হবে। এরপর পার্লামেন্টারি কমিটির বৈঠকে নেতা নির্বাচন করা হবে। এসব কার্যক্রম শেষ করতে এক সপ্তাহের বেশি সময় লাগতে পারে। এরপর মন্ত্রিসভা গঠন প্রক্রিয়া শুরু হবে। এসব প্রক্রিয়ায় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। বর্তমান মন্ত্রিসভার এক জ্যৈষ্ঠ সদস্যের সূত্র মতে, বর্তমান মন্ত্রিসভায় খুব বেশি পরিবর্তন আসবে না। ৬ থেকে ৮ জন বাদ পড়তে পারেন। আর নতুন করে আসতে পারে ১০ জনের মতো। এর মধ্যে প্রতিমন্ত্রী হিসেবে আসতে পারে ৪ জন। সরকার গঠনের প্রক্রিয়া নিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, আশা করি, বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস ১০ জানুয়ারির আগেই সংসদ সদস্য ও মন্ত্রীদের শপথ সম্পন্ন হবে। গেজেট হয়ে গেলেই এমপিদের শপথ অনুষ্ঠিত হবে। এমপিদের শপথের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সঙ্গে দেখা করবেন। এ সময় রাষ্ট্রপতি সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতাকে সরকার গঠনের আহ্বান জানাবেন। এসব কিছু নিয়ম-কানুন আছে। নিয়ম-কানুনগুলো শেষ করে ১০ জানুয়ারির আগেই মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের শপথ অনুষ্ঠান শেষ করা যাবে। তবে মন্ত্রিসভার আকার বা কারা আসছে- সে বিষয়ে কিছু বলেননি তিনি।সূত্র জানায়, বিতর্কিত কাউকে মন্ত্রিসভায় আনা হবে না। ক্লিন ইমেজ এবং তথ্যপ্রযুক্তি সম্পর্কে ধারণা রাখেন এমন নেতাদের মন্ত্রিসভায় আনা হবে। বয়সের কারণে বাদ পড়তে পারেন বর্তমান মন্ত্রিসভার ৩ সদস্য। টানা দুই মেয়াদে মন্ত্রী আছেন বাদ পড়তে পারেন এমন আরও তিনজন। জোটের একাধিক নেতা জানান, জোটের শরিক ১৪ দলের নতুন কারো মন্ত্রিসভায় আসার সম্ভাবনা নেই। জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জেপির আনোয়ার হোসেন মঞ্জু আবারো মন্ত্রিসভায় থাকছেন। জাতীয় পার্টি থেকে মন্ত্রিসভায় এবারো ৩ জন সদস্য রাখা হতে পারে। এর মধ্যে মন্ত্রিসভায় আসতে পারেন পার্টির কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের। তাকে বিরোধী দলের নেতাও করা হতে পারে। নির্বাচনি জোটের শরিক বি. চৌধুরী বিকল্প ধারা থেকে ১ জনকে মন্ত্রিসভায় আনা হতে পারে। টানা দুই মেয়াদে ক্ষমতাসীন হলেও ২০টি জেলা হতে কোনো মন্ত্রী করা হয়নি। যার কারণে কিছুটা হলেও কম উন্নয়ন হয়েছে ওইসব জেলায়। এর মধ্যে রয়েছে- ফেনী, সাতক্ষীরা, কক্সবাজার, মুন্সীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, শরীয়তপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, বাগেরহাট, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ, মেহেরপুর, নড়াইল, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রাম, পঞ্চগড়, বগুড়া, জয়পুরহাট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও হবিগঞ্জ। এবার এসব জেলা হতে মন্ত্রী পরিষদে সদস্য করার সম্ভাবনা রয়েছে বলে সূত্র জানিয়েছে।ঢাকার পার্শ্ববর্তী শরীয়তপুর জেলাটি আওয়ামী লীগ অধ্যুষিত এলাকা। জেলার ৩টি আসনে সব সময়ই জয় পেয়েছে আওয়ামী লীগ। কিন্তু গত দুই মেয়াদে মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী পায়নি জেলার মানুষ। একাদশ নির্বাচনে জেলাটির ৩ জন নির্বাচিত সাংসদই তরুণ। এর মধ্যে- আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম এবং কেন্দ্রীয় সদস্য ইকবাল হোসেন অপু প্রথমবারের মতো সাংসদ হয়েছেন। প্রয়াত নেতা আব্দুর রাজ্জাকের পর তার ওই আসনে তৃতীয়বারের মতো সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন নাহিম রাজ্জাক। বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র সজীব ওয়াজেদ জয় এবং রেদওয়ান সিদ্দীক ববির নেতৃত্বে পরিচালিত আওয়ামী লীগের গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) এবং ইয়াং বাংলার আহ্বায়ক হিসেবে দক্ষতার পরিচয় দিতে সক্ষম হয়েছেন নাহিম রাজ্জাক। তাকে মন্ত্রিসভায় আনা হতে পারে বলেও গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। এছাড়া বর্তমান অর্থমন্ত্রী আবুল মুহিত অবসরে যাওয়ার কথা বলে এবার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেননি। তবে তাকে টেকনোক্র্যাট কোটায় মন্ত্রিসভায় রাখা হতে পারে বলে তিনি নিজেই এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন। গতকাল সচিবালয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী কোনো কিছু বললে আমি না করি না। তিনি চাইলে, আমি আরও এক বছর দায়িত্ব পালন করবো।গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট ২৮৮টি আসনে জয়লাভ করে। আওয়ামী লীগ একাই জিতেছে ২৫৭টি আসনে। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ায় দলটি টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠন করতে যাচ্ছে। এই নির্বাচনে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোট পেয়েছে ৭টি আসন। বিএনপি এককভাবে পেয়েছে ৫টি। নির্বাচনে এককভাবে ২২টি আসন পেয়ে দ্বিতীয় বৃহত্তম দল হয়েছে জাতীয় পার্টি। একাদশ সংসদে তারাই বিরোধী দল হতে যাচ্ছে। বিএনপি জোটের সাংসদেরা শপথ নাও নিতে পারেন বলে জানা গেছে। ইতিমধ্যে তাঁরা ভোটের ফল প্রত্যাখ্যান করেছেন। আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, নির্বাচিতরা শপথ নেওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে নতুন মন্ত্রিপরিষদ গঠন হবে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা টানা তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন।প্রসঙ্গত, সংসদ নির্বাচনের ফল গেজেট আকারে প্রকাশের তিনদিনের মধ্যে শপথের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এরপর ৩০ দিনের মধ্যে অধিবেশন ডাকতে হবে। তবে ভোটের কতদিন পর গেজেট হবে, সেই বিষয়ে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরুর ৯০দিনের মধ্যে জাতীয় সংসদের স্পিকারকে অবহিত না করলে বা শপথ না নিলে সদস্যপদ খারিজ হয়ে যাবে। সদস্যদের আসন শূন্য হওয়ার বিষয়ে সংবিধানের ৬৭ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, কোনো সংসদ সদস্যের আসন শূন্য হইবে, যদি(ক) তাহার নির্বাচনের পর সংসদের প্রথম বৈঠকের তারিখ হইতে নব্বই দিনের মধ্যে তিনি তৃতীয় তফসিলে নির্ধারিত শপথ গ্রহণ বা ঘোষণা করিতে ও শপথপত্রে বা ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষরদান করিতে অসমর্থ হন: তবে শর্ত থাকে যে, অনুরূপ মেয়াদ অতিবাহিত হইবার পূর্বে স্পিকার যথার্থ কারণে তাহা বর্ধিত করিতে পারিবেন;
(খ) সংসদের অনুমতি না লইয়া তিনি একাদিক্রমে নব্বই বৈঠক-দিবস অনুপস্থিত থাকেন;(গ) সংসদ ভাঙ্গিয়া যায়; (ঘ) তিনি এই সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদের (২) দফার অধীন অযোগ্য হইয়া যান; অথবা(ঙ) এই সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদে বর্ণিত পরিস্থিতির উদ্ভব হয়।(২) কোন সংসদ-সদস্য স্পিকারের নিকট স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে স্বীয় পদ ত্যাগ করিতে পারিবেন, এবং স্পিকার- কিংবা স্পিকারের পদ শূন্য থাকিলে বা অন্য কোনো কারণে স্পিকার স্বীয় দায়িত্ব পালনে অসমর্থ হইলে ডেপুটি স্পিকার- যখন উক্ত পত্র প্রাপ্ত হন, তখন হইতে উক্ত সদস্যের আসন শূন্য হইবে।পদের শপথ –
১৪৮। (১) তৃতীয় তফসিলে উল্লিখিত যে কোন পদে নির্বাচিত বা নিযুক্ত ব্যক্তি কার্যভার গ্রহণের পূর্বে উক্ত তফসিল-অনুযায়ী শপথগ্রহণ বা ঘোষণা (এই অনুচ্ছেদে “শপথ” বলিয়া অভিহিত) করিবেন এবং অনুরূপ শপথপত্রে বা ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষরদান করিবেন।(২) এই সংবিধানের অধীন নির্দিষ্ট কোন ব্যক্তির নিকট শপথগ্রহণ আবশ্যক হইলে অনুরূপ ব্যক্তি যেরূপ ব্যক্তি ও স্থান নির্ধারণ করিবেন, সেইরূপ ব্যক্তির নিকট সেইরূপ স্থানে শপথগ্রহণ করা যাইবে।৩ ২(ক) ১২৩ অনুচ্ছেদের (৩) দফার অধীন অনুষ্ঠিত সংসদ সদস্যদের সাধারণ নির্বাচনের ফলাফল সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপিত হইবার তারিখ হইতে পরবর্তী তিন দিনের মধ্যে এই সংবিধানের অধীন এতদুদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা তদুদ্দেশ্যে অনুরূপ ব্যক্তি কর্তৃক নির্ধারিত অন্য কোন ব্যক্তি যে কোন কারণে নির্বাচিত সদস্যদের শপথ পাঠ পরিচালনা করিতে ব্যর্থ হইলে বা না করিলে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার উহার পরবর্তী তিন দিনের মধ্যে উক্ত শপথ পাঠ পরিচালনা করিবেন, যেন এই সংবিধানের অধীন তিনিই ইহার জন্য নির্দিষ্ট ব্যক্তি।(৩) এই সংবিধানের অধীন যে ক্ষেত্রে কোন ব্যক্তির পক্ষে কার্যভার গ্রহণের পূর্বে শপথগ্রহণ আবশ্যক, সেই ক্ষেত্রে শপথ গ্রহণের অব্যবহিত পর তিনি কার্যভার গ্রহণ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে।২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির দশম সংসদ নির্বাচনে তিনদিনের মধ্যে গেজেট প্রকাশের পর ৯ জানুয়ারি নির্বাচিত শপথ পড়ানো হয়।গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয় ২৯৯ সংসদীয় আসনের ভোটগ্রহণ। গাইবান্ধা-৩ আসনে এক প্রার্থীর মৃত্যু হওয়ায় সেখানে ভোট হবে ২৭ জানুয়ারি। আর ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের নির্বাচনে তিনটি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত হওয়ায় সেখানে পুনর্র্নিবাচনের পর ফল ঘোষণা করা হবে।