Home আইন/আদালত বিশ্ব ইজতেমার রিটের শুনানিতে আদালত: ‘সংশোধন হন, তারপরই আবেদন শুনবো’

বিশ্ব ইজতেমার রিটের শুনানিতে আদালত: ‘সংশোধন হন, তারপরই আবেদন শুনবো’


বিশ্ববিদ্যায়ল পরিক্রমা ডেস্ক : বিশ্ব ইজতেমা পালনে আদালতের নির্দেশনা চেয়ে রিট দায়ের করাকে ‘লজ্জার’ বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। ইজতেমাকে দুই ভাগে বিভক্ত করার সমালোচনা করে আদালত রিটকারী পক্ষের উদ্দেশে বলেন, আগে নিজেরা সংশোধন হন, সুস্থ হন এবং নিজেদের মধ্যকার বিভেদ নিরসন করুন। তারপরই আপনাদের আবেদন শুনবো।

মঙ্গলবার (২২ জানুয়ারি) আদালতের নির্দেশনা চেয়ে রিট দায়েরের শুনানিকালে বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।

এসময় রিট আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট শাহ মো. নুরুল আমিন। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।

শুরুতেই রিটকারীর আইনজীবী শাহ মো. নুরুল আমিন আদালতের সামনে মামলার বিবরণীর ওপর শুনানি করেন।

শুনানির এক পর্যায়ে আদালত রিটকারী পক্ষের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা নিজেরা দুই ভাগে বিভক্ত হলে দ্বীনের প্রচার করবেন কীভাবে? নিজেদের মধ্যে মারামারি করবেন, আবার ইজতেমা পালনের জন্য আদালতে রিট দায়ের করবেন, এটা লজ্জার। আগে নিজেরা সংশোধন হন, সুস্থ হন এবং নিজেদের মধ্যকার বিভেদ নিরসন করুন। তারপরই আপনাদের আবেদন শুনবো।’

এরপর রিটকারীর আইনজীবী শাহ মো.নুরুল আমিন আদালতকে বলেন, ‘দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব নিরসনের চেষ্টা চলছে। তবে দ্বন্দ্ব নিরসন সম্ভব না হলে সরকার দুই পক্ষকে আলাদা-আলাদাভাবে ইজতেমা পালনের যে নির্দেশনা দিয়েছেন তাই পালন করা হবে।’

এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু আদালতকে জানান, বিশ্ব ইজতেমা নিয়ে বুধবার (২৩ জানুয়ারি) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি জরুরি সভার তারিখ নির্ধারণ রয়েছে। ইজতেমার বিষয়ে সেখান থেকে সুস্পষ্ট নির্দেশনা আসতে পারে।’

রাষ্ট্রপক্ষের এই শুনানির পর মামলাটির পরবর্তী শুনানি ও শুনানি শেষে আদেশের জন্য আগামী ২৭ জানুয়ারি তারিখ নির্ধারণ করেন হাইকোর্ট।

এর আগে গত ২১ জানুয়ারি টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে বিশ্ব ইজতেমা করার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিটটি দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. ইউনুস মোল্লা। রিট আবেদনে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ তিন জনকে বিবাদী করা হয়।

উল্লেখ্য, গত বছরের ১ ডিসেম্বর টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে তাবলীগ জামাতের মওলানা সা’দ ও মাওলানা জুবায়ের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষে একজন নিহত ও উভয়পক্ষের কমপক্ষে দুই’শ জন আহত হন।