Home খেলাধূলা কুমিল্লার জয়ে শেষ দিনের অপেক্ষা ঢাকার

কুমিল্লার জয়ে শেষ দিনের অপেক্ষা ঢাকার


বিশ্ববিদ্যায়ল পরিক্রমা ডেস্ক : জয়ের ধারাবাহিকতা হারিয়েছে ঢাকা। তাদের চ্যালেঞ্জ শুধু একটা জয় পাওয়া। সেই জয়টা আসি আসি করেও ফাঁকি দিচ্ছে। শুক্রবার কুমিল্লার বিপক্ষে দিনের প্রথম ম্যাচেও জয়ের কাছে গিয়ে হেরেছে তারা। মাত্র ১ রানের হারে প্লে অফ নিশ্চিত হলো না সাকিবদের। অপেক্ষা করতে হবে গ্রুপ পর্বের শেষ দিন। শেষ ম্যাচ পর্যন্ত। খুলনার বিপক্ষে ওই ম্যাচ জিতলে প্লে অফে যাবে ঢাকা। নয়তো বিদায় নেবে আসর থেকে।

গ্রুপে ঢাকা ১১ ম্যাচ খেলে পাঁচ জয় নিয়ে পাঁচে আছে। ওদিকে ১২ ম্যাচে ছয় জয় নিয়ে এগিয়ে আছে রাজশাহী। কিন্তু মিরাজদের নেট রান রেট কম। আর তাই শেষ দিন গ্রুপের তলানিতে থাকা খুলনাকে কোন মতে হারাতে পারলেই প্লে অফে ঢাকা। আর হারলে মিরাজরা উঠে যাবে বিপিএলের ষষ্ঠ আসরের প্লে অফে।

ঢাকায় বিপিএলের ষষ্ঠ আসরের গ্রুপের শেষ পর্বে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করে ১২৭ রানে অলআউট হয়ে যায় কুমিল্লা। ব্যাট হাতে তারকা খচিত দল নিয়েও ভালো সংগ্রহ পায়নি ভিক্টোরিয়ান্সরা। দলের হয়ে তামিম ইকবাল সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেন। এছাড় শেষ দিনে আফ্রিদির ১৮ রান, মেহেদি হাসানের ২০ রান এবং ওহাব রিয়াজের ১৬ রানের সুবাদে ওই সংগ্রহ পায় কুমিল্লা।

জবাবে শুরুটা ভালো হয়নি ঢাকারও। মিরপুরের উইকেটে কম রানের লড়াই আগেই দেখা গেছে। এ ম্যাচও তেমন কিছু দেখতে যাচ্ছে সেটা শুরুতেই বোঝান সাইফউদ্দিন-মেহেদি হাসানরা। শুরুর ১৭ রানের মধ্যে উপুল থারাঙ্গা, মিজানুর রহমান এবং রনি তালুকাদার ফিরে যান। পরেই ফিরে যান সাকিব। সেখান থেকে সুনীল নারিন, কিয়েরন পোলার্ড এবং রাসেল ছোট ছোট রানে ভরসা দেন দলকে।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ এই ত্রয়ীর ব্যাটে জয়ের স্বপ্ন দেখছিল ঢাকা। কিন্তু নারিন ২২ রানে, পোলার্ড ৩৪ রানে ফিরে যান। দায়িত্ব পড়ে রাসেলের কাঁধে। তিনি ২৩ বলে ৩০ রান করেও ম্যাচ বের করতে পারেননি। হার না মানা ইনিংস খেললেও ম্যাচ হারের স্বাদ নিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি।

শেষ তিন ওভারে জয়ের জন্য ঢাকার দরকার ছিল ৩৭ রান। আফ্রিদি এসে ১৮তম ওভারে ১৭ রান দিয়ে বসেন। পরের ওভারে ওহাব রিয়াজ দেন ৭ রান। শেষ ওভারে জয়ের জন্য ১৩ রান দরকার ছিল ঢাকার। শেষ দুই বলে ১২ রান করে ফেলেন সাইফউদ্দিন। কিন্তু রাসেল পঞ্চম বলে ছক্কা মেরে দেন। শেষ বলে জিততে ঢাকার দরকার ছয় রান। রাসেলকে দুর্দান্ত এক ইয়ার্কার মারলেন সাইফউদ্দিন। পড়ে গিয়ে বল আটকান রাসেল। উইকেটরক্ষকের পাশ দিয়ে বল সীমানা খুঁজে নিতে থাকে। কিন্তু সেদিকে না তাকিয়ে জয়ের উল্লাস শুরু হয়ে যায় ভিক্টোরিয়ান্স শিবিরে।

কুমিল্লার হয়ে এ ম্যাচে দুর্দান্ত বল করেন সাইফউদ্দিন। তিনি ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন। মেহেদি হাসান নেন দুই উইকেট। এছাড়া আফ্রিদি, ওহাব রিয়াজ এবং মোশাররফ একটি করে উইকেট নেন। ঢাকার হয়ে রুবেল হোসেন ৪ ওভারে ৩০ রানে নেন ৪ উইকেট। সাকিব এবং নারিন নেন দুটি করে উইকেট। একটি উইকেট পান শুভাগত হোম।