Home জাতীয় ১০০০ টাকার অক্সিজেন সিলিন্ডার ৩০ হাজারে বিক্রির চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস!

১০০০ টাকার অক্সিজেন সিলিন্ডার ৩০ হাজারে বিক্রির চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস!


বিশ্ববিদ্যায়ল পরিক্রমা ডেস্ক: উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান পর্যাপ্ত অক্সিজেন সরবরাহ করলেও চট্টগ্রামে তৈরি হয়েছে অক্সিজেনের সংকট। এর কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে চারটি প্রতিষ্ঠানের কারসাজির প্রমাণ পেয়েছে জেলা প্রশাসন। প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিটি অক্সিজেন সিলিন্ডার বিক্রি করছে ২৫-৩০ হাজার টাকায় এবং সিলিন্ডার রিফুয়েলিংয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে এক হাজার টাকা পর্যন্ত।

প্রতিষ্ঠান চারটি হলো- চকবাজারের বিসমিল্লাহ এন্টারপ্রাইজ, কাজীর দেউড়ির হাসান ট্রেডার্স, কর্ণফুলীর জিলানী অক্সিজেন লিমিটেড ও সদরঘাটের ব্রাদার্স প্রকৌশলী ওয়ার্কস। এরইমধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জরিমানাও করা হয়েছে এসব প্রতিষ্ঠানের মালিককে।

এসব প্রতিষ্ঠান নিজেদের মেডিকেল গ্রেড অক্সিজেন প্রস্তুতকারী বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান লিন্ডে বাংলাদেশের ডিলার দাবি করলেও এর সত্যতা পাওয়া যায়নি। তারা সীতাকুণ্ডের পাঁচটি প্রতিষ্ঠান থেকে ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্রেডের অক্সিজেন সংগ্রহ করে পরে সেগুলো মেডিকেল গ্রেডের অক্সিজেন হিসেবে চড়া দামে বিক্রি করে আসছে বলে অনুসন্ধানে জানা গেছে।

বুধবার লিন্ডে বাংলাদেশের কারখানা পরিদর্শন শেষে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য জানিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম।

তিনি জানান, চট্টগ্রামে অক্সিজেন সিলিন্ডারের বাজারে অস্থিরতার পেছনে এ পর্যন্ত চারটি প্রতিষ্ঠানের কারসাজির প্রমাণ পাওয়া গেছে। দুইদিন অভিযান চালিয়ে মাত্রাতিরিক্ত দামে অক্সিজেন সিলিন্ডার বিক্রি এবং রিফিলিংয়ের জন্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে জরিমানা করা হয়।

তৌহিদুল ইসলাম জানান, কয়েক বছর আগে লিন্ডে বাংলাদেশের হয়ে হাসপাতালে অক্সিজেন সরবরাহ করতো বিসমিল্লাহ এন্টারপ্রাইজ। কিন্তু এক পর্যায়ে টেম্পারিংয়ের দায়ে তাদের অব্যাহতি দিয়ে কালো তালিকাভূক্ত করে লিন্ডে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ।

তিনি আরো জানান, লিন্ডে বাংলাদেশ ভ্যাটসহ এক হাজার ৪শ’ লিটারের মেডিকেল গ্রেড অক্সিজেন সিলিন্ডার বিক্রি করেছে এক হাজার টাকায় ও প্রতিটি অক্সিজেন সিলিন্ডার রিফুয়েলিং করেছে ১২৮ টাকায়। আর প্রতিষ্ঠানগুলো অধিক মুনাফার লোভে লিন্ডে বাংলাদেশের লেবেল ব্যবহার করে প্রতিটি অক্সিজেন সিলিন্ডার বিক্রি করছে ২৫-৩০ হাজার টাকায় এবং সিলিন্ডার রিফুয়েলিংয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে এক হাজার টাকা পর্যন্ত।

জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম জানান, অক্সিজেনের কোনো সংকট নেই বলে লিন্ডে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। চাহিদা অনুযায়ী অক্সিজেন উৎপাদন অব্যাহত রয়েছে। ২০ জুনের মধ্যে আরো চার হাজার মেডিকেল গ্রেড সিলিন্ডার আমদানি করা হবে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।