Home ব্রেকিং ঢাবি শিক্ষার্থী শুভর খুনিদের গ্রেফতারের দাবি মায়ের

ঢাবি শিক্ষার্থী শুভর খুনিদের গ্রেফতারের দাবি মায়ের


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী জাকারিয়া বিন হক শুভকে  হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন মা নুর জাহান হক। রবিবার বেলা ২টায় লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন।

সংবাদ সম্মেলনে শুভ’র মা বলেন, বিয়ের পর থেকে স্ত্রী ও শ্বাশুড়ির চাপে শুভ পরিবারের সাথে যোগাযোগ কমিয়ে দেয়। মাঝে মধ্যে মোবাইলে কথা হলেও শুভ’র মাঝে আতংক মনে হত। স্ত্রী ও শ্বাশুড়ির আচরণে ক্ষুব্ধ ছিল শুভ। কিন্তু প্রেম করে বিয়ে করায় পরিবারকে বিষয়টি জোর করে বলতে পারেনি।

নিহত জাকারিয়া বিন হক শুভ লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার উত্তর ঘনেশ্যাম(এমসি মোড়) এলাকার মৃত আব্দুল হকের ছেলে। চাকুরীর সুবাধে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের তাজমহল রোডে শ্বশুরালয়ের পাশে ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন তিনি।

এঘটনায় নিহত শুভ’র বড়বোন হাসিনা নাজনিন বিনতে হক বাদি হয়ে শুক্রবার(২৬ সেপ্টেম্বর)  রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় নিহত শুভর স্ত্রী শেহনীলা নাজ ও শাশুড়ি আছমা বেগমসহ অজ্ঞাতদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলার ৯ দিনেও পুলিশ আসামিদের গ্রেফতার করতে পারেনি বলেও সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন নিহত শুভ’র মা নুর জাহান হক।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, নিহত শুভ’র মামি কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামীলীগের তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ রাজিয়া মোস্তফা, শুভ’র বোন হাসিনা ইয়াসমিন বিনতে হক, মামলার বাদি হাসিনা নাজনিন বিনতে হক।

এ দিকে শুভ’র হত্যার বিচার দাবি করে গ্রামের বাড়িতে, লালমনিরহাট শহরে ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একাধিকবার মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে নিহত শুভ’র বন্ধু বান্ধব, আত্মীয় স্বজন, পরিবার ও গ্রামবাসী।

উল্লেখ্য,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী জাকারিয়া বিন হক শুভকে  প্রায় ৫ বছর আগে প্রেমের ফাঁদে ফেলেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক শেহনীলা নাজ। নানা নাটকীয়তায় ৯ মাস পূর্বে বিয়ে হয় তাদের। বিয়ের পর থেকেই তাজমহল রোডে ভাড়া বাসা নিয়ে পরিবার থেকে শুভকে আলাদা করেন স্ত্রী শেহনীলা নাজ ও ঢাকা রেসিডিয়েনশিয়াল কলেজের উপাধ্যাক্ষ আছমা বেগম শুভ’র শ্বাশুড়ি।

গত ২৪ সেপ্টেম্বর শুভ অফিসে গেলে বাহিরে বিভিন্ন জনের সাথে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলে শুভ’র স্ত্রী শেহনীলা নাজ। প্রতিবাদ করতে গিয়ে এটাই কাল হয়ে দাঁড়ায় শুভ। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওইদিন বিকেলে স্ত্রী ও শ্বাশুড়ি মিলে পরিকল্পিত ভাবে শুভকে হত্যা করে আত্মহত্যার নাটক সাজায়। মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা পরে পরিবারকে জানায় হার্ট এট্যাক হয়ে শুভ মারা গেছে। ওইদিন রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধুরা ওই বাসায় গেলে শুভ’র স্ত্রী বন্ধুদের জানান আত্মহত্যা করেছে শুভ।