Home ব্রেকিং জাতীয় প্রেস ক্লাবে মুজিব বর্ষ ২০২০ উপলক্ষে আলোচনা সভা ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের...

জাতীয় প্রেস ক্লাবে মুজিব বর্ষ ২০২০ উপলক্ষে আলোচনা সভা ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে


পানিসম্পদ উপমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম বলেছেন, বিএনপি ২০১৩ সালে নির্বাচন বানচাল করার নামে সারাদেশে আগুন সন্ত্রাস করেছিল। ২০১৪ সালের নির্বাচনে জনগণ দ্বারা প্রত্যাখ্যান হয়। গত সংসদ নির্বাচনেও পরাজিত। তারা আন্দোলনে ব্যর্থ। এখন লন্ডন ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে আবার অগ্নি সন্ত্রাস বেছে নিয়েছে। এদের প্রতিরোধ ও প্রতিহত করতে হবে। এ ব্যাপারে দেশবাসীকে সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে।

আজ দুপুরে মুজিববর্ষ উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভা ও মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু দুস্থ কল্যাণ সংস্থার সভাপতি মাহবুব হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন নুরুল আমিন রুহুল এমপি, উম্মে কুলসুম নাজমা বেগম এমপি, বাকৃবির সাবেক ভিসি কামাল উদ্দিন আহমেদ, আওয়ামী লীগ নেতা ব্যারিস্টার জাকির হোসেন, যুবলীগ নেতা আসাদুজ্জামান আজম, যুবলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মানিক লাল ঘোষ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শরিফুল ইসলাম শরিফ,, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রোকন উদ্দিন পাঠান প্রমুখ।
এনামুল হক শামীম বলেন, স্বাধীনতার আগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যা বলতেন, সাড়ে সাত কোটি বাঙালি তাই শুনতেন। তিনি হুকুম দিয়েছিলেন ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তুলতে, বাঙালি তাই তুলেছিলেন। বঙ্গবন্ধু এমন এক নেতা যিনি একটি রাজনৈতিক দল গঠন করে আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে ধীরে ধীরে স্বাধীনতা অর্জন করেছেন। তাকে কেউ কেউ ভারতের মাহাত্মা গান্ধীর সঙ্গে তুলনা করেন। কিন্তু মাহাত্মা গান্ধী কংগ্রেস সৃষ্টি করেননি, তিনি কংগ্রেসে যোগ দিয়ে স্বাধীনতা আন্দোলন করেছেন। পাকিস্তানের কায়েদা আজম মুসলিম লীগ সৃষ্টি করেননি। তিনি মুসলিম লীগে যোগদান করেন। আর বঙ্গবন্ধু ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ সৃষ্টি করে দেশ স্বাধীন করেছেন। যতকাল বাংলাদেশ নাম রাষ্ট্র থাকবে, ততকাল বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান স্বর্ণ অক্ষরে লেখা থাকবে।

আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, বিএনপির জন্ম হয়েছিলো হত্যা, গুম, সন্ত্রাস ও ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে। তাই তারা রাজনৈতিক চরিত্র হারিয়ে এখন সন্ত্রাসী সংগঠনে পরিণত হয়েছে। ক্ষমতায় থাকলে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক রহমান দেশের অর্থ বিদেশে পাচার করে, দেশটাকে লুটেপুটে খায়। আর ক্ষমতায় না থাকলে ও নির্বাচনে পরাজিত হয়ে পেট্রল বোমা মেরে মানুষ হত্যা করে। তাই তারা আন্তর্জাতিকভাবে সন্ত্রাসী সংগঠনে পরিণত হয়েছে।

প্সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর -২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এডভোকেট মোঃ নুরুল আমিন রুহুল।তিনি আরও বলেন, বিএনপির সন্ত্রাসী কর্মকান্ড কোনভাবেই বরদাশত করা হবে না। অতীতের ন্যায় আওয়ামী লীগ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের দাঁতভাঙ্গা জবাব দিতে প্রস্তুত। এখন বিএনপি কোন ধরনের গণতন্ত্র নিয়ম-কানুন ও বিধি-নিষেধ তোয়াক্কা না করে তাদের নাশকতামূলক চরিত্রকে আঁকড়ে ধরে রাখছে। রাজধানীতে বাসে আগুনের ঘটনা প্রমাণ করে বিএনপি তাদের চিরাচরিত সন্ত্রাসী পন্থা পরিহার করতে পারেনি। বিএনপি যদি এসব নাশকতামূলক কর্মকান্ড পরিহার না করে, তবে আওয়ামী লীগ তাদের বিরুদ্ধে দুর্বার প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।

নুরুল আমিন রুহুল  বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হবে তখন, যখন বিএনপিকে জেতার নিশ্চয়তা দেয়া হবে। বিএনপি জানে যে, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার উন্নয়ন ও সঙ্কট মোকাবিলায় তার যে সাহসী নেতৃত্ব, বৈশ্বিক মহামারীতে অন্য দেশের তুলনায় আমরা অনেক ভাল আছি। শেখ হাসিনার মতো নেতৃত্ব আছে বলেই তার জনপ্রিয়তা অনেক বেড়ে গেছে। বিএনপি জানে জনগণের ভোটে তারা জিততে পারবে না। সেজন্যই নির্বাচনকে বিতর্কিত করতেই তারা নির্বাচনে অংশ নিয়েছে।