মাদক পাচার রোধে ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি হয়েছে জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, মাদক দ্রব্যের অপব্যবহার ও চোরাচালান বর্তমানে একটি বৈশ্বিক সমস্যা। এজন্য মাদকের করাল গ্রাস থেকে দেশ ও জাতিকে রক্ষা এবং মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার রোধে সরকারের অবস্থান অত্যন্ত কঠোর।
আজ শনিবার দুপুরে মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচার বিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস-২০২১ উপলক্ষে ভার্চুয়ালি এক আলোচনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি জানান, মাদক চোরাচালান ও অপব্যবহারের ফলে জনস্বাস্থ্য, আইনশৃঙ্খলা ও দেশের অর্থনীতি হুমকির মুখে পড়েছে।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে যেমন আমরা জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়িয়েছি, জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করে সম্পূর্ণ দমন করতে না পারলেও নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছি। ঠিক তেমনভাবে মাদকের বিরুদ্ধে সমাজের সবাইকে নিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে হবে। জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করে মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে হবে। তবেই মাদক নির্মূলের মাধ্যমে সুন্দর সমাজ গড়া সম্ভব।’
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, একটা সময় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ঠুঁটো জগন্নাথ হিসেবে ছিল। তখন এর কিছুই ছিল না। প্রাধনমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় এ অধিদপ্তরে বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয় তৈরি করে জনবল নিয়োগ, একটি সুন্দর কর্মপরিকল্পনা, অবকাঠামো করে এবং বিভিন্ন সাপোর্ট দিয়ে এর গতি বাড়ানো হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ডোপ টেস্ট কার্যক্রম শুরু করেছি। ইতোমধ্যে সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে এটি চলমান রয়েছে। পর্যায়ক্রমে এটি সকল পর্যায়ে চলবে। তবে আপাতত এটি বেসরকারি কোনো প্রতিষ্ঠানের হাতে দিচ্ছি না।’
এসময় সর্বস্তরে ডোপ টেস্ট জরুরি উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল আরও বলেন, ‘শিক্ষাজীবন থেকে শুরু করে চাকরিজীবনে প্রবেশের শুরুতে সর্বক্ষেত্রে যদি ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করা হয়, তবে মাদকের আগ্রাসন কমে যাবে।’
