Home ব্রেকিং হাইব্রিড নয়, ত্যাগীদের মূল্যায়ন করতে হবে: সুজিত রায় নন্দী

হাইব্রিড নয়, ত্যাগীদের মূল্যায়ন করতে হবে: সুজিত রায় নন্দী


নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী বলেছেন, তৃণমূলের নেতাকর্মীরাই আওয়ামী লীগের প্রাণশক্তি। তারা অভিমানী হয়- কিন্তু বেইমান হয় না। তৃণমূল কখনও দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেনি। তৃণমূল যুগে-যুগে, কালে-কালে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে।

নেত্রীর মুক্তি আন্দোলনে তৃণমূল রুখে দাঁড়িয়েছে। হাই ব্রিড, কাউয়া, আগাছা ও যারা সুদিনের মধু খেয়ে চলে যায়- এদের চিরতরে উপড়ে ফেলে দিতে হবে এবং ত্যাগীদের মূল্যায়ন করতে হবে। সংগঠনের জন্য ত্যাগীদের যে শ্রম, সেই শ্রমের মূল্যায়ন করতে হবে এবং সম্মান করতে হবে।

আজ রবিবার রাজধানীর ডেমরার ডগাইর রুস্তম আলী স্কুল মাঠে মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ৬৬নং ওয়ার্ডের আওতাধীন ইউনিট আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মিজবাহুর রহমান ভূইয়া রতন ও শরফুদ্দীন আহমেদ সেন্টু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন মাহি, ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম খান মাসুদ, সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান মোল্লা সজল।

অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে ছিলেন ৬৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ইউনিট প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক শাহাবুদ্দিন ও সদস্য সচিব হানিফ তালুকদার। সম্মেলনে উদ্বোধন করেন মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ আবু আহমেদ মন্নাফী এবং প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মো. হুমায়ুন কবির।

আওয়ামী লীগকে সাংগঠনিক ভাবে আরও শক্তিশালী করতে হবে জানিয়ে সুজিত রায় নন্দী বলেন, আজ বাংলাদেশে যা কিছু অর্জন হয়েছে- সব কিছুই আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে হয়েছে, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে হয়েছে। এই উন্নয়ন অগ্রযাত্রার ধারা অব্যাহত রাখতে আওয়ামী লীগকে আরও শক্তিশালী করতে হবে, জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। এজন্য তৃণমূল আওয়ামী লীগকে সব সময় ঐক্যবদ্ধ ও সতর্ক থাকতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে- সংগঠন শক্তিশালী না হলে আমাদের অস্তিত্ব থাকবে না। সংগঠন শক্তিশালী হলে সরকার শক্তিশালী হবে।