Home ব্রেকিং অপরাধবোধ থেকে বিএনপি নির্বাচনে যেতে সাহস পায় না: শেখ পরশ

অপরাধবোধ থেকে বিএনপি নির্বাচনে যেতে সাহস পায় না: শেখ পরশ


সার্চ কমিটির মাধ্যমে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়েছে। আমি এই প্রক্রিয়াকে স্বাগত জানাই এবং নতুন নির্বাচন কমিশনকে সাধুবাদ জানাই। কিন্তু বিএনপি-জামাত নির্বাচন নিয়ে তালবাহানা করছে, কারণ তাদের নিজস্ব অপরাধবোধ থেকে তারা নির্বাচনে যেতে সাহস পাচ্ছে না। সাহস পাবেই বা কিভাবে, তারাতো অপরাধী এবং দোষী। তাদের প্রধান নেত্রী খালেদা জিয়া এতিমের টাকা আত্মসাৎ করে সাজাপ্রাপ্ত আসামী। ভারপ্রাপ্ত নেতা তারেক জিয়া ১০ ট্রাক অস্ত্রপাচার মামলায় এবং একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় আইভি রহমানসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হত্যা করা এবং দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত আসামী। আজ শহীদ (ক্যাপ্টেন) এম. মনসুর আলী জাতীয় হ্যান্ডবল স্টেডিয়ামে ইতালী ও জাপান শাখা যুবলীগের সহযোগিতায় বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের উদ্যোগে অসহায় ও দুঃস্থ শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ এ কথা বলেন।

যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, অগ্নি সন্ত্রাস করে জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারার দল বিএনপি। তারেক এবং খালেদা জিয়ার নির্দেশেই যে অগ্নি সন্ত্রাস চালানো হয়েছিল তা বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার তথ্যের মাধ্যমে প্রমাণ পাওয়া যায়। ২০১৪ সালের সেই নেক্কারজনক ঘটনাকালে অগ্নিদগ্ধ ও আপনজন হারা স্বজনদের ব্যথা এখনো মানুষের মনে দাউ দাউ করে জ্বলছে। বিএনপি জানে তাদের জন্য মানুষের শুধু ঘৃণাই রয়েছে; মানুষ তাদের বিশ্বস করে না। তাই তারা নির্বাচনে যেতে ভয় পায়। কারণ তারা জানে যে এই অপরাধী বিএনপিকে মানুষ কোনদিনও ভোট দেবে না। সেই অপরাধবোধ থেকে মানুষের সামনে ভোট চাইতে যেতে ভয় পায়। জনগণের হাজার হাজার কোটি টাকা মানি-লন্ডারিং করে বিদেশে পাচার করেছে তারেক জিয়া ও বিএনপি নেতৃবৃন্দ।

তিনি আরও বলেন, ২০০৯ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত এই প্রথম একানা আওয়ামী লীগ সরকার রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে আছে বলেই গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে অর্থনৈতিক উন্নতি করা সম্ভব হচ্ছে। এই ১৩ বছর ধারাবাহিক গণতন্ত্র চলমান রয়েছে। জনগণের ভোটে নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলেই দেশের মানুষ উন্নতি উপভোগ করছে। আওয়ামী লীগ দেশ পরিচালনা করছে বলেই বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার দারিদ্র দুর করে এদেশের মানুষের মুখে দু’বেলা ভাতের ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছে। ভূমিহীনদের বিনামূল্যে জমি, ঘর ও আর্থিক সহায়তা দিয়েছে। সাধারণ মানুষের জীবনের চেহারাই পালটে দিয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার। প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়ে আলোকিত করছে বঙ্গবন্ধুকন্যার সরকার।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এ্যাড. মামুনুর রশীদ, মঞ্জুর আলম শাহীন, আবু আহমেদ নাসিম পাভেল, ডাঃ খালেদ শওকত আলী, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মুহাঃ বদিউল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মোঃ মাজহারুল ইসলাম, এ্যাড. ড. শামীম আল সাইফুল সোহাগ, প্রফেসর ড. মোঃ রেজাউল কবির, ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইন উদ্দিন রানা, উত্তরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল, দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এইচ এম রেজাউল করিম রেজা, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইসমাইল হোসেন, কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মোঃ সাদ্দাম হোসেন পাভেল, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মোঃ শামছুল আলম অনিক, উপ-দপ্তর সম্পাদক মোঃ দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, উপ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক মোঃ সফেদ আশফাক আকন্দ তুহিন, উপ-ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মোঃ আলতাফ হোসেন, উপ-তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকত, উপ-কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক মোল্লা রওশন জামির রানা, উপ-মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ গোলাম কিবরিয়া শামীম, সহ-সম্পাদক সামিউল আমিন, মোঃ আলমগীর হোসেন শাহ জয়, কার্যনির্বাহী সদস্য এ বি এম আরিফ হোসেন, মোঃ ওলিদ হোসেন, কেন্দ্রীয় সদস্য মোঃ কামরুজ্জামান কামরুল, মোঃ নাদিম উদ্দিন, মোঃ মাহমুদুল হাসান, ইতালী শাখার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এনায়েত করিম, জাপান শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক রাজু আহমেদসহ কেন্দ্রীয় মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড শাখার নেতৃবৃন্দ।