Home ব্রেকিং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিশ্রমের ফসল হিসাবে মাথাপিছু আয়ের ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ...

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পরিশ্রমের ফসল হিসাবে মাথাপিছু আয়ের ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ প্রথম…… ড. শামসুল আলম


শামসুজ্জামান ডলার ও জহিরুল হাসান মিন্টুঃ
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ড. শামসুল আলম বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। তার পরিশ্রমের ফসল হিসাবে মাথাপিছু আয়ের ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ প্রথম স্থানে রয়েছে।

সোমবার (৪ জুলাই) দুপুরে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলা সভাকক্ষে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলমের ব্যক্তিগত তহবিল থেকে অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথাগুলো বলেছেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশরাফুল হাসান এর সভাপতিত্বে এবং সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মাহফুজ মিয়ার সঞ্চালনায় প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করা যা আমাদের আত্মপ্রত্যয়ের প্রতীক। ‘পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর পরই মেট্রোরেল, কর্ণফুলী টানেলের মতো মেগা প্রজেক্টগুলো এই বছরই চালু হতে যাচ্ছে।

মতলব উত্তর উপজেলায় পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম এর ব্যক্তিগত তহবিল থেকে অনুদান হিসাবে মোট ৪ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা প্রদান করেন। এর মধ্যে ১২ জন দরিদ্র ব্যক্তিকে ১ লক্ষ ৩০ হাজার আর ১৬ টি প্রতিষ্ঠানকে ২ লক্ষ ৮৫ হাজার টাকা প্রদান করেন।

চেক বিতরণ পূর্ব সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, সিনিয়র এএসপি মতলব সার্কেল ইয়াছির আরাফাত, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ হেদায়েত উল্যাহ, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোতাহার হোসেন খান সুফল, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শহিনা আক্তার, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি দেওয়ান জহির, অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ শাজাহান কামাল, ফতেপুর পশ্চিম ইউপি চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ,
ষাটনল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফেরদাউস আলম সরকার প্রধান শিক্ষক খায়ের উদ্দীন প্রমূখ।

পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ‘২০২২ সাল হবে বাংলাদেশের জন্য অবকাঠামো উন্নয়নের এক মাইলফলকের বছর। অনেক ষড়যন্ত্রের জাল আর প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে নিজস্ব অর্থায়নে গত ২৫ জুন আমরা পদ্মা সেতু উদ্বোধন করতে সক্ষম হয়েছি । এই সেতু উদ্বোধনের ফলে দেশের দক্ষিণাঞ্চলকে ২১টি জেলার সাথে সরাসরি রাজধানীসহ অন্যান্য অঞ্চলের সঙ্গে যুক্ত হয়েগেছে।তিনি আরো বলেন, ‘পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর পরই মেট্রোরেল, কর্ণফুলী টানেলের মতো মেগা প্রজেক্টগুলো এই বছর চালু হতে যাচ্ছে।

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ অনেক ঘাত-প্রতিঘাত সহ্য করেছে, অনেক চড়াই উৎড়াই, বন্ধুর পথ পার হয়েছে। আজকে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আছে বলেই মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হচ্ছে। এই বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে আর কখনও কেউ যেন ছিনিমিনি খেলতে না পারে সে জন্য আওয়ামী লীগের প্রত্যেকটা নেতা-কর্মী অতন্ত্র প্রহরীর মত কাজ করবে।

শেখ হাসিনার অর্জন বিষয়ে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী বলেন, সিট মহলের ৭০ বছরের সমস্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা সমাধান করেছেন। ওখানে ৩১ বর্গ কিলোমিটার আমরা বেশী পেয়েছি।

সমুদ্রসীমা নিয়ে মামলা করে ভারত ও মিয়ানমার থেকে আমরা বাংলাদেশের সমপরিমান জায়গা পেয়েছে। ওখানে ১ লক্ষ ১৮ হাজারের অধীক বর্গকিলোমিটার সীমানা আমরা বিনা যুদ্ধে জয় করেছি, যা শেখ হাসিনার অর্জন।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা দরিদ্র থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হতে সক্ষম হয়েছি।অনুন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীর দেশে উন্নীত হয়েছি। বর্তমানে পাকিস্তান থেকে আমাদের মাথাপিছু আয়ো বেশী। আর এ সবই সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে।

আপনারা শেখ হাসিনার জন্য দোয়া করবেন, উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে শেখ হাসিনার পাশে থাকুন। দেশকে আরো এগিয়ে নিয়ে যান।

নির্বাচন আসছে দেশে নানা জটিলতা সৃষ্টি হবে কিন্তু আপনাদের সজাক দৃষ্টি রাখতে হবে। ধর্মীয় উস্কানী হতেপারে কিন্তু বিভ্রান্ত হওয়া চলবেনা।

তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগকে একটা প্রবীণ ও ঐতিহ্যবাহী দল।বড় দল হিসেবে এখানে ছোটখাটো কিছু বিভেদ থাকতেই পারে। কিন্তু দলের বৃহৎ স্বার্থে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা সকল ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে ঐক্যবদ্ধ কাজ করে।

মতলবের উন্নয়নের বিষয়ে তিনি বলেন, মতলব উত্তরের ৪ লক্ষাধিক জনবসতির মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পকে টেকসই ও আধুনিকভাবে গড়ে তুলতে হবে। মতলব-গজারিয়া সেতু নির্মাণের মাধ্যমে মতলব তথা চাঁদপুরের দক্ষিণাঞ্চলের সাথে রাজধানীর দূরত্ব কমিয়ে আনতে হবে। আর এই সেতু বাস্তবায়নের মাধ্যমে মতলবে শিল্পাঞ্চল গড়ে তুলতে হবে।

অনুষ্ঠানে কোরআন তেলাওয়াত করেন মাওলানা আক্তার হোসেন এবং গীতা পাঠ করেন সজীব চন্দ্র দাশ।