Home ক্যাম্পাস খবর ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে “চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য কর্মশক্তির ক্ষমতায়ন (4IR) : বাংলাদেশে...

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে “চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য কর্মশক্তির ক্ষমতায়ন (4IR) : বাংলাদেশে কর্মসংস্থানের জন্য একটি কেস স্টাডি” শীর্ষক দিনব্যাপী সামিট অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশে চতুর্থ শিল্পবিপ্লব মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় দক্ষ ভবিষ্যৎ- প্রস্তুত কর্মী বাহিনী গড়ে তোলার লক্ষ্যে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সেন্টার ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের আইসিটি বিভাগের অ্যাসপায়ার টু ইনোভেট (a2i) এর সহযোগিতায় “চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের জন্য কর্মশক্তির ক্ষমতাডন (বাংলাদেশে কর্মসংস্থানের জন্য একটি কেস স্টাডি” ” শীর্ষক দিনব্যাপী সামিটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার।

পরিক্রমা ডেস্ক : বাংলাদেশে চতুর্থ শিল্পবিপ্লব মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় দক্ষ ভবিষ্যৎ-প্রস্তুত কর্মী বাহিনী গড়ে তোলার লক্ষ্যে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সেন্টার ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের আইসিটি বিভাগের অ্যাসপায়ার টু ইনোভেট (a2i) এর সহযোগিতায় আজ ১০ মে ২০২৩ তারিখে “চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের জন্য কর্মশক্তির ক্ষমতাডন (4IR ঃ বাংলাদেশে কর্মসংস্থানের জন্য একটি কেস স্টাডি” ” শীর্ষক দিনব্যাপী এক সামিট আয়েজন করা হয়।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার প্রধান অতিথি হিসেবে এ সামিটের উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনী অধিবেশনে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়াারম্যান ড. মো. সবুর খান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এম. লুৎফর রহমান, আইসিটি বিভাগের a2i এর অ্যাসপায়ার টু ইনোভেট প্রজেক্ট ডিরেক্টর ড. দেওয়ান মো. হুমায়ুন কবির, ড্যাফোডিল ফ্যামিলির গ্রুপ সিইও মোহাম্মদ নুরুজ্জামান, ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি অনুষদের ডীন , প্রফেসর ড. মো. ফখরে হোসেন, স্টুডেন্ট এফেয়ার্সের পরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ মিজানুর রহমান ও ক্যারিয়াার ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (সিডিসি) এর পরিচালক ড. তানভীর ফিত্তির আমির।

দিনব্যাপী সামিটে উদ্বোধনের পর “চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়া বাংরাদেশের জন্য একটি ভবিষ্যৎ –প্রস্তুত কর্মীবাহিনী গড়ে তোলার লক্ষ্যে বাংলাদেশে আইসিটি, বস্ত্র, কৃষি ও আরএমজি চাকরির পরিবর্তিত ল্যান্ডস্কেপ নেভিগেট করার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে চারটি শেশন পরিচালিত হয়। এই সেশনগুলিতে আইসিটি এবং ব্যবসায়িক পেশাদারদের জন্য দক্ষতা বিকাশে সর্বশেষ প্রবণতা এবং সর্বোত্তম অনুশীলনগুলি অন্বেষণ করতে, সেইসাথে খাদ্য নিরাপত্তা এবং কৃষি খাত এবং টেক্সটাইল এবং আরএমজি সেক্টরে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে দক্ষতা বিকাশের উদ্ভাবনী পদ্ধতিগুলি অন্বেষণ করতে শিল্প এবং একাডেমিয়ার নেতৃস্থানীয় বিশেষজ্ঞদের সম্মিলন ঘটেছে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার বলেন, বাংলাদেশর সবচেয়ে বড় শক্তিই হচ্ছে মানব সম্পদ। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হলে স্মার্ট মানুষের দরকার। আমাদের তরুণ প্রজন্ম এবং শিক্ষার্থীরাই আমাদের সেই সোনার মানুষ যাদের বাদ দিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ হতো না বা আগামীতে স্মার্ট বাংলাদেশও গড়ে তোলা সম্ভব নয়। সোনার বাংলার সেই কারিগরদের কে যোগ্য করে গড়ে তোলাই বর্তমান সরকারের লক্ষ্য। তিনি বলেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লব বা পঞ্চম শিল্পবিপ্লবের জন্য যেরুপ অবকাঠামোগত উন্নয়ন দরকার তাইতিমধ্যে তৈরী করা হয়েছে। বাংলাদেশ ৯৮% অঞ্চল ৪জিবি’র আওতায় আনা হয়ছে। ২০২১ সালে বাংলাদশে ৫জিবি চালু করো হয়েছে। দেশের সমস্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল গুলো ৫জিবি’র আওতায় আনা হয়েছে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থীদের প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ডিজিটাল দক্ষতায় দক্ষ করে তোলার আহবান জানিয়ে বলেন, কম্পিউটার বিজ্ঞানী হয়ে এ পৃথিবীতে বাঁচতে হবে এমন কোন কথা নেই ইউজার থেকেই একসময় বিজ্ঞানী হওয়ার সুযোগ তৈরী হবে।নতুন প্রজন্মকে ডিজিটাল দক্ষতায় দক্ষ করে তুলতে পারলেই চতুর্থ শিল্পবিপ্লব বা পঞ্চম শিল্পবিপ্লব কোনটাতেই সে আটকাবেনা বা থমকে দাড়াবে না বলে মন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়াারম্যান ড. মো. সবুর খান বলেন, সমস্ত প্রযুক্তি এবং রিসোর্সই এখন আমাদের হাতের মুঠোয়, শিক্ষার্থীদের দায়িত্ব হচ্ছে প্রযুক্তিগুলোকে সমন্বিত করে একটা বিউটিফুল প্ল্যাট ফর্মে নিয়ে আসা। তিনি শিক্ষার্থীদের ইজার না হয়ে লিডার বা উদ্যোক্তা হওয়ার হওয়ার আহ্বান জানান। আর লিডার হওয়া তখনই সম্ভব হবে যখন শিক্ষার্থীরা এভেইলএবল রিসোার্সগুলোকে ব্যবহার করে একটা চমৎকার সলিউশ্যান তৈরী করতে পারবে। তিনি ডাটা ও রিসোর্সের যথাযথ ব্যবহার করে ক্যারিয়ারকে সমৃদ্ধ করার আহ্বান জানান।

বাংলাদেশে চতুর্থ শিল্পবিপ্লব মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় দক্ষ ভবিষ্যৎ-প্রস্তুত কর্মী বাহিনী গড়ে তোলার লক্ষ্যে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সেন্টার ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের আইসিটি বিভাগের অ্যাসপায়ার টু ইনোভেট (a2i) এর সহযোগিতায় “চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের জন্য কর্মশক্তির ক্ষমতাডন (4IR ঃ বাংলাদেশে কর্মসংস্থানের জন্য একটি কেস স্টাডি” ” শীর্ষক দিনব্যাপী সামিটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার।