Home ব্রেকিং দেশে এখন একটাই আওয়াজ – শেখ হাসিনার বিকল্প নেই’

দেশে এখন একটাই আওয়াজ – শেখ হাসিনার বিকল্প নেই’


বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম বলেছেন, আওয়ামী লীগ কখনো ষড়যন্ত্রে বিশ্বাস করে না, আওয়ামী লীগ শুধু জনগণের ম্যান্ডেটে বিশ্বাসী। আমরা জনগণের অধিকারে বিশ্বাসী। আবারো নির্বাচন আসছে। সারাদেশে এখন একটাই আওয়াজ – শেখ হাসিনার বিকল্প নেই। শেখ হাসিনা আবারো প্রধানমন্ত্রী হবেন। তিনি এদেশের জনগণকে এত ভালোবাসেন বলেই আমরা এই জায়গায় আসতে পেরেছি।

মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার নিজ গ্রাম মোহনপুরে আলী ভিলা মিলনায়তনে আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি একথা বলেন।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এই সদস্য বলেন, বিএনপি আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস করছে। সন্ত্রাসী কার্যক্রমের নামে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। তবে এই আতঙ্ক সৃষ্টি করে কোনো লাভ হবে না। ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগের সামনে কোনো বাধা, কোনো ষড়যন্ত্রই টিকবে না; যতই বিদেশিদের কাছে নালিশ করুক আর ধরনা দিক। যদি জনপ্রিয়তা না থাকে, মাঠে যদি তারা না থাকে, জনগণ কখনো তাদের পক্ষে রায় দেবে না।

মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম চাঁদপুর-২ আসন থেকে দুইবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এছাড়া তিনি বেশ কয়েকবার সরকারের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী এই নেতা নিজের প্রসঙ্গে বলেন, আমি রাজনীতি করি মানুষের সেবা করার জন্য। যতদিন বাঁচবো মানুষের সেবা করবো। আমার মৃত্যুর পরে এসব সেবার কথাই মানুষ মনে রাখবে।

তিনি আরো বলেন, এমপি, মন্ত্রী হয়ে এই মতলবে কোনো উন্নয়ন কাজ বাকি রাখি নাই। মতলবকে একটি আধুনিক মতলবে পরিণত করে মিনি সিঙ্গাপুর সিটিতে রূপান্তরিত করার লক্ষ্যে কাজ করেছি। এবার জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে সুযোগ দিলে, ইনশা আল্লাহ জনগণের দোয়া ও ভালোবাসায় মতলবকে অবশ্যই মিনি সিঙ্গাপুর সিটিতে রূপান্তরিত করবো।

বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন পচ্ছন্দ নয় – এমন কিছু ব্যক্তি বা গোষ্ঠী দেশ-বিদেশে নানা ষড়যন্ত্র করছে, অপ্রচার চালাচ্ছে। তবে যতই ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার হোক, অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে এবারো আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসবে এবং দেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখবে।

তিনি বলেন, সামনের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দুই-একটি রাজনৈতিক দল অংশ নেবে কি না সেটা তাদের ব্যাপার। তবে নির্বাচন বন্ধ হবে না।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সদস্য সাজেদুল হোসেন চৌধুরী দিপু, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহসভাপতি আশফাক চৌধুরী মাহী, মতলব দক্ষিণ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ সিরাজুল মোস্তফা তালুকদার, ছেংগারচর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ মো. মনির হোসেন বেপারী, মোহনপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই প্রধান, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সদস্য আহসান উল্লাহ হাসান, মো. শাহ আলম সিদ্দিকী, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী শরীফ হোসেন, কলাকান্দা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আ. সোবহান সরকার সুভা, উপজেলা যুবলীগের সদস্য হাসান মোরশেদ আহার চৌধুরী, ফতেপুর পূর্ব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজমল হোসেন চৌধুরী, ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম গাজী, আবুবক্কর সিদ্দিকী খোকন, ছেংগারচর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আতাউর রহমান ঢালী, বাগানবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা মো. নান্নু মিয়া, ছেংগারচর পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির খান, সাদুল্যাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আবু ইউসুফ, ১নং নারায়ণপুর উত্তর ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান সেলিম, মোহনপুর ইউপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. ইব্রাহিম, উপজেলা মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি নাইমুল হাসান লাভলু, সাধারণ সম্পাদক মো. শাহিন চৌধুরী, পৌর আওয়ামী লীগ ৫নং ওয়ার্ড শাখার সাধারণ সম্পাদক মোসলেম দেওয়ান, ছেংগারচর পৌর মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি জনি সরকার, যুগ্ম সম্পাদক বিল্লাল মিঝি, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম হাওলাদার, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক তামজিদ সরকার রিয়াদ প্রমুখ