Home জাতীয় বিজ্ঞান জাদুঘরে সেমিনার : শিল্প কারখানার ইটিপি মনিটরিং এ প্রযুক্তির প্রয়োগ চাই

বিজ্ঞান জাদুঘরে সেমিনার : শিল্প কারখানার ইটিপি মনিটরিং এ প্রযুক্তির প্রয়োগ চাই


পরিক্রমা ডেস্ক : অদ্য (০২.১০.২৩) জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরে ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীদের নিয়ে ‘পরিবেশের উপর ইটিপি পরিচালনার প্রভাব’ শীর্ষক এক সেমিনারের আয়োজন করা হয়।

সেমিনারে বিজ্ঞান জাদুঘরের মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বলেন “ শিল্প কারখানায় বর্জ্য পরিশোধন যন্ত্র সঠিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে কিনা তা’ সুষ্ঠু মনিটরিং’ এর আওতায় আনা উচিত। এজন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ভিত্তিক আধুনিক প্রযুক্তির প্রয়োগ অপরিহার্য। ইটিপি বন্ধ রেখে বিষাক্ত বর্জ্য ফেলে নদ-নদী ও কৃষি জমি ধ্বংস করা মারাত্বক অপরাধ। দূষণজনিত মানুষ ও জীব বৈচিত্র্যের ক্ষতির জন্য এসব অপরাধীকে মহান স্রষ্ঠার বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। ইটিপি বন্ধ রেখে বিষাক্ত শিল্প বর্জ্য ফেলে বহু শিল্প কারখানার মালিক অনৈতিক মুনাফার মাধ্যমে গাড়ি বাড়ির মালিক হয়েছে। এসব অপরাধ বন্ধে প্রয়োজন প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা এবং আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার। বহু মেধাবী প্রকৌশলী কর্পোরেট কোম্পানিতে চাকুরি করে মালিকদের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের দাসে পরিণত হয়েছে। তারা বিবেক বিসর্জন দিয়ে ইটিপি চালানো বন্ধ রাখছে। এমনকি ত্রুটিপূর্ণ ইআইএ রিপোর্ট দাখিল করে পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে ছাড়পত্র গ্রহণ করছে। পরিবেশ দূষণ এক বিশাল অপরাধ জগত, যা’ মানবীয় শক্তি দিয়ে রোধ করা সম্ভব নয়। ড্রোন ও সেন্সর ব্যবহার করে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম মনিটরিং করে শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। শুধু জরিমানা নয়, জরিমানার সমান্তরালে আইনের আওতায় সাময়িক মেয়াদে কারখানা বন্ধ রাখতে হবে। প্রকৌশল অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের ইটিপি পরিচালনা ভিত্তিক বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে এবং তাদেরকে নিয়মিত কারখানা পরিদর্শন ও নদ-নদী পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা করিয়ে পরিবেশের প্রতি মমত্ববোধ ও কর্তব্যবোধ জাগ্রত করতে হবে। যে যে অপরাধই করুক না কেন প্রত্যেককেই তার কাজের জন্য মহান স্রষ্টার কাছে জবাবদিহি করতে হবে।” সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবুল কালাম আজাদ। এছাড়া আরও বক্তব্য রাখেন ডুয়েটের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ ওবায়দুর রহমান এবং বিজ্ঞান জাদুঘরের সহকারী কিউরেটর মোঃ তৌহিদুল হাসান।