Home জাতীয় বিয়ের আশ্বাস দিয়ে লঞ্চের কেবিনে মেধাবী ছাত্রী সেতুকে কয়েকদফা ধর্ষণ

বিয়ের আশ্বাস দিয়ে লঞ্চের কেবিনে মেধাবী ছাত্রী সেতুকে কয়েকদফা ধর্ষণ

35
0
SHARE

বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা ডেস্ক : মেধাবী ছাত্রী সেতু মন্ডলকে (১৫) অপহরণ, ধর্ষণ ও আত্মহত্যার প্ররোচণাকারী মূল আসামী হযরত আলী ওরফে সজলকে (২৭) গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। শনিবার ভোরে মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান উপজেলার কুচিয়ামোড়া থেকে এসআই হাসান আক্তার তাকে গ্রেফতার করেন। পরে শনিবার রাতেই তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়।

গ্রেফতারকৃত সজল বরিশালের মেহেদীগঞ্জ উপজেরার উনানিয়া গ্রামের আঃ মজিদ সরদারের ছেলে। গ্রেফতারের পর হযরত আলী ওরফে সজল বিজ্ঞ আদালতে ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ১৬৪ ধারায় নিহত সেতু মন্ডলকে অপহরণ, ধর্ষণ ও আত্মহত্যার প্ররোচণা দেয়ার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে।

সিরাজদিখান থানার ওসি মোঃ ফরিদ উদ্দিন জানান, ঘটনার দিন ১০ এপ্রিল সেতু মন্ডল স্কুলে যাওয়ার আগে হযরত আলীর সাথে কয়েক বার ফোনে কথা হয়। পরে গোয়ালখালী এলাকা থেকে সেতুকে তুলে নিয়ে শাখারী বাজার এলাকায় নিয়ে যায় অভিযুক্ত সজল। পরে একটি মন্দিরে গিয়ে সজল নিজের ডান হাতের বৃদ্ধা আঙ্গুল কেটে রক্ত দিয়ে সেতুর কপালে সিঁদুর পরিয়ে দেয় এবং তাকে বিয়ে করার আশ্বাস দেয়াসহ আরো অনেক রকম প্রতিশ্রুতিও দেয়।

পরে লঞ্চের কেবিন করে সেতুকে নিয়ে সজল তার গ্রামের বাড়ির দিকে যায়। লঞ্চের ভিতরে থাকা অবস্থায় সজল সেই রাতে সেতুকে কয়েকদফা ধর্ষণ করে এবং বরিশাল পৌছানোর পর আবার পুনরায় ভোর রাতে সেখান থেকে ঢাকা চলে আসে। পরের দিন ১১ এপ্রিল ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলার গোলামবাজার পুলিশ ক্যাম্পের কাছাকাছি সেতুকে ফেলে পালিয়ে যায় সজল।

পরে গোলামবাজার পুলিশ ক্যাম্পের পুলিশ সেতুকে উদ্ধার করে তার বাড়িতে খবর দিলে সেখান থেকে সেতুকে বাড়িতে নিয়ে যায় তার পরিবারের সদস্যরা। এই ঘটনার পাঁচদিন পর গত ১৭ এপ্রিল নিজের বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে সেতু। এসময় পরিবারের সদস্যরা আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে মিডফোর্ট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই মারা যায় সেতু মন্ডল।

image_pdfimage_print