
পরিক্রমা ডেস্ক: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় ট্রেন দুর্ঘটনায় মা হারানো শিশু মাহিমার সকল (পড়ালেখাসহ ভবিষ্যতের সার্বিক বিষয়) দায়িত্ব নিয়েছেন পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) সকালে ঢাকার সিএমএইচে চিকিৎসাধীন শিশুটিকে দেখতে গিয়ে দায়িত্ব নেয়ার কথা জানান তিনি। শিশু মাহিমার বাড়ি শরীয়তপুরের সখিপুরে। উপমন্ত্রী শামীম ওই এলাকারই এমপি।
এর আগে, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আহতদের মধ্যে ৭ জনকে সিএমএইচে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানান উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম।
তিনি বলেন, আহত শিশু মাহিমা তার মা হারিয়েছে, স্বজন হারিয়েছে। সে তার নির্বাচনী এলাকার বাসিন্দা। এজন্য তিনি শিশুটির সার্বিক দায়িত্ব নিয়েছেন। ভবিষ্যতে শিশু মাহিমার পড়ালেখাসহ সার্বিক বিষয়ে সহায়তা দেবেন উপমন্ত্রী।
ট্রেন দুর্ঘটনার পর শিশুটিকে প্রথম ব্রাক্ষণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। ওই সময়ে তার স্বজনদের পাওয়া যাচ্ছিল না। পরিচয় খুঁজতে মাথায় ব্যান্ডেজ পেচানো রক্তাক্ত শিশুটির ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। পরে মঙ্গলবার বিকেলে তার বাবা মাইনুদ্দিন পরিচয় শনাক্ত করে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তিনি স্ত্রী কাকলি আক্তারের লাশও শনাক্ত করেন।
মাইনুদ্দিন জানিয়েছিলেন, রোববার সিলেটের হযরত শাহজালাল (রা.) ও হযরত শাহ পরানের (রা.) মাজার জিয়ারত করতে যান তার স্ত্রী কাকলি আক্তার, মেয়ে মাহিমা আক্তার, মামা জাহাঙ্গীর আলম, মামী আমাতন বেগম ও মামাতো বোন মরিয়ম।
সোমবার সিলেট থেকে উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনে করে চাঁদপুরের উদ্দেশে রওনা হন তারা। চাঁদপুর থেকে ট্রলারে করে তাদের শরীয়তপুরের সখিপুরে বাড়ি ফেরার কথা ছিল। কিন্তু দুর্ঘটনায় তার স্ত্রী, মামি ও মামাতো বোন মারা যান।
বুধবার দিবাগত রাত পৌনে ৩ টার দিকে উপজেলার মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনে আন্ত:নগর ঢাকাগামী তূর্ণা নিশীতা ও চট্টগ্রামগামী আন্তঃনগর উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।