
বিশ্ববিদ্যায়ল পরিক্রমা ডেস্ক : আজ শনিবার (৩০ নভেম্বর) ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। বেলা ১১টায় রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দ্বিতীয় অধিবেশনে বিকালে ইঞ্জনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করা হবে। অনুষ্ঠেয় ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে শীর্ষ পদে আসতে পারে পরিবর্তন। এমন আভাস দিয়েছেন আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকরা। দলটির নীতি-নির্ধারক পর্যায়ের নেতারা জানিয়েছেন, নানা কেলেঙ্কারিতে সম্পৃক্ততা, চাঁদা ও টেন্ডারবাজি, অনুপ্রবেশকারী, ক্ষমতার অপব্যবহার, অর্থের বিনিময়ে কমিটিতে স্থান দেওয়া, দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত নেতাদের বাদ দেওয়াসহ নানা অপকর্মের সঙ্গে জড়িতরা নতুন কমিটিতে স্থান পাচ্ছেন না।
এরই মধ্যে ঢাকা মহানগরের দুটি কমিটির নতুন নেতৃত্ব চূড়ান্ত করেছেন দলটির সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যা ঘোষণা করা হবে সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে। এ অবস্থায় পদপ্রত্যাশী অনেক নেতাই গণভবনে গিয়ে দলীয় হাইকমান্ডের দোয়া ও আশীর্বাদ নেওয়ার খবরও এসেছে। প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ২৭ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনের দীর্ঘদিন পরও কমিটি দিতে না পারায় দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাককে দক্ষিণ এবং লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খানকে উত্তরের কমিটি সমন্বয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়। পরে সম্মেলনের সাড়ে তিন বছরের মাথায় ২০১৬ সালে ১০ এপ্রিল প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে মহানগর উত্তরে এ কে এম রহমত উল্লাহকে সভাপতি ও সাদেক খানকে সাধারণ সম্পাদক এবং দক্ষিণে আবুল হাসনাতকে সভাপতি ও মো. শাহে আলম মুরাদকে সাধারণ সম্পাদক করে ঢাকার দুই অংশে কমিটি দেওয়া হয়। আজ মহানগরের শীর্ষ চার নেতার নাম ঘোষণার করা হবে। পরে থানা-ওয়ার্ডের সম্মেলন। এদিকে খুব সকাল থেকেই সম্মেলনে যোগদিতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জড় হচ্ছে নেতাকর্মীরা।