Home ব্রেকিং দণ্ডপ্রাপ্ত খালেদার ছবি দিয়ে কীভাবে নির্বাচনের পোস্টার হয়, প্রশ্ন প্রতিমন্ত্রীর

দণ্ডপ্রাপ্ত খালেদার ছবি দিয়ে কীভাবে নির্বাচনের পোস্টার হয়, প্রশ্ন প্রতিমন্ত্রীর

38
0
SHARE

বিশ্ববিদ্যায়ল পরিক্রমা ডেস্ক : জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছবি দিয়ে কীভাবে সিটি নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থীরা পোস্টার করেছে? নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে এই প্রশ্ন রেখেছেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) বিকেলে কচিকাঁচার মেলার আয়োজনে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের’ আলোচনা সভায় তিনি এ প্রশ্ন রাখেন।

রাজধানীর স্বেগুন বাগিচায় সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার‌্যালয়ে জয়বাংলা সাংস্কৃতিক ঐক্যজোট আলোচনা সভার আয়োজনে করে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, আইনের প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল আছি, তার মানে এই নয়, যুদ্ধাপরাধী আর স্বাধীনতা বিরোধীদের মেনে নেবো। বাংলার মানুষ কখনও এই স্বাধীনতা বিরোধীদের মেনে নেবে না।

তিনি বলেন, জিয়া, এরশাদ ও খালেদা জিয়ারা অনেক চেষ্টা করেছেন যুদ্ধাপরাধীদের বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠা করার জন্য। জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া, যিনি আজকে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি তার ছবি দিয়ে বিএনপি প্রার্থীরা পোস্টার করছেন। অথচ দণ্ডপ্রাপ্ত ও অপরাধীর ছবি পোস্টারে দিয়ে নির্বাচন করার অধিকার নেই। তাই ইসির কাছে প্রশ্ন রাখতে চাই, একজন অপরাধীর ছবি সংবলিত পোস্টার কীভাবে করা হয়?

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন (ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচন নিয়ে কথা হচ্ছে, তখন ইসি থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গা থেকে লেভেল প্লেয়িং নিয়ে কথা বলা হচ্ছে। আমি ইসির উদ্দেশ্যে বলতে চাই, মাহবুব আলী সাহেব আপনি নির্বাচন কমিশনার হিসেবে শপথ নিয়েছেন, লেভেল প্লয়িং বলতে আমরা কী বুঝি? বাংলাদেশে যখন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তিরা নির্বাচন করবে, আর সেই নির্বাচনে যখন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তি, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি সেই নির্বাচন কখনও লেভেল প্লেংয়িং ফিল্ড হতে পারে না। লেভেল প্লেয়িং তখনই হবে, যখন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির একজনের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির আরেকজন নির্বাচন করবেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা স্বাধীনতার সুখ তখনই অনুভব করবো, যখন বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণ হবে, আমরা স্বাধীনতার সুখ তখনই অনুভব করবো, যখন দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নত দেশে পদার্পণ করবে। এই স্বাধীনতার সুখ অনুভব করার সবচেয়ে বড় অন্তরায় হচ্ছে বিএনপি-জামায়াত, এই স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি। তাদের শুধু দমন ও নিয়ন্ত্রণ করলে হবে না, তাদের চিরতরে নির্মূল করার মধ্য দিয়ে আমাদের এই নিরন্তর সংগ্রামকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।

image_pdfimage_print