
বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা ডেস্ক : এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা পিছিয়েছে। ১ ফেব্রুয়ারি শুরু হবার কথা থাকলেও পরীক্ষার তারিখ পিছিয়ে ৩ ফেব্রুয়ারি করা হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গণসংযোগ কর্মকর্তা আবুল খায়ের বাংলাদেশ জার্নালকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, অনিবার্য কারণবশত পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে। ভোটের কারণই পরীক্ষা পেছানো হয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে বলেন, আগামীকাল নতুন রুটিন দেয়া হবে।
রাতে দীপু মনি একথার বলার সময়ও সিইসির নেতৃত্বে ইসির বৈঠক চলছিল, যার মূল আলোচ্য ছিল ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তন।
এদিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত ঘোষণার আধা ঘণ্টার মধ্যে সিইসিও ঢাকা সিটি ভোটগ্রহণের তারিখ দুই দিন পিছিয়ে ১ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণের ঘোষণা দেন।
সারাদেশে একযোগে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরুর দুদিন আগে ৩০ জানুয়ারি ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ভোটগ্রহণের দিন ঠিক করে ইসি।
কিন্তু ৩০ জানুয়ারি সরস্বতী পূজা বলে দেখা দেয় জটিলতা।
পূজার কারণে তফসিল ঘোষণার পরপরই তার বিরোধিতা করেছিল পূজা উদযাপন পরিষদ ও হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদও ভোটের দিন পরিবর্তনের দাবি জানায়।
কিন্তু তা আমলে নেয়নি ইসি। এরমধ্যে ভোটের তারিখ পরিবর্তনে হাই কোর্টে রিট আবেদন হলে তা খারিজ হয়ে যাওয়ার পর ইসি ৩০ জানুয়ারি ভোট করার বিষয়ে আরও শক্ত অবস্থান নেয়।
ইসির পক্ষ থেকে যুক্তি দেখানো হয়েছিল, ৩০ জানুয়ারিই ভোটগ্রহণের জন্য ‘উপযুক্ত’ দিন। কারণ তার পরের দিন ৩১ জানুয়ারি শুক্রবার বলে সেদিন ভোটগ্রহণের নজির নেই। এরপর ১ ফেব্রুয়ারি এসএসসি পরীক্ষা শুরু হবে বলে প্রায় এক মাস আর ভোট করা যাবে না।
কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থী অনশন শুরু করলে এবং হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ কর্মসূচি ঘোষণা করলে ভোটের দিন বদলের দাবি জোরাল হয়ে ওঠে।
প্রসঙ্গত, এ বছর তিন হাজার ৫১২টি কেন্দ্রে ২০ লাখ ৪৭ হাজার ৭৭৯ জন শিক্ষার্থী মাধ্যমিক পর্যায়ের চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশ নেবে।