
বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা ডেস্ক : ইসরাইল মুসলমানদের শত্রু, ইহুদিদের বর্বরতা থেকে ফিলিস্তিনিদের বাঁচাতে মধ্যপ্রাচ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠা করা জরুরি। নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব-সঙ্ঘাত বন্ধ করে ফিলিস্তিনিদের জমি দখল করে অবৈধভাবে প্রতিষ্ঠিত ইসরাইলের বিরুদ্ধে মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন মালয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ।
লেবাননের একটি টিভিকে সম্প্রতি দেয়া সাক্ষাৎকারে ইসলামি বিশ্বের এ শীর্ষ নেতা এ কথা বলেন। মাহাথির বলেন, ইসরাইলিরা মানবতার শত্রু, মুসলমানদের শত্রু। তারা ফিলিস্তিনিদের নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করছে তাদের বাকি ভূমিটুকুও জবর-দখলের জন্য। অথচ পাশ্চাত্যের মানবতার ধ্বজাধারীরা এখন নীরব দর্শক। আর মুসলমানরা ব্যস্ত নিজেদের মধ্যে হানাহানিতে। লেবাননের আল-মায়াদিন টিভিতে গত ২৯ জুন মাহাথির মোহাম্মদের ওই বিশেষ সাক্ষাৎকারটি প্রচার করা হয়। ইসরাইলের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে তিনি বরাবরই কড়া ভাষায় কথা বলে আসছেন।
২০১৯ সালে সেপ্টেম্বরে ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় তিনি কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ওয়ার্ল্ড লিডার ফোরামের আলোচনা সভায়ও একইভাবে ইসরাইলের সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কঠোর ভাষায় বক্তব্য রাখেন। ইহুদিদের মাধ্যমে প্ররোচিত হয়ে মুসলমানদের ব্রিটেন ও জার্মানিসহ ইউরোপের দেশগুলোতে ছুরি হামলা বন্ধ করতে বলেন তিনি। মাহাথির বলেন, এ সব ঘটনাকে ইহুদি নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যমগুলোতে মুসলিমদের সন্ত্রাসী হিসেবে জাহির করে ফলাও করে প্রচার করে প্রপাগাণ্ডা চালাচ্ছে। ইউরোপের সাধারণ মানুষের মধ্যে এক ধরনের ইসলামবিদ্বেষ ঢুকিয়ে দিচ্ছে ইহুদিরা।
‘মধ্যপ্রাচ্যে মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে সঙ্ঘাত জিইয়ে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র, যাতে তার ঘনিষ্ঠ মিত্র ইসরাইলের দখলদারিত্বে তারা নাক না গলানোর ফুরসত পায়। গোটা ইসরাইল রাষ্ট্রটিই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ফিলিস্তিনিদের ভূমি জবর-দখল করে। এ নিয়ে কেউ কথা বলে না। মুসলিম দেশগুলো একে অন্যের পিছে লেগে আছে।’ তিনি আরো বলেন, সময় এসেছে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ইহুদি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়বার। তা না হলে বিশ্ব মানচিত্র থেকে মুসলিম দেশ ফিলিস্তিন একেবারেই হারিয়ে যাবে। নতুন করে পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপনের ঘোষণা দিয়েছে ইসরাইল। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ১ জুলাই থেকে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু হবে বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন। একে সমর্থন দিয়েছে মিত্র রাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্রও। ইতোমধ্যে ট্রাম্পের ডিল অব দ্যা সেঞ্চুরি পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করেছে ফিলিস্তিনিরা।