
বিশ্ববিদ্যালয় পরিক্রমা ডেস্ক : সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। এই অদৃশ্য ভাইরাস কেড়ে নিচ্ছে হাজার হাজার মানুষের প্রাণ। এখন মানুষের মনে একটাই প্রশ্ন কবে আসবে করোনার ভ্যাকসিন।
এর মধ্যে নতুন খুশির খবর দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। চলতি বছর শেষ নাগাদই প্রস্তুত হয়ে যেতে পারে বলে আশার কথা শুনিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস।
মহামারী নিয়ে সংস্থাটির নির্বাহী পর্ষদের দুইদিনের বৈঠকের সমাপণী ভাষণে মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) গেব্রিয়েসুস বলেন, আমাদের ভ্যাকসিনের প্রয়োজন পড়বে। চলতি বছর শেষের মধ্যেই আমরা ভ্যাকসিন পেয়ে যেতে পারি।
ভ্যাকসিন সহজলভ্য হওয়ার পর সমানভাবে এর বিতরণ নিশ্চিত করতে গেব্রিয়েসুস সবদেশের নেতাদেরকে একতাবদ্ধ হওয়া এবং রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
পরীক্ষা চলছে এমন ৯ টি টিকা ডব্লিউএইচও পরিচালিত ‘কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনস গ্লোবাল অ্যাকসেস’ (সিওভিএএক্স) ফ্যাসিলিটির আওতায় আসার পথে আছে। সিওভিএএক্স এর লক্ষ্য ২০২১ সালের শেষ নাগাদ ২শ’ কোটি ডোজ টিকা বিতরণ করা।
এ পর্যন্ত ‘কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনস গ্লোবাল অ্যাকসেস’ উদ্যোগে সামিল হয়েছে মোটামুটি ১৬৮ টি দেশ। তবে চীন এবং যুক্তরাষ্ট্র এর মধ্যে নেই।
যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসন বলেছে, তারা টিকা প্রস্তুতকারকদের কাছ থেকে টিকা সরবরাহ নিশ্চিত করতে বরং দ্বিপক্ষীয় চুক্তির ওপরই নির্ভর করছে।
ডব্লিউএইচও প্রধান গেব্রিয়েসুস বলেন, আগমনের পথে থাকা টিকা এবং অন্যান্য পণ্যের জন্য বিশেষত বিশ্বের নেতাদের কাছ থেকে রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি পাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ; বিশেষ করে টিকা সমানভাবে বিতরণের ক্ষেত্রে। আমাদের প্রত্যেকেরই একে অপরকে প্রয়োজন, আমাদের একতা প্রয়োজন এবং ভাইরাসের সঙ্গে লড়াইয়ে সর্বশক্তিকে কাজে লাগানো প্রয়োজন।
এদিকে, বিশ্বে প্রতি ১০ জনের মধ্যে একজন এরই মধ্যে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন। এই সংক্রমণ বিশ্বের বৃহৎ জনগোষ্ঠীকে বিপদের মধ্যে ঠেলে দিচ্ছে। ৫ অক্টোবর ডব্লিউএইচওর নির্বাহী পর্ষদকে এই আশঙ্কার কথা জানান সংস্থাটির শীর্ষ আপৎকালীন বিশেষজ্ঞ মাইক রায়ান।