
৮শ পরিবারকে ঈদ উপহার দিলেন কামরুল হাসান রিপন। টানা চারদিন ধরে ঈদ উপহার বিতরণ করে আসছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা-০৫ আসনের যাত্রাবাড়ী ও কদমতলী থানার দুটি স্পটে ৮শ পরিবারের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ করেন।
বিকেল ৪টায় কদমতলী থানার ৬০ নং ওয়ার্ডের গ্যাসরোডের মোড়ে ৪শ অসহায়-মেহনতি পরিবারের হাতে ঈদ উপহার তুলে দেন তিনি।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্তানীয় পুলিশ প্রশাসনের সহায়তায় সুশৃঙ্খলভাবে ঈদ উপহার পৌঁছে দেয়া হয়।
পরবর্তীতে যাত্রাবাড়ী থানার ৬১ নং ওয়ার্ডের বর্ণমালা স্কুলের সামনে আরও ৪শ অসহায়-মেহনতি এবং সুবিধাবঞ্চিত মানুষের হাতে ঈদ উপহার দেয়া হয়। প্রতিটি প্যাকেটে পোলাউয়ের চাল, দুধ, চিনি, দুই ধরণের সেমাই, ভোজ্যতেল ইত্যাদি খাদ্য সামগ্রী তুলে দেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের এই শীর্ষনেতা।
এর আগে গত সোমবার ঈদ উপহার বিতরণ র্কমূসীর উদ্বোধন করা হয়। গত তিনদিনে ২ হাজার হতদরিদ্র মানুষের মাঝে এই উপহার সামগ্রী পৌছে দেয়া হয়। যাত্রাবাড়ী, ধলপুর, ৬২, ৬৫ নং ওয়ার্ডের পর আজ ৬০ এবং ৬১ নং ওয়ার্ডে এই কর্মসূচী পালন করেন কামরুল হাসান রিপন।
ঈদ উপহার বিতরণের আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে কামরুল হাসান রিপন বলেন, করোনার প্রথম পর্যায়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও ঢাকা-০৫ আসনের প্রতিটি থানার প্রতিটি ওয়ার্ডের অলিগিলিতে ব্যক্তিগত উদ্যোগে ৩০ হাজার লিফলেট এবং ৫০ হাজার অসাহয় সুবিধাবঞ্চিত-কর্মহীন সাধারণ মানুষের মাঝে বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণ করেছি।
সেবার ব্যক্তিগত উদ্যোগে ৩০ হাজার মানুষের মাঝে ত্রান সামগ্রী বিতরণ, ২৫ হাজার রোজাদার ব্যক্তির মাঝে ইফতার এবং ১০ হাজার পরিবারকে ঈদ উপহার পৌছে দিয়েছিলাম।
করোনার দ্বিতীয় ধাপেও আমি আমার সাধ্যমতো মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি।
যতদিন এই করোনার মহাসংকট দূর না হবে ততদিন পর্যন্ত ত্রাণ ও খাদ্য সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
স্বেচ্ছাসেবক লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি কামরুল হাসান রিপন আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আফম বাহাউদ্দিন নাছিমের পরামর্শে আমরা সর্বদা মানবতার সেবায় নিয়োজিত।
আমি বিশ্বাস করি মানুষকে ভালোবাসলেই, মানুষকে সাহায্য করলেই কেবল মাত্র মানুষের ভালোবাসা পাওয়া যায়। ঢাকা-০৫ আসনের উপ নির্বাচনের সময় আমি সবসময়ই অত্র এলাকার মানুষের পাশে থাকার কথা দিয়েছিলাম। আমি আমার দেওয়া কমিটমেন্ট রেখেছি। ভবিষ্যতেও আপনাদের পাশে থাকবো।
করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ধাপেও মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি।