Home ব্রেকিং প্রজাতন্ত্রের ১১-২০ তম গ্রেডভূক্ত কর্মচারীদের চলমান বৈষম্যের অবসান ও বেতন-ভাতাদি বৃদ্ধির লক্ষ্যে...

প্রজাতন্ত্রের ১১-২০ তম গ্রেডভূক্ত কর্মচারীদের চলমান বৈষম্যের অবসান ও বেতন-ভাতাদি বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০২১-২০২২ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্থান রাখার দাবী বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী কল্যাণ ফেডারেশনের

42
0
SHARE

আশিক সরকার : প্রজাতন্ত্রের ১১-২০ তম গ্রেডভূক্ত কর্মচারীদের চলমান বৈষম্যের অবসান ও বেতন-ভাতাদি বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০২১-২০২২ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্থান রাখার দাবীতে শনিবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলন করেন বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী কল্যাণ ফেডারেশন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখত বক্তব্যে মোঃ আকতার হোসেন বলেন , মন্ত্রণালয়ের সচিব থেকে শুরু করে একজন অফিস সহায়ক পর্যন্ত সকলেই প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী, যারা ২০টি গ্রেডে বিভক্ত। এর মধ্যে ১১-২০তম গ্রেডভূক্ত কর্মচারীরা বরাবরই বৈষম্যের শিকার। এ বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে গণমাধ্যমে অনেক সংবাদ প্রচারিত ও প্রকাশিত হয়েছে। হয়ত কিছু কিছু ক্ষেত্রে অল্প কিছু সাফল্য এসেছে, যা ন্যায় সঙ্গত প্রত্যাশার চাইতে অনেক কম। এই বৈষম্য থেকে অবসানের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী কল্যাণ ফেডারেশন ইতোমধ্যে ০৬ (ছয়) দফা দাবী ঘোষণা করেছিল।

দাবী সমূহ :
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক প্রদত্ত ১৯৭৩ সালের জাতীয় বেতন স্কেলের অনুরূপ ১০ টি গ্রেডে বেতন স্কেল নির্ধারণ পূর্বক ০৬ (ছয়) সদস্যের পরিবারের দৈনন্দিন ব্যয় বিবেচনায় সর্বনিম্ন বেতন ২৫,০০০/- টাকা নির্ধারণ এবং প্রতিটি গ্রেডের মধ্যবর্তী ব্যবধান যৌক্তিক করতে হবে। নবম পে-কমিশন গঠন এবং বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত ১১ থেকে ২০ গ্রেডের কর্মচারীদের কমপক্ষে ২০% বেতন বৃদ্ধি করতে হবে। শতভাগ পেনশন প্রদান, স্বেচ্ছায় অবসরের বয়সসীমা ২০ বছর নির্ধারণ এবং আনুতোষিক প্রতি ০১ (এক) টাকায় ৩০০/- (তিনশত) টাকা নির্ধারণ করতে হবে।
সচিবালয়ের ন্যায় সচিবালয়ের বাহিরে কর্মরত সকল পর্যায়ের কর্মচারীদের পদবী ও বেতন বৈষম্য দূর করতে হবে। ব্লক পদ প্রথা প্রত্যাহার পূর্বক সকল কর্মচারীর জন্য অভিন্ন নিয়োগ বিধি অবিলম্বে প্রনয়ণ করতে হবে এবং পদোন্নতিযোগ্য পদ শুণ্য না থাকলেও উচ্চতর পদের স্কেল প্রদান করতে হবে একই সাথে আউটসোর্সিং প্রথা বাতিল করতে হবে।
১১ থেকে ২০ গ্রেডের কর্মচারীদের বার্ষিক বেতন বৃদ্ধির হার ১০% এ উন্নীতকরণ, সকল পদে টাইমস্কেল, সিলেকশন গ্রেড, টেকনিক্যাল কর্মচারীদের ০২ টি বিশেষ ইনক্রিমেন্ট পুনর্বহাল, এলাকা ভেদে ৭০% থেকে ১০০% হারে বাড়িভাড়া ভাতা, বিনা ব্যয়ে চাকুরীরত ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীদের সকল প্রকার চিকিৎসা সুবিধা প্রদান, যাতায়াত ভাতা, টিফিন ভাতা ও চিকিৎসা ভাতা যৌক্তিক ভাবে বৃদ্ধি করতে হবে। স্বল্পমূল্যে রেশন অথবা রেশন ভাতা, দায়িত্বের প্রকারভেদে ঝুঁকিভাতা প্রদান করতে হবে। পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের উৎসব ভাতা এক মাসের পরিবর্তে দুই মাসের সমপরিমাণ অর্থ প্রদান করতে হবে।
১-৬ গ্রেডের কর্মকর্তাদের ৩০ লক্ষ টাকা ১০% বার্ষিক মূল্য হ্রাস পদ্ধতিতে বিনা সুদে গাড়ী ঋণ সুবিধার অনুরূপ ১১-২০ গ্রেড পর্যন্ত কর্মচারীদের ২৫ থেকে ৩০ লক্ষ টাকা বিনা সুদে গৃহনির্মাণ ঋণ সুবিধা প্রদান করতে হবে এবং কর্মকর্তাদের গাড়ী রক্ষণাবেক্ষণ ও অন্যান্য ব্যয় বাবদ মাসিক ৫০ হাজার টাকার অনুরূপ কর্মচারীদের গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি, সামাজিক ও অন্যান্য ব্যয় বাবদ মাসিক ২০ হাজার টাকা প্রতি মাসে প্রদান এবং রাজউকের প্লট বরাদ্দের ক্ষেত্রে কর্মচারীদের সংখ্যার আনুপাতিক হারে কোটা সংরক্ষণ করতে হবে।
রাজস্ব খাতে স্থানান্তরিত কর্মচারীদের চাকুরী গণনা, অযাচিত ২০% পেনশন কর্তনের হয়রানি বন্ধ করতে হবে, বিভিন্ন সময়ে উত্থাপিত দাবী, মামলার রায়সহ এতদ্সংক্রান্ত বিষয়সমূহ দ্রুত সমাধানে কমিশন গঠন করতে হবে এবং ১৭ তম গ্রেডকে সাবেক ৪র্থ শ্রেনী হিসেবে চিহ্নিত করে জারীকৃত পরিপত্র অবিলম্বে বাতিল করতে হবে।
কল্যাণ তহবিলের অর্থ লাভজনক খাতে বিনিয়োগ করতঃ কর্মচারীগণের সন্তানদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে, একই সাথে চাকুরীরত ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারীদের জন্য অফিসার্স ক্লাব, বিএমএ, কেআইবি-এর মতো রাজধানীতে কর্মচারী কমপ্লেক্স নির্মাণ করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, ঢাকা মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ খলিলুর রহমান ভুঁইয়া।

লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আকতার হোসেন, বিভিন্ন পর্যায়ের বৈষম্য ও অসংগতির চিত্র পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে উপস্থাপনসহ সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মোঃ হেদায়েত হোসেন।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, প্রধান উপদেষ্টা মোঃ লুতফর রহমান খান, কার্যকরি সভাপতি মোঃ আবদুল হাই মোল্যা, শরীফ আবুল খায়ের, মহানগর কমিটির সভাপতি মোঃ হারুনর রশীদ,কার্যকরি সভাপতি মোঃ ফরিদুর রহমান, কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সালাহ উদ্দিন আহমেদ, মোঃ মহসিন ভুঁইয়া ও অতিরিক্ত সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহার উদ্দিন ও আবদুল হালিম।

image_pdfimage_print