Home জাতীয় ক্ষুধা দারিদ্রমুক্ত ও অসাম্প্রদায়িক চেতনায় দেশ গড়বো : প্রধানমন্ত্রী

ক্ষুধা দারিদ্রমুক্ত ও অসাম্প্রদায়িক চেতনায় দেশ গড়বো : প্রধানমন্ত্রী

40
0
SHARE

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের একটাই লক্ষ্যই ছিল বাংলাদেশে আবার চেতনা ফিরিয়ে আনবো। স্বাধীনতার আদর্শে দেশকে গড়ে তুলবো। ক্ষুধা, দারিদ্রমুক্ত ও অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বাংলাদেশ গড়ে উঠবে, উন্নত, সমৃদ্ধ সোনার বাংলা হিসাবে।

রবিবার (২৭ মার্চ) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির যৌথ সভায় তিনি একথা বলেন।

সরকারে থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালনের সুযোগ পাওয়ায় জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, দেশের জনগণ নির্বাচনে ভোট দিয়ে দেশ সেবার সুযোগ করে দিয়েছেন বলেই আমাদের এই সৌভাগ্য হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করার যে সুযোগটা পেয়েছি। এর আগে আমরা ক্ষমতায় থেকে স্বাধীনতার রজতজয়ন্তীও উদযাপন করার সুযোগ পেয়েছিলাম। এজন্য বাংলাদেশের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। যারা ভোট দিয়ে নির্বাচন করে সেবার করার সুযোগ আমাকে দিয়েছে বলেই আজকে আমাদের এই সৌভাগ্য হয়েছে।

তিনি বলেন, জাতির পিতার স্বপ্ন ছিলো ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা। আমরা ২০২১ সালেই উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। ইনশাআল্লাহ বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। আজকে আমরা শতভাগ বিদ্যুৎ দিয়েছি। সব ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষের জন্য বিনা পয়সায় ঘর তৈরি করে দিচ্ছি। সেদিন খুব বেশি দেরি না, যেদিন দেশের একটি মানুষও ঠিকানাবিহীন, ভূমিহীন ও গৃহহীন থাকবে না। অত্যন্ত তাদের বেঁচে থাকার একটু সুযোগ আমরা করে দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, সরকারের বিনা পয়সায় ঘর নির্মাণ করে দেওয়ার চলমান প্রক্রিয়ায় শিগগিরই দেশের সব ভূমিহীন-গৃহহীন মানুষের আবাসন নিশ্চিত হবে। সেদিন বেশি দূরে নয়, বাংলাদেশের একটি মানুষও ঠিকানাবিহীন থাকবে না, গৃহহীন থাকবে না, ভূমিহীন থাকবে না। অন্তত তাদের বেঁচে থাকার একটু সুযোগ আমরা করে দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি।

বাংলাদেশের অগ্রগতির কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের যে অগ্রযাত্রা, এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে, অপ্রতিরোধ্য গতিতে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। এটাই আমাদের আকাঙ্ক্ষা।

সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঞ্চে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে অনুষ্ঠিত এ সভায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তাবায়ন কমিটিতে থাকা মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, সংসদ সদস্য, শিক্ষক, কবি-সাহিত্যিক-সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, সমাজের বিশিষ্ট জন, সরকারের ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

image_pdfimage_print