
পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে আনন্দ মিছিল এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে আগামী ১৮ জুন বিকেল ৩টায় কেন্দ্রীয় অফিসের সামনে থেকে মিছিল বের করবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
সোমবার (১৩ জুন) দুপুরে রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের স্মরণসভা থেকে এ আনন্দ মিছিলের ঘোষণা দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ১৪ দলের নেতৃবৃন্দ ও বুদ্ধিজীবীরা। তারা মোহাম্মদ নাসিমের স্মৃতিচারণ করেন।
মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, ১৮ জুন কেন্দ্রীয় ১৪ দলের উদ্যোগে আমাদের নেতা আবু নাঈমের সভাপতিত্বে এ মিছিল অনুষ্ঠিত হবে। আপনারা সবাই সেই মিছিলে যোগদান করবেন।
অনুষ্ঠানে হুঙ্কার দিয়ে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, ২৫ জুন আমাদের স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন হবে। সেটি যেন বাংলার মানুষ সুন্দর ও সফলভাবে উদযাপন করতে না পারে সেই পাঁয়তারা শুরু করেছে। আজকে বলতে চাই, ফখরুল সাহেব, ’৭৫ সালের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার – যে শিক্ষা আপনি দিয়েছেন, সেই হাতিয়ার আপনি কোথায় রেখেছেন? এই হাতিয়ার বের করতে হবে। হাতিয়ার দিয়ে শেখ হাসিনাকে হত্যা করবেন, মুক্তিযুদ্ধ ও গণতন্ত্রকে হত্যা করবেন, সেটা আমরা হতে দিতে পারি না। আপনাকে হুঁশিয়ার করে দিতে চাই – মুখে লাগাম দিন, বেফাঁস কথা বলবেন না।
তিনি বলেন, ১৪ দল যতদিন মাঠে থাকবে ততদিন স্বাধীনতাবিরোধী খালেদা জিয়ার শক্তি কোনো অবস্থাতেই মাঠে থাকতে পারবে না। শেখ হাসিনাকে জনগণ ক্ষমতায় বসিয়েছে মানুষের কল্যাণ এবং গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য। আজকে আবার রাজপথে হুঙ্কার দেয়া হয় – ১৫ আগস্টের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার। এরা কারা? এরা স্বাধীনতা ও ’৭১-এর শত্রু, ’৭৫ ও জেলহত্যার খুনি। তারা শেখ হাসিনাকে ১৯ বার হত্যার চেষ্টা করেছে। এখন আবার ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন – আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন এবং সাবেক শিল্পমন্ত্রী, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের (এমএল) সাধারণ সম্পাদক কমরেড দিলীপ বড়ুয়া প্রমুখ।