Home ব্রেকিং খুব খারাপ সময়, ঐক্যের বিকল্প নেই : ওবায়দুল কাদের

খুব খারাপ সময়, ঐক্যের বিকল্প নেই : ওবায়দুল কাদের

39
0
SHARE

বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে এখন ‘খুব খারাপ সময়’ যাচ্ছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এ সময়ে আওয়ামী লীগে ‘ঐক্যের বিকল্প নেই’ বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, কথায় কথায় নিজেরা অন্তর্কলহে জড়াবেন না। খুব খারাপ সময়, খুব ঝুঁকিপূর্ণ সময়, এই সময়ে ঐক্যের বিকল্প নেই। সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকলে কেউ কিছু করতে পারবে না। আওয়ামী লীগের কর্মীদের হুঁশিয়ার থাকতে হবে, সতর্ক থাকতে হবে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা আজকে কত বড় চ্যালেঞ্জ নিয়ে কঠিন সংগ্রামে অবতীর্ণ হয়েছেন, সারাবিশ্বে যুদ্ধের প্রতিক্রিয়া, সারাবিশ্বের সেই প্রতিক্রিয়ায় আজকে জ্বালানি তেলের দাম ক্রমাগত বাড়ছে। মূল্যবৃদ্ধি, ইনফ্লেশান। শ্রীলংকার কথা বাদ দিলাম, ইংল্যান্ড-আমেরিকাতে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। বাংলাদেশকে এমন কঠিন জমিনে অগ্রসর হতে হচ্ছে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবস উপলক্ষে শনিবার (১৬ জুলাই) ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, শেখ হাসিনা এখন সারারাত জেগে থাকেন বাংলাদেশের মানুষ যাতে ঘুমাতে পারে। এই পর্যন্ত তিনি সামাল দিয়ে যাচ্ছেন। এই পর্যন্ত করোনা ভাইরাস, বন্যা অতিক্রম করে, এই যুদ্ধের প্রভাব, সেটাও তিনি মোকাবিলা করে যাচ্ছেন। শক্ত করে ধরে আছেন। তাকে শক্তি দিতে হবে, শক্তি দিতে হবে আওয়ামী লীগকে ঐক্যবদ্ধ থেকে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, আজকের এই দিন শুধু শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবস নয়, এই দিন বাংলাদেশের গণতন্ত্রের বন্দি দিবস। এই দিন শেখ হাসিনাকে বন্দি করে আমাদের বিকাশমান গণতন্ত্রকে বন্দি করা হয়েছিল। রাজনীতির অনেকেই জেলে গেছেন, আমাদের নেত্রী বন্দি হয়েছেন, ক্ষমতায় ছিল বিএনপি। কিন্তু প্রথম বন্দি হন শেখ হাসিনা। তারা এসে বিরোধী দলকেই প্রথম বন্দি করে। বিরোধী দলের নেতা প্রথম বন্দি হন, সরকারি দলের নেতা তখনো বন্দি হননি। কী দুর্ব্যবহার ড. ওয়াজেদের সঙ্গে, কী দুর্ব্যবহার ঢাকা কোর্টের সামনে। বঙ্গবন্ধুকন্যাকে সামান্যতম শ্রদ্ধা তারা দেখায়নি।

তিনি বলেন, সেদিন যদি এই দেশের রাজনীতিকদের একটা অংশ ওই জরুরি সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা না করতো তাহলে বাংলাদেশে ওয়ান-ইলেভেন টিকতে পারতো না। এগিয়ে নিয়ে যাওয়া কঠিন হতো। অনেক রাজনীতিক সেদিন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সঙ্গে যোগসাজশ করে রাজনীতিকে মাইনাস ফর্মুলায় নিয়ে গেছেন। আজকে আমি বলবো, আমাদের শত্রু-মিত্র চিনতে হবে। চলার পথে শত্রু-মিত্র চিনতে হবে। একবার যে বিশ্বাসঘাতক, বারে বারে সে বিশ্বাসঘাতক।

বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি বলে, আমাদের পতনের নাকি সাইরেন বাজে। কোথা থেকে শুনলেন সাইরেনটা? কোথায় শুনলেন? রাস্তায় যখন গাড়ি চলে ওই সাইরেন শুনেছেন? কী সাইরেন শুনেছেন? শুনবেন, শুনতে পাবেন আপনাদের বিদায়ের ঘণ্টার সাইরেন। নেতিবাচক রাজনীতি আপনাদের অপ্রাসঙ্গিক করে দিয়েছে, আপনাদেরই বিদায়ের ঘণ্টা বাজছে। খেলা হবে, খেলা হবে, রাজনীতির মাঠে খেলা হবে। নির্বাচনের মাঠে খেলা হবে। আসুন, খেলায় আসুন, নির্বাচন আর রাজনীতির মাঠে খেলায় আসুন। আগুন নিয়ে খেলবেন না, আমরা প্রতিহত করবো। আওয়ামী লীগ জনগণকে নিয়ে সেই আগুনের খেলা প্রতিরোধ করবে।

সভায় আরো বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, মতিয়া চৌধুরী, দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান প্রমুখ। সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী।

image_pdfimage_print