
ভারতের উত্তরপ্রদেশের নয়ডার ‘সুপারটেক টুইন টাওয়ারটি’ নয় সেকেন্ডেই গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় সময় রবিবার দুপুরে ডিনামাইট দিয়ে একটি বোতাম চেপে বিতর্কিত বহুতল এই ভবন দুটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।উচ্চ আদালতের নির্দেশ মেনেই ভেঙে ফেলা হয় অ্যাপেক্স এবং সিয়ানে ভবন দুটি। ভাঙতে গিয়ে যেন কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে, সে জন্য একাধিক সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করা নেওয়া হয়। ভবন দুটির একটির উচ্চতা ১০৩ মিটার এবং দ্বিতীয়টির উচ্চতা ৯৭ মিটার। বহুতল এই ভবনগুলো গুঁড়িয়ে দিতে হরিয়ানা থেকে ডিনামাইটসহ ৩ হাজার ৭০০ কেজি বিস্ফোরক আনা হয়। এই কাজ খরচ হচ্ছে ২০ কোটি রুপি।২০০০ সালের মাঝামাঝি এই টাওয়ার তৈরির কাজ শুরু হয়। নয়ডা ও গ্রেটার নয়ডা যাওয়ার রাস্তার সংযোগস্থলে এই টাওয়ার গড়ে ওঠে। ফ্ল্যাটের দাম ছিল বর্তমানে ১ কোটি থেকে ৩ কোটি পর্যন্ত। ১৪টি ৯ তলা টাওয়ার তৈরির কথা ছিল প্রথমে। কিন্তু ২০১২ সালের পরে সব বদলে গেল। ৯ তলার জায়গায় ১১ তলা ১৫টি বিল্ডিং হওয়া শুরু হয়। তারপর শুরু হয় ৪০ তলা দুটি টাওয়ার।প্রথমে বলা হয়েছিল সবুজ এলাকা থাকবে ফ্ল্যাটের সামনে। আর সেই সবুজ ধ্বংস করেই উঠল গগনচুম্বী টাওয়ার।তৈরি হলো অ্যাপেক্স এবং সিয়ান টাওয়ার। এরপর বাসিন্দারা ওই দুই টাওয়ারকে বেআইনি দাবি করে লড়াই শুরু করেন। এলাহাবাদ হাইকোর্ট ওই টাওয়ার ভাঙার নির্দেশ দিয়েছিল। পরে সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যায় সুপারটেক। সুপ্রিম কোর্ট সেই নির্দেশ বহাল রাখে।