
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসের অবহেলার কারণে পরীক্ষার ৬ মাস পরেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সাত কলেজের পরীক্ষার ফলাফল এখনো প্রকাশিত হয় নাই। তবে গোপন সূত্রে জানা যায় পরীক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান অসুস্থ থাকায় শিক্ষার্থীদের ফলাফল প্রকাশিত হয় নি। মাঝখানে একবার ফলাফল তৈরি হয়েছিল। কিন্তু কিছু ভুল তথ্য থাকায় ফলাফল প্রকাশ না পুনরায় ফেরত পাঠানো হয়।
জানা যায়, ২০১৭ সালে ঢাকার স্বনামধন্য ৭টি কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়। সেই থেকে ৭ কলেজের প্রায় ৩ লাখ শিক্ষার্থী মানসিকভাবে নির্যাতিত হয়ে আসছে। সাত কলেজের ২০১৬ সালের অনার্স শেষ বর্ষের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে ২০১৮ সালে। অথচ তখন সমসাময়িক ব্যাচের শিক্ষার্থীরা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স পাশ করে বের হয়ে যায়। ২০১৭ সালের মাস্টার্স পরীক্ষা দেয় ২০২২ সালে।বেশির ভাগ শিক্ষার্থীর ফলাফল কমপক্ষে ১ বিষয় ফেল আসে।অথচ তারা ভালোভাবে পরীক্ষা দিয়েছিল। পরীক্ষায় ফেল আসার কথা না। সেই ১টি বিষয়ের স্পেশাল পরীক্ষা দেয়া হয় ২০২২ সালে মার্চ মাসের ১ম দিকে। সেই স্পেশাল পরীক্ষার ফলাফল ঢাবি কর্তৃপক্ষ এখনো প্রকাশ করে নাই।
সাত কলেজের পরীক্ষার সাথে সংশ্লিষ্ট এমন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পরীক্ষা কমিটির সভাপতি এর ভুলের কারণে ফলাফল আটকে আছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাকা কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের মাস্টার্সের এক ছাত্র জানান, ৭ কলেজের সকল শিক্ষার্থী ঢাবির কাছে জবাব চাই কেন ফলাফল প্রকাশিত হচ্ছে না। তারা ৭ কলেজের জন্য এত নিন্মমানের ওয়েবসাইট কেনো করবে? ৭ কলেজের বাজেট তো কম নাই। আমাদের জীবন নিয়ে খেলা করা তাদের কোনো অধিকার নেই। আমি সরেজমিনে তাদের আইটি টিম এর সাথে কথা বলতে চাই। যেখানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কল/হেল্প সেন্টার খুলতে পারে, সেখানে ৭ কলেজের জন্য খুলতে হবে। তারা আমাদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলতেছে। ৩ লাখ শিক্ষার্থীকে যদি তারা বোঝা মনে করে, তাহলে কেনো নিয়েছিলো তাদের অধিভুক্ত করে।
কয়েকজন শিক্ষার্থী অভিযোগ করেন, ফলাফল পুনঃনিরীক্ষণের নামে টাকা খাওয়ার ধান্ধাও করে তারা। কোন কিছুর জন্য তাদের কাছে সাহায্যে চাইলে পাশ কাটিয়ে চলে যায়। এই বিল্ডিং থেকে ঐ বিল্ডিং এ যাওয়া-আসা করতে হয়। সব কিছুর জবাব ঢাবির কাছে চাই ৭ কলেজের শিক্ষার্থীরা। আগামী ৩ দিনের মধ্যে রেজাল্ট দিতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে জানা যায়, পরীক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান অসুস্থ থাকায় শিক্ষার্থীদের ফলাফল প্রকাশিত হয়নি। মাঝখানে একবার ফলাফল তৈরি হয়েছিল। কিন্তু কিছু ভুল তথ্য থাকায় ফলাফল প্রকাশ করে না পুনরায় ফেরত পাঠানো হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বাহালুল হক চৌধুরী এই বিষয়ে কথা বলতে রাজি হয় নি। তিনি সাত কলেজের পরীক্ষার ফলাফলের কোন তথ্য চাইলে লিখিত আবেদন দিতে বলেন।