Home ক্যাম্পাস খবর নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে শেখ রাসেল দিবস ২০২২ উদযাপন

নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে শেখ রাসেল দিবস ২০২২ উদযাপন

44
0
SHARE
আজ নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির জনসংযোগ অফিস এর পরিচালক জনাব জামিল আহমেদ এর সঞ্চালনায় এবং উপাচার্য অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে শেখ রাসেল দিবস ২০২২ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির, বীর প্রতীক। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য মিজ ইয়াসমিন কামাল। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি এর ইতিহাস ও দর্শন বিভাগ এর প্রফেসর ড. শরীফ উদ্দিন আহমেদ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক এম. ইসমাইল হোসেন।

পরিক্রমা ডেস্ক : বেসরকারী পর্যায়ে উচ্চ শিক্ষার পথপ্রদর্শক এবং বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের মাঝে র‌্যাংকিং এ প্রথম স্থান অর্জনকারী নর্থ সাউথ নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে আজ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শহীদ শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মদিন এবং শেখ রাসেল দিবস ২০২২ নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে উদযাপিত হয়।

দিন ব্যাপী নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে উৎসব মুখর পরিবেশে দিনটি উদযাপন করে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি। কর্মসূচির মধ্যে ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠে বৃক্ষরোপণ, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্লাজা এরিয়াতে শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, আলোচনা সভা এবং কেক কেটে জন্মদিন উদযাপন।

১৯৬৪ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিবিজড়িত ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরের বাসভবনে শেখ রাসেল জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু ও পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে হত্যা করা হয় শিশু রাসেলকেও। ১১ বছর বয়সেই নিভে যায় শেখ রাসেলের জীবনপ্রদীপ।

নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির জনসংযোগ অফিস এর পরিচালক জনাব জামিল আহমেদ এর সঞ্চালনায় এবং উপাচার্য অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির, বীর প্রতীক। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য মিজ ইয়াসমিন কামাল। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি এর ইতিহাস ও দর্শন বিভাগ এর প্রফেসর ড. শরীফ উদ্দিন আহমেদ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক এম. ইসমাইল হোসেন।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির, বীর প্রতীক বলেন, আমাদের শেখ রাসেল এর জীবনী সম্পর্কে জানতে হবে যাতে আমরা এ দেশের ষড়যন্ত্রের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারি। এসময় তিনি তরুণ প্রজন্মের উদ্দেশে বলেন, আমি আত্মত্যাগী মানুষের সজ্ঞে, চলুন আমরা চেতনা জাগ্রত করি, ঘুমন্ত আত্মাকে জাগ্রত করি এবং ইতিহাসের মুখোমুখি হই। যে ইতিহাস হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর ইতিহাস, তাঁর পরিবারের সদস্যদের শাহাদাত বরনের ইতিহাস, গনহত্যার ইতিহাস, শিশু হত্যার ইতিহাস। আমাদের সমস্ত ইতিহাস সংরক্ষণ করতে হবে এবং সবাই মিলে একটি ভাল দেশ গঠনে সহায়তা করতে হবে।
প্রফেসর ড. শরীফ উদ্দিন আহমেদ, আমি বাংলাদেশ সরকার কে ধন্যবাদ জানাচ্ছি আজকের দিবসটিকে জাতীয় দিবস হিসেবে হিসেবে উদযাপন করার জন্য। আমাদের তরুণরা রাসেল এর জীবনী এর মধ্যে জানতে পারে কি ভাবে মিধাবী হওয়া যায়, কি ভাবে দেশ প্রেমিক হতে পারে, কি ভাবে নিজেদেরকে প্রস্তুত করতে হবে ইত্যাদি। এগুলো শিখানোই এ দিবস পালনের মূল উদ্দেশ্য।

উপাচার্য অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম বলেন, পৃথিবীর ইতিহাসে ক্ষমতার জন্য অনেক দেশে রাষ্ট্র প্রধানদের হত্যা করার ইতিহাস আছে কিন্তু তাঁর সাথে তাঁর পরিবারের সব মানুষ কে হত্যা করার ইতিহাস পৃথিবীতে বিরল। অতিভক্তি সব সময় ভাল নয় আমরা ইতিহাস থেকে তা শিখতে পারি। আমাদের এই সকল ইতিহাস জানতে হবে। আমি মনে করি শেখ রাসেল দিবস উদযাপন এর মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের দেশের ইতিহাস জানতে পারব, বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানতে পারব এবং সবাই মিলে একটি সুন্দর দেশ গঠন করতে পারব।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন চার অনুষদের ডিন, বিভিন্ন বিভাগের প্রধান/পরিচালক, শিক্ষকবৃন্দ এবং কর্মকর্তাবৃন্দ এবং বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীবৃন্দ।

image_pdfimage_print