
মুন্সীগঞ্জে সরকারি নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও পদ্মা ও মেঘনায় মা ইলিশ শিকার করছে এক শ্রেণির অসাধু জেলে। এছাড়া নদীর দুপাড়ে হাট বসিয়ে জেলেদের শিকার করা ইলিশ বিক্রি করা হচ্ছে। প্রশাসনের নিয়মিত অভিযানের পরও কোনোভাবে থামছে না ইলিশ শিকার।
এদিকে, এ জেলায় ৩ হাজার ৬০০ কার্ডধারী জেলে থাকলেও ইলিশের প্রজনন মৌসুম ৭ থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত মা ইলিশ শিকারে সরকারি নিষেধাজ্ঞা পর্যন্ত ৩ হাজার জেলে পরিবারকে ২৫ কেজি করে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মেঘনা নদীর তীরবর্তী বকচর, কালিরচর, বাংলাবাজার শাখা নদীর তীর, সরদারকান্দি, শিলইসহ বিভিন্ন স্থানে মাছ ধরার পরে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে মা ইলিশ বিক্রির হাট। জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার মানুষ ইলিশ কিনতে নদী তীরবর্তী গ্রামগুলোতে ভিড় জমায়। নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে জেলেরা মাছ ধরে ট্রলার তীরে নোঙর করে ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করছে। তারপর কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সেই মাছ নদীর তীরবর্তী এলাকায় অস্থায়ী হাট বানিয়ে বিক্রি করছে।
প্রশাসনের মৎস অভিযান চলাকালীন জেলেরা কিছু সময় ইলিশ ধরা বন্ধ রাখলেও তারপরেই আবার ধরছে তারা। মোবাইল কোর্ট ও অভিযানের মাধ্যমে জেলেদের ধরে আনা ও জাল পুড়িয়ে ফেলার পরেও কমছে না মা ইলিশ ধরা। প্রশাসনের লোকবলের অভাবে তেমন নজরদারি না থাকায় শতশত জেলে মা ইলিশ ধরছে এবং বিক্রি করছে।
এদিকে মুন্সীগঞ্জ জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. শামসুল করিম এ বিষয়ে বলেন, অনেক জেলে মৎস্য আইন সম্পর্কে সচেতন না। ফলে জেলেরা গোপনে নদীতে জাল ফেলে মা ইলিশ ধরছে। এ পর্যন্ত শতাধিক জেলেকে আটক করা হয়েছে। তবে অভিযান অব্যাহত আছে।