
পরিক্রমা ডেস্ক : জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরে আজ (১৪.১১.২০২২খ্রি.) “দুর্নীতি দমন ও সুশাসন : বিজ্ঞান প্রযুক্তি ও নৈতিকতা” শীর্ষক এক সেমিনারের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ লোক-প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের (বিপিএটিসি)’পক্ষ থেকে ৩য় বিশেষ প্রশিক্ষণ কোর্সের ৪০ জন প্রকৌশলী অংশগ্রহণ করেন। সেমিনারে মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন কালে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বলেন, “ দুর্নীতি মানে শুধু আর্থিক লেনদেন নয়। পক্ষপাতমূলক আচরণ বা ব্যক্তিস্বার্থে সিদ্ধান্ত গ্রহণও দুর্নীতির সমতুল্য অপরাধ। পৃথিবী জুড়ে মানুষ ভোগবাদী হয়ে যাচ্ছে, ভোগবাদীতায় ডুবে নিজের বিবেককে বিক্রি করে দিচ্ছে। সময়ের বিবর্তনে প্রযুক্তির প্রয়োগ এখন সুশাসনের সূচকের মানদণ্ড। তবে প্রযুক্তির পেছনে যে ব্যক্তি বা মানুষ, তার সততা ও দক্ষতা অনেক বড় বিষয়। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির মাধ্যমে দুর্নীতি ও হয়রানিমূলক ঘটনা বন্ধে এগিয়ে আসতে হবে তরুণ প্রজন্মের কর্মকর্তাদের। নিজের পদ-পদবি রক্ষা করতে গিয়ে দুর্নীতির সঙ্গে আপোষ করা সুশাসন ধ্বংসের অপরাধ। কাজেই তরুণ সরকারি কর্মকর্তাদের অত্যন্ত সাহসিকতার সাথে দুর্নীতি দমনে এগিয়ে আসতে হবে। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ লোক-প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের উপপরিচালক মোঃ মোতাহের হোসাইন বলেন, “দুর্নীতির শুরু হয় পরিবার থেকে, বাবা মায়ের দুর্নীতি সন্তানদের সংক্রমিত করে, সুতরাং পরিবারে মিতব্যয়ী জীবনের চর্চা করতে হবে।” সেমিনারে প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্যে মতামত ব্যক্ত করেন, শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী মোঃ সাজ্জাদ হোসেন। জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের পরিচালক এ.কে.এম.লুৎফুর রহমান সিদ্দীক স্বাগত বক্তব্যে বিজ্ঞান জাদুঘরের চলমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ডসহ বিজ্ঞান মনস্ক জাতি গঠনে প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যে বিস্তারিত তুলে ধরেন। অনুষ্ঠান শেষে প্রশিক্ষণার্থীরা জাদুঘরের গ্যালারিসমূহ পরিদর্শন করেন। এছাড়া আগত প্রশিক্ষণার্থীদের বিজ্ঞান জাদুঘরের পক্ষ থেকে স্মারক উপহার প্রদান করা হয়।