
পরিক্রমা ডেস্ক : অস্ট্রেলিয়ার সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক শ্যামল চৌধুরী তাঁর বক্তৃতায় সামাজিক ও অর্থনৈতিক অভিরুচি কীভাবে সুস্থ ও সমৃদ্ধ জাতি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে সে বিষয়ে আলোকপাত করেন। নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পাবলিক লেকচারে ড. শ্যামল চৌধুরী বাংলাদেশ এর ওপর তাঁর কিছু গবেষণার মূল ফলাফল উপস্থাপন করেন। অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগ। ইভেন্টের ইয়ুথ এনগেজমেন্ট সহযোগী হিসেবে সংযুক্ত ছিল বিশ্ববিদ্যালয়টির অর্থনীতি বিভাগের ছাত্র-ছাত্রী দ্বারা পরিচালিত ক্লাব ‘ইয়ং ইকোনমিস্টস ফোরাম’ (ওয়াইইএফ)।
অধ্যাপক শ্যামল চৌধুরী তাঁর চিন্তা-উদ্দীপক বক্তৃতায় শিশু-কিশোরদের বিশেষ ধরনের অভিরুচি যেমন- ঝুঁকি, ধৈর্য ও সামাজিকতা (স্বার্থপরতা, বিদ্বেষপূর্ণতা, পরার্থপরতা ও সাম্যবাদ এর মিশ্রণ)- এর গঠন প্রক্রিয়া তুলে ধরেন। ড. চৌধুরী’র গবেষণা প্রমাণ করে, একজন শিশুর অভিরুচি তার মা-বাবার অভিরুচির সঙ্গে সম্পৃক্ত। তিনি আরও বলেন, অল্প বয়সে সুচিন্তিত যত্নের মাধ্যমে শিশুর অভিরুচির ইতিবাচক পরিবর্তন সম্ভব।
বক্তৃতা শেষে আয়োজক নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় একটি মুক্ত প্রশ্নোত্তর অধিবেশনের আয়োজন করে। দেড় শতাধিক শিক্ষার্থীর স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি অনুষ্ঠানটিকে প্রাণবন্ত করে তোলে। বক্তৃতায় আরও উপস্থিত ছিলেন নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর ড. এম ইসমাইল হোসেন, স্কুল অব বিজনেস অ্যান্ড ইকোনোমিক্স এর ডিন অধ্যাপক ড. হেলাল আহাম্মদ, অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান ড. আসাদ করিম খান প্রিয়, ওয়াইইএফ এর ফ্যাকাল্টি অ্যাডভাইজর ড. তাপস কুমার পাল, এনএসইউর বিভিন্ন ফ্যাকাল্টির শিক্ষকবৃন্দ সহ আরও অনেকে।