Home ক্যাম্পাস খবর নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে ‘মহান বিজয় দিবস ২০২২’ উদযাপন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে ‘মহান বিজয় দিবস ২০২২’ উদযাপন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

36
0
SHARE
আজ নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে ‘মহান বিজয় দিবস ২০২২’ উদযাপন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় টিভি উপস্থাপক এবং নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির জনসংযোগ অফিসের পরিচালক জনাব জামিল আহমেদ এর সঞ্চালনায় এবং উপ-উপাচার্য অধ্যাপক এম. ইসমাইল হোসেন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী জনাব আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক, এম.পি.। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির, বীরপ্রতীক এবং ঢাকায় নিযুক্ত ভুটানের রাষ্ট্রদূত রিনচেন কুয়েন্টশিল। মূল বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. নজরুল ইসলাম। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ড. জুনাইদ কামাল আহমাদ।

পরিক্রমা ডেস্ক : আজ দেশের প্রথম এবং সকল ধরনের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার র‍্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে অবস্থানকারী আন্তর্জাতিক মানের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটিতে (এনএসইউ) ‘মহান বিজয় দিবস ২০২২’ উদযাপন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এর আয়োজন করা হয়।

১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস। ১৯৭১ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ডাকে সাড়া দিয়ে এদেশের সকল স্তরের মানুষ স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং সুদীর্ঘ নয় মাস বীরত্বের সাথে যুদ্ধ করে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে, ছিনিয়ে আনে এদেশের বিজয়। বাঙালি জাতি পায় একটি পতাকা ও স্বাধীন ভূখন্ড।

দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষ্যে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি ১৬ই ডিসেম্বর ক্যাম্পাসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় স্মৃতি সৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ সহ মহান বিজয় দিবসের বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করে। স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন এর জন্য জাতীয় স্মৃতিসৌধে স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর শহিদদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে এনএসইউ বিএনসিসি কর্তৃক গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১৫-১৬ ডিসেম্বর ২ দিন ব্যাপী এনএসইউ ক্যাম্পাসে আলোকসজ্জা করা হয়।

টিভি উপস্থাপক এবং নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির জনসংযোগ অফিসের পরিচালক জনাব জামিল আহমেদ এর সঞ্চালনায় এবং উপ-উপাচার্য অধ্যাপক এম. ইসমাইল হোসেন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী জনাব আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক, এম.পি.। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির, বীরপ্রতীক এবং ঢাকায় নিযুক্ত ভুটানের রাষ্ট্রদূত রিনচেন কুয়েন্টশিল। মূল বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. নজরুল ইসলাম। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ড. জুনাইদ কামাল আহমাদ।

জনাব আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক, এম.পি. বলেন, আমি প্রথমে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে যার জন্ম না হলে এদেশের জন্ম হত না। আমি স্মরণ করছি জাতীয় চার নেতা, সকল বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং ১৯৭১ সালের সব শহীদদের আমাদের স্বাধীনতার পিছনে যাদের রয়েছে অপরিসীম অবদান। এসময় তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন দেশ যদি স্বাধীন হয় বাংলার মানুষ খেয়ে পরে বাচবে, একটি দারিদ্র মুক্ত, খুদা মুক্ত সুখী সমৃদ্ধিশালী রাষ্ট্র হবে। এসময় তিনি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের উদ্দেশ্যে বলেন, তোমাদের বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন এবং শহিদদের স্বপ্ন পূরণে নিজেদের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। তোমাদের প্রতিযোগিতা মূলক বিশ্বে নিজেদের যোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে। এসময় তিনি তরুণদের মোবাইল ফোন ও প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার করতে আহ্বান জানান।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির, বীরপ্রতীক বলেন, মুক্তিযুদ্ধে আমরা জয় লাভ করতে পারতাম না যদি না বঙ্গবন্ধু ৭ই মার্চের ভাষণে গনমানুষের যুদ্ধের কথা না বলতেন। বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন দেখেছিলেন একটি অসম্প্রদায়িক, বৈষম্যহীন এবং সমৃদ্ধিশালী দেশের। বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শিতা, সংগ্রাম ও আত্মত্যাগ জাতিকে স্বাধীনতার জন্য অনুপ্রাণিত করেছিল। আমাদের স্বাধীনতার চেতনায় জাগ্রত হয়ে সবাই মিলে একটি ভাল দেশ গড়ে তুলতে হবে।

ঢাকায় নিযুক্ত ভুটানের রাষ্ট্রদূত রিনচেন কুয়েন্টশিল বলেন, আজ বাংলাদেশের বিজয় দিবস ২০২২ উদযাপন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পেরে আমি গর্ববোধ করছি। এসময় তিনি বলেন, ভুটানই বাংলাদেশকে সর্ব প্রথম স্বীকৃতি দেওয়া প্রথম রাষ্ট্র এবং সেই থেকেই ভুটান এবং বাংলাদেশের মধ্যে সর্ব ক্ষেত্রে বন্ধুসুলভ সম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে।

ড. জুনাইদ কামাল আহমাদ বলেন, ১৬ই ডিসেম্বর আমাদের জাতির জীবনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কারণ আজ আমরা যে এত সাফল্য উদযাপন করি সব কিছুরই বীজ বপন করা হয় ১৬ই ডিসেম্বর ১৯৭১ সালে। এসময় তিনি আরও বলেন, দেশ স্বাধীন হয়েছিল বলেই আজ আমরা সর্ব ক্ষেত্রে তার সুফল ভোগ করছি। তিনি নতুন প্রজন্মের উদ্দেশ্যে বলেন, নাগরিক শব্দের অর্থ কি, একজন সুনাগরিক এর দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে তোমাদের জানতে হবে এবং একজন সুনাগরিক হিসেবে দেশ গঠনে ভূমিকা রাখতে হবে।

বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. নজরুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম হয়েছিল বলেই বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছিল আর বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছিল বলেই আজ আমারা একটি মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হতে পেরেছি। আমাদের এই দেশের ইতিহাস ভুলে গেলে চলবে না। আমাদের দেশের ইতিহাস জানতে হবে, বঙ্গবন্ধু কে জানতে হবে, তা হলেই আমরা একটি সমৃদ্ধশালী রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দাড়াতে পারব।

অধ্যাপক এম. ইসমাইল হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধু কিছু আদর্শ রেখে গেছেন যে আদর্শের একটি চিরায়িত মূল্য রয়েছে, যতদিন বাঙ্গালি থাকবে ততদিন বঙ্গবন্ধু আমাদের মাঝে বেচে থাকবেন। তিনি নতুন প্রজন্মের উদ্দেশ্যে বলেন, তোমাদের বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানতে হবে এবং তাঁর আদর্শ বুকে ধারণ করে দেশ গঠনে কাজ করে যেতে হবে।

আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন বিভাগের পরিচালক, বিভাগীয় প্রধান, কর্মকর্তাবৃন্দ, শিক্ষকবৃন্দ, বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী, গবেষক ও গণমাধ্যমের প্রতিনিধিবৃন্দ সহ আরও অনেকে। এনএসইউ সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং সিনে অ্যান্ড ড্রামা ক্লাব এর আয়োজনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এর মাধ্যমে অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়।

image_pdfimage_print