
আজ মঙ্গলবার ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ। এই দিনে বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানি শোষণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে বাঙালিদের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছিলেন।
মহিমান্বিত এই দিনটিকে স্মরণ করে মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেছে জাতীয় শ্রমিক লীগ। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম।
শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদনকালে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় শ্রম সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, জাতীয় শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি শুক্কুর মাহামুদ, সাধারণ সম্পাদক মো. সিরাজুল ইসলামসহ সংগঠনটির বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা।
প্রসঙ্গত, ৭ই মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের উৎসক্ষণ। এই দিনে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু ঘোষণা করেছিলেন, ‘রক্ত যখন দিয়েছি রক্ত আরো দেব। এদেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব ইনশাআল্লাহ। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম। এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। জয় বাংলা।’
সেদিন রমনা রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) তাঁর দেয়া ১৮ মিনিটের ভাষণে বাঙালি খুঁজে পেয়েছিল তার মুক্তির পথের দিশা। পাকিস্তানি শোষণের হাত থেকে চিরমুক্তির পথ। বঙ্গবন্ধুর ডাকে সেদিন থেকে বাঙালি প্রস্তুতি নিতে শুরু করে বাংলাদেশকে (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) স্বাধীন করার। তার ফলশ্রুতিতে ১৯৭১ সালে সশস্ত্র মুক্তিসংগ্রামের মধ্য দিয়ে এদেশের মানুষ ছিনিয়ে আনে লাল-সবুজের পতাকা। বিশ্বের মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটে স্বাধীন বাংলাদেশের।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালে রাজধানীতে সবচেয়ে বেশি অপারেশন পরিচালনার জন্য যে বাহিনীর নামডাক ছড়িয়ে পড়েছিল, সেই মুক্তিপাগল বাহিনীর নাম ছিল ‘ক্র্যাক প্লাটুন’। আর এই বাহিনীর নেতা ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম। তাঁর নেতৃত্বে সে সময় ঢাকায় একের পর এক গেরিলা অপারেশন কাঁপিয়ে দিয়েছিল পাকিস্তানি শাসকদের ভিত।