
পরিক্রমা ডেস্ক : সরকারি দায়িত্ব পালনে নিষ্ঠা এবং সরকারি যানবাহন ও সম্পদ ব্যবহারে কঠোর সততা বজায় রেখে নিজেকে আপাদমস্তক শুদ্ধাচারী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী। গতকাল (১২.০৬.২০২৩খ্রি.) এবং আজ (১৩.০৬.২০২৩খ্রি.) বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর) এবং বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাদের জন্য আয়োজিত ‘মূল্যবোধ ও শুদ্ধাচার’ শীর্ষক অধিবেশনে মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী আরও বলেন, “ শুধু ৯.০০-৫.০০টা চাকুরীর জন্য সরকারি দপ্তর নয়। প্রতিদিনের কাজ প্রতিদিন সম্পন্ন করতে হবে, সরকারি কেনাকাটায় কোনভাবেই অপচয় ও আত্মসাতের ঘটনা যেন না ঘটে, সে সম্পর্কে নিজেকে কঠোরভাবে সৎ থাকতে হবে। একবার ঘুষ, দুর্নীতির প্রলোভনে পড়ে গেলে আর সুপথে ফেরা যায় না, লোভ লালসার দুর্নিবার আকর্ষণে অতল গহ্বরে তলিয়ে যেতে হয়। লোভের জীবন সরকারি কর্মকর্তাদের ধ্বংসের দিকে নিয়ে যায়। অতঃপর মৃত্যুর পরে অনিবার্যভাবে মহান স্রষ্টা আল্লাহ্র আদালতে অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে এটি অবধারিত সত্য। সৎ উপার্জনে যে মানসিক প্রশান্তি, তা অতুলনীয়। যেকোন দুর্নীতির ঘটনা দেখামাত্র সাহসিকতা নিয়ে প্রতিরোধ করতে হবে এবং উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে। এছাড়া সরকারি যানবাহন ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করলে তার বিপরীতে জ্বালানী তেলের মূল্য সরকারি কোষাগারে জমা দিতে হবে। নিজে শুদ্ধাচারী না হয়ে অন্যকে শুদ্ধাচারী হওয়ার আহ্বান জানানো সবচেয়ে বড় প্রতারণা। নিজে শুদ্ধাচারী হলে সর্বস্তরে নৈতিক কর্তৃত্ব আপনা আপনিই প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাবে। বর্তমান বেতন কাঠামো যথেষ্ঠ পর্যাপ্ত, এ নিয়ে যেকোন সরকারি কর্মকর্তা মিতব্যয়ী হয়ে সৎ ভাবে জীবন-যাপন করতে পারে। আমৃত্যু সৎ থাকতে হবে এবং সৎ জীবনের সার্টিফিকেট নিয়ে আল্লাহ্র কাছে উপস্থিত হওয়াই মানব জীবনের সার্থকতা”। অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের চেয়ারম্যান ও উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।