
শামসুজ্জামান ডলারঃ মতলব উত্তরে দায়সারাভাবে শেষ হলো ৪৮ তম শীতকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগীতার ক্রিকেট পর্ব। তৃনমূল থেকে খেলোয়াড় বাছাই ও ক্রিকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ গুরুত্ব থাকা সত্বেও মতলব উত্তর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস যেনো সরকারের এই গুরুত্বের কথা ভাবছেইনা। এ উপজেলায় মাধ্যমিক স্তরের ৫০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থাকলেও ক্রিকেটে অংশ নেয় মাত্র ১৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এমনকি গ্রীস্মকালীন প্রতিযোগীতার ফুটবলে ৫০ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মাত্র ১৪টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিলেও আংশ না নেয়া ৩৬ প্রতিষ্ঠানকে কোন রকমের জবাবদিহিতার মুখোমুখি হতেই হয়নি।
৭ জানুয়ারী সোমবার বিকালে উপজেলা কমপ্লেক্সের প্রধান মাঠে অনুষ্ঠিত আন্তঃস্কুল শীতকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগীতার ক্রিকেটের ফাইনালটাও শেষ হলো দায়সারাভাবে। উপজেলা হেড কোয়াটারের প্রধান মাঠের এই ক্রিকেট ফাইনালে প্রশাসনিক কর্মকর্তা ছিলেন সহকারী মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও একাডেমী সুপারভাইজার। দু’দলের শিক্ষার্থী সমর্থক, কয়েকজন শিক্ষকসহ অন্যান্য শ্রেনী-পেশার দর্শক মিলিয়ে সর্বোপরি অর্ধশত দর্শকের উপস্থিতি। ঘাষেঢাকা ক্রিকেট পিচ এবং পিচে বড়বড় গর্ত। খেলাটি ফাইনাল খেলা, খেলোয়াড়গুলো এই উপজেলারই দু’টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অনুষ্ঠিত হচ্ছে উপজেলা হেড কোয়াটারে। তারপরেও দু’দলের অন্তত ৭জন খেলোয়াড়কে জিন্সপ্যান্ট পরে খেলতে দেখাগেলো। এনিয়ে আয়োজক, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ক্রড়া শিক্ষক কিংবা আম্পায়ার কারো কাছ থেকেই কোন ধরনের সতর্কতা বা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে দেখা যায়নি। মনেহলো এখানে এযেনো খুবই স্বাভাবিক বিষয় বা এযেনো বরাবরই হয়ে আসছে কাজেই এ নিয়ে ভাবার কিছু নেই।
খেলাগুলো উপজেলার চারদিকে ছড়িয়ে দিতে ৪টি জোন বা অঞ্চলে ভাগ করে দেয়া হয়েছিল। এরমধ্যে নাউরী আহমাদিয়া উচ্চ বিদ্যালয় জোন, নিশ্চিন্তপুর জোন ও কালিপুর জোনে ক্রিকেট বল মাঠে গড়ালেও ছেংগারচর জোনে ক্রিকেট বল মাঠেই গড়ায়নি। অর্থাৎ, এ জোনে কোন স্কুলের টীমই খেলতে আসেনি, ফলে এখানে একটি খেলাও অনুষ্ঠিত হয়নি। উল্লেখ্য, গত গ্রীস্মকালীন ফুটবলেও একই অবস্থা বিরাজ করেছিল।
ক্রিকেটের সম্ভাবনার কারনে সরকার ক্রিকেটে অধীক গুরুত্ব দিয়ে তৃনমূল থেকে খেলোয়াড় তৈরীর বিষয়ে অন্তরিক হলেও মতলব উত্তর উপজেলায় এ বিষয়ে দায়সারাভাবে ক্রিকেট সম্পন্ন করার ব্যাপারে কথা হলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল কাইয়ূম খান মুঠোফোনে জানান, আমি খোজ খবর নিয়ে জানবো কোন কোন প্রতিষ্ঠান অংশ গ্রহন করেনি বা কেন করেনি। তবে এ উপজেলায় কেনো যেনো খেলাধুলার চর্চাকম। তবে ৫০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মাত্র ১৩টি প্রতিষ্ঠান অংশ গ্রহনের বিষয়ের বিষয়টি সত্যিই হতাশা জনক।
অন্য প্রশ্নের জবাবে তিনি এই খেলাধুলা ও পুরস্কার বিতরনের জন্য ৫০ প্রতিষ্ঠানের প্রত্যেক প্রতিষ্ঠান থেকে ২ হাজার করে টাকা উত্তলনের বিষয়টি তিনি স্বীকার করেন।