
নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার স্বার্থেই বিএনপির নির্বাচনে আসা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক।
বিএনপিকে ষড়যন্ত্রের পথে ছেড়ে দিয়ে নির্বাচনে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বিএনপি নামক দলটির অবশিষ্ট যদি রক্ষা করতে চান, তাহলে নির্বাচনের পথে আসুন। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুন। প্রমাণ করুন বাংলাদেশের জনগণ সৃষ্টির পক্ষে, না ধ্বংসের পক্ষে।
তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনা গণতন্ত্র দিয়েছেন, কথা বলার সুযোগ দিয়েছেন। সেই কারণে আপনারা কথা বলেন, তবে সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে যাবেন না। বিএনপি-জামায়াত চক্রান্তে রয়েছে। এই চক্রান্তের অংশ হিসেবেই আজকে তারা মানুষের কাছে পৌঁছাতে না পেরে, মানুষের হৃদয়কে জয় করতে না পেরে, এখন দৌড়াচ্ছেন আন্তর্জাতিক মোড়লদের কাছে। এই আন্তর্জাতিক মোড়লরা আপনাদের ক্ষমতায় আনতে পারবে না।
শনিবার (৫ আগস্ট) বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শহীদ শেখ কামালের ৭৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে এসব কথা বলেন তিনি।
বিএনপির এক দফার আন্দোলনের সমালোচনা করে নানক বলেন, জনগণকে এই পর্যন্ত কি দিয়েছেন? ২০০১ সালে মায়ের সামনে মেয়েকে রেপ করেছেন। ভাইয়ের সামনে বোনকে রেপ করেছেন। আমাদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিয়েছেন, হাত কেটেছেন, চোখ উপড়ে ফেলেছেন। কাজেই মির্জা ফখরুল সাহেব, জনগণের জন্য যেহেতু কোনো কিছু করেন নাই। সেই জনগণকে কোনোদিনই আপনারা পাশে পাবেন না।
তিনি আরো বলেন, আগামী নির্বাচনেও জনগণের ভোট পাবে না জেনেই বিএনপি ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছে।
এদিকে সম্প্রতি মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, ‘বিরোধীদলের মতপ্রকাশে আওয়ামী লীগ সরকার অতিরিক্ত বল প্রয়োগ করছে।’ তাদের এই বক্তব্যে কড়া সমালোচনা করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ।
তিনি বলেন, কী চান আপনারা? কার পক্ষে, কোন খেলায় নেমেছেন? আপনাদের এই বক্তব্যগুলো মনে হয় সন্ত্রাসী, নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের পক্ষে নির্লজ্জ দালালি ছাড়া আর কিছু নয়। জাতি আপনাদের এসব বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে।
হানিফ বলেন, বিএনপি কয়েকদিন আগে সমাবেশ করার পর ঢাকার প্রবেশমুখ অবরোধের ঘোষণা দিল। তারা অবস্থান নিয়ে রাস্তা বন্ধ করে গাড়ি চলাচল বন্ধ করলেন। এরকম কর্মসূচি কোন গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় আছে? আপনি রাস্তা বন্ধ করে দিলেন – এটা তো কোনো কর্মসূচি হতে পারে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গাড়ি চলাচলের ব্যবস্থা করে দিয়েছে, তখন পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। পুলিশের ওপর হামলা করে আহত করা হয়েছে। রাস্তায় গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক করার জন্য পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয়েছে। আর সেটার জন্য আজকে মানবাধিকার সংস্থা থেকে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ তারা বলছে, সরকার অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ করছে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফির সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবিরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহসভাপতি দিলীপ রায় প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।