বিশ্ববিদ্যায়ল পরিক্রমা ডেস্ক :
ঢাকার দেওয়া ১৯২ রানের বিশাল টার্গেট নিয়ে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৮৭ রানে ও অলাউট হয়ে যায় খুলনা। সেই সাথে ১০৫ রানের বিশাল জয় পায় ঢাকা ডায়নামাইটস। ঢাকা ডায়নামাইটসের দেয়া ১৯৩ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই ধুঁকতে ঠাকে খুলনা টাইটান্স। এবারের বিপিএলে টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিল সাকিবের ঢাকা।
ঢাকার দেওয়া বিশাল রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই খুলনা হোঁচট খায়।খেলার শুরুতেই সাকিকের শিকার হয়ে ফিরে যান স্টার্লিং।এরপর জহুরুল ইসলামকে সাথে নিয়ে প্রাথমিক ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করে ওপেনার জুনায়েদ সিদ্দিকী। কিন্তু তাঁকে যোগ্য সমর্থন দিতে পারেননি জহুরুল ইসলাম। নারাইনের বলে রুবেল হোসেনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি।
এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে খুলনা। একটু পরেই সাকিবের শিকার হন জুনায়েদ। আউট হয়ে ফেরার আগে ১৬ বলে ১ চারের বিপরীতে ৩ ছক্কায় ৩১ রান করেন তিনি। এর রেশ না কাটতেই শুভাগত হোম আউট করে সাজঘরে পাঠান মাহমুদউল্লাহকে।
চাপের মধ্যে দলকে এগিয়ে নিতে পারেননি নাজমুল হোসেন শান্ত। মোহর শেখের বলে রাসেলকে ক্যাচ দিয়ে মাঠের বাইরে চলে যান তিনি। বিপর্যয় থেকে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি জয়াবর্ধনের শিষ্যরা। যাওয়া-আসার মিছিলে যোগ দেন উইজ, তাইজুল, শরিফুল। নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে জহির খান ফিরলে হার মেনে নেন তারা। কারণ, ফিল্ডিংয়ে আঘাত পাওয়ায় মাঠে নামতে পারেননি আলি খান। ঢাকার হয়ে সাকিব তুলে নেন সর্বোচ্চ ৩ উইকেট। ২ উইকেট নেন নারাইন।
এর আগে, টস জিতে ঢাকাকে প্রথমে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান খুলনার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।ব্যাটিংয়ে নেমেই ঝড় তোলেন দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান নারাইন ও জাজাই। আলি খান-শরিফুলদের কচুকাটা করেন তারা। তাতে উড়ন্ত গতিতে ছুটে ঢাকা।ব্যাক টু ব্যাক বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে ডেভিড উইজের শিকার হয়ে ব্যক্তিগত ১৯ রানে ফেরেন তিনি।
এর পর, ব্যাটিংয়ে এসে পূর্বসূরীর দেখানো পথে হাঁটেন রনি তালুকদার। স্ট্রোকের ফুলঝুরি আসে তাঁর ব্যাট থেকে। তবে খুব বেশি দূর যেতে পারেননি রনি। মাহমুদউল্লাহর বলে আরিফুল হকের তালুবন্দি হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। ফেরার আগে ১৮ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ২৮ রানের এক ঝকঝকে ইনিংস খেলেন ডানহাতি এই টাইগার ব্যাটার।
একটু পড়েই থামে হযরতউল্লাহ জাজাই। ব্যাক টু ব্যাক ঝড়ো ফিফটি তোলে সাজঘরে ফেরেন তিনি। টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে খেলেন ৪১ বলে ৪ চারের বিপরীতে ৭ ছক্কায় ৭৮ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। এবার থামেন ৫৭ রানে। পার্টটাইমার পল স্টার্লিংয়ে বলে আরিফুলের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন আগুনে ফর্মে থাকা এ আফগান। সাজঘরের পথ ধরার আগে ৩৬ বলে ৩ চারের বিপরীতে ৫ ছক্কায় এ ইনিংস সাজান তিনি।
জাজাইয়ের দেখানো পথে হাঁটতে পারেননি ঢাকার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। পল স্টার্লিংয়ের বলে শরিফুল ইসলামকে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন ডায়নামাইটস অধিনায়ক।
টপ অর্ডারদের দেখানো পথ অনুসরণ করে রানের ঝড় তোলেন পোলার্ড ও রাসেল। তাতে বড় সংগ্রহ পায় ঢাকা। আলির ফুলটস বল ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে সীমানায় মাহমুদউল্লাহর হাতে ধরা পড়েন তিনি পোলার্ড। ড্রেসিংরুমে ফেরার আগে ১৬ বলে ২টি করে চার-ছক্কায় ২৭ রানের সাইক্লোন ইনিংস খেলেন ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার।
সঙ্গী হারিয়ে বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি রাসেল। কয়েক মিনিটের ব্যবধানে ফেরেন তিনিও। ডেভিড উইজের বলে আউট হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরার আগে ২২ বলে ৩ ছ্ক্কায় ২০ রান করেন এ ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান। শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেটে ১৯৩ রান করতে সক্ষম হয় সাকিবের দল। শুভাগত হোম ১১ ও নুরুল হাসান ৯ রানে অপরাজিত থাকেন। খুলনার হয়ে স্টার্লিং ও উইজ নেন ২টি করে উইকেট।
