
পরিক্রমা ডেস্ক : জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বলেছেন, “শিশু কিশোরদের খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন আনতে হবে। ফাস্টফুডের বলয় থেকে তাদের মুক্ত করতে হবে। সৎ জীবন যাপন এবং ধর্মীয় বিধি-বিধান প্রতিপালন করতে হবে। মোবাইল আসক্তি থেকে রক্ষা করতে হবে। আদরে ও শাসনে তাদের জীবন গড়ে তুলতে হবে। পড়াশোনার পাশাপাশি গৃহস্থালি কাজে সন্তানেরা যেন বাবা-মায়ের সহযোগী হয়, সেভাবে তাদের পরিশ্রমী জীবনে অভ্যস্ত করতে হবে। নতুবা কেবল সার্টিফিকেট নিয়ে তারা মেধাবী অফিসার, ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হয়ে উঠবে, কিন্তু নৈতিক বা আদর্শিক শক্তি থাকবে না। নীতি নৈতিকতা এবং অনুশাসন না থাকলে সমাজ ভঙ্গুর হয়ে যায়।”
আজ (১০ আগস্ট, ২০২৩) জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরে আয়োজিত এক বিজ্ঞান সেমিনারে বিজ্ঞান জাদুঘরের মহাপরিচালক একথা বলেন। সেমিনারে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, সরকারি কর্মকর্তা ও সাধারণ নাগরিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সেমিনারে মূল প্রতিপাদ্য বিষয়: “স্বাস্থ্য সচেতনতায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ভূমিকা” নিয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রাজধানীর নিউরোসায়েন্স হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন “শুধু খাদ্য সচেতনতার অভাবে সারা পৃথিবীর কোটি কোটি মানুষ রক্তশূন্যতায় ভুগছে। শুধু ফলিক এসিডে তা দূর করা সম্ভব। কচু, কাঁচকলা ও কষযুক্ত সবজীতে বহু আয়রন রয়েছে। গর্ভবতী মায়েদের জন্য প্রতিটি পরিবারে আবশ্যকীয়ভাবে দুধ ও ডিমের সংস্থান রাখতে হবে। গর্ভকালীন অবহেলায় বহু শিশু নানা রোগ ব্যাধি অথবা বিকলাঙ্গতা নিয়ে জন্ম নিচ্ছে।”